Aman Sehrawat Wins Bronze: মাত্র ১১ বছরে বয়সে অনাথ হওয়া আমন সেহরাওয়াত আজ, ভারতের সর্বকনিষ্ঠ অলিম্পিক পদকজয়ী
তিনি গতকাল রাতে চ্যাম্প ডি মার্স অ্যারেনায় ব্রোঞ্জ প্লে-অফে দারিয়ান তোই ক্রুজকে ১৩-৫ ব্যবধানে পরাজিত করেন। পুয়ের্তো রিকান কুস্তিগীরকে হারিয়ে ২১ বছর ০ মাস ২৪ দিন বয়সে সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তিগত অলিম্পিক পদকজয়ী হয়েছেন সেহরাওয়াত।
আমন সেহরাওয়াত (Aman Sehrawat) শুক্রবার ছত্রসাল স্টেডিয়ামের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যান এবং প্যারিস অলিম্পিক ২০২৪ (Paris Olympics 2024) এ ভারতের প্রথম কুস্তিতে পদক এনে দেন। ২১ বছর বয়সী কুস্তিগীর ১১ বছর বয়সে বাবা-মা উভয়কেই হারিয়েছেন, তিনি গতকাল রাতে চ্যাম্প ডি মার্স অ্যারেনায় ব্রোঞ্জ প্লে-অফে দারিয়ান তোই ক্রুজকে ১৩-৫ ব্যবধানে পরাজিত করেন। পুয়ের্তো রিকান কুস্তিগীরকে হারিয়ে ২১ বছর ০ মাস ২৪ দিন বয়সে সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তিগত অলিম্পিক পদকজয়ী হয়েছেন সেহরাওয়াত। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে রুপো জেতার সময় পিভি সিন্ধুর বয়স ছিল ২১ বছর, ১ মাস ১৪ দিন। আমন তার ব্রোঞ্জ পদকটি তার বাবা-মা এবং দেশকে উৎসর্গ করেন, এটি তার জন্য তাদের স্বপ্নের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। ম্যাচ শেষে আবেগে ভরা কণ্ঠে বলেন, 'আমার বাবা-মা সবসময় চাইতেন আমি একজন কুস্তিগীর হই। তারা অলিম্পিক সম্পর্কে কিছুই জানত না, কিন্তু তারা চেয়েছিলেন আমি একজন কুস্তিগীর হই।' Manu Bhaker meets Rahul Gandhi: রাহুলের সঙ্গে সাক্ষতে এলেন চলতি অলিম্পিকে দ্বৈত পদকজয়ী মনু, সংসদের কক্ষে চলল মিষ্টিমুখ
কে এই আমন সেহরাওয়াত (Who is Aman Sehrawat)?
মাত্র ১১ বছর বয়সে অনাথ হয়ে পড়া আমন তাঁর শূন্যতা কুস্তিতেই পূরণ করেন। তাঁর বাবা ২০১৩ সালে ছত্রসাল স্টেডিয়ামে আমানকে ভর্তি করে অজান্তেই তাঁর ছেলেকে অলিম্পিক গৌরব অর্জনের পথে নিয়ে যান। উল্লেখ্য, ছত্রসাল স্টেডিয়াম ইতিমধ্যে সুশীল কুমার, যোগেশ্বর দত্ত, বজরং পুনিয়া এবং রবি দাহিয়ার মতো চারজন অলিম্পিক পদকজয়ী তৈরি করায় বেশ বিখ্যাত। বাবা-মাকে হারিয়ে এই স্টেডিয়ামই আমনের দ্বিতীয় বাড়িতে পরিণত হয়, এটি এমন একটি জায়গা যেখানে তিনি কেবল আশ্রয়ই পাননি তাঁর উদ্দেশ্যও সফল করেন। ২০২২ সালে আমন কিশোর বয়সেই সিনিয়র সার্কিটে আসেন এবং এশিয়ান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে একটি ব্রোঞ্জ ও এশিয়ান অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণ জিতে নেন। বিশ্ব অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণ জয় এমন একটি কীর্তি যা তাঁর সিনিয়র বজরং এবং রবিও অর্জন করতে পারেননি।
ভারতের একমাত্র পুরুষ কুস্তিগীর হিসেবে প্যারিসে যাওয়া আমনের উপর চাপ ছিল অপরিসীম। চ্যাম্প ডি মার্স অ্যারেনায় ব্রোঞ্জ প্লে-অফে পুয়ের্তো রিকান দারিয়ান তোই ক্রুজকে ১৩-৫ ব্যবধানে পরাজিত করে তিনি দারুণ কমান্ডিং পারফরম্যান্সে দেশকে পদক উপহার দেন। রক্তাক্ত নাক সত্ত্বেও, আমনের নিরলস আক্রমণ এবং কৌশলগত দক্ষতা অলিম্পিক পোডিয়ামে তার জায়গা নিশ্চিত করে। তাঁর এই জয়ের ফলে ২০০৮ সালে সুশীল কুমারের থেকে শুরু হওয়া প্রতিটি অলিম্পিকে কুস্তির পদক জয়ের ধারা বজায় থাকে। আমনের ব্রোঞ্জ প্যারিস গেমসে ভারতের ষষ্ঠ পদক, যা দেশকে টোকিও অলিম্পিকে সাতটি পদকের রেকর্ডের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। আমন সেহরাওয়াত ভারতের সর্বকনিষ্ঠ অলিম্পিক পদকজয়ী হিসাবে স্পটলাইটে পা রেখেছেন একইসঙ্গে তিনি অগণিত তরুণ কুস্তিগীরদের মনে স্বপ্ন জাগিয়ে দিয়েছেন।