শ্রাবণে মুসলিমের ছোঁয়া খাব না, গ্রাহককে যুতসই জবাব Zomato-র

শ্রাবণ মাস, এই মাসে কোনও মুসলিমের হাত থেকে খাবার খাওয়া যাবে না। তাই জোম্যাটোর অর্ডার ক্যানসেল করলেন মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের বাসিন্দা অমিত শুক্লা। যখন তিনি জানতে পারেন তাঁর ফুড ডেলিভারি অর্ডার সাকসেসফুল হয়েছে, ফৈয়াজ নামের এক ডেলিভারি বয় খাবার নিয়ে আসছে। তখনই তিনি জানান, ডেলিভারি বয় বদলে দিতে হবে। তবে জোম্যাটোর তরফে অমিত শুক্লার (Amit Shukla) ইচ্ছেকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। এতেই চটে গিয়ে অর্ডার ক্যানসেল করে দেন তিনি।

জোম্যাটো প্রতীকী চিত্র (Photo Credit: Zomato India)

জব্বলপুর, ৩১ জুলাই: শ্রাবণ মাস, এই মাসে কোনও মুসলিমের হাত থেকে খাবার খাওয়া যাবে না। তাই জোম্যাটোর অর্ডার ক্যানসেল করলেন মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের বাসিন্দা অমিত শুক্লা। যখন তিনি জানতে পারেন তাঁর ফুড ডেলিভারি অর্ডার সাকসেসফুল হয়েছে, ফৈয়াজ নামের এক ডেলিভারি বয় খাবার নিয়ে আসছে। তখনই তিনি জানান, ডেলিভারি বয় বদলে দিতে হবে। তবে জোম্যাটোর তরফে অমিত শুক্লার (Amit Shukla) ইচ্ছেকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। এতেই চটে গিয়ে অর্ডার ক্যানসেল করে দেন তিনি। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই অমিত শুক্লার সমালোচনায় তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। আরও পড়ুন-ভাল ড্রাম বাজিয়েছে, নাবালকের মুখে একতাড়া নোট গুঁজে দিলেন ডেপুটি স্পিকার(দেখুন ভিডিও)

এহেনঘটনায় নিজের দোষই খুঁজে পাচ্ছেন না পণ্ডিত অমিত শুক্লা। জোম্যাটোকে দায়ি করে এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্টও করেছেন তিনি। তাঁর পোস্ট ব্যুমেরাং হয়ে তাঁকেই নিন্দায় অতিষ্ঠ করে তুলেছে। গোটা বিষয়টি মঙ্গলবার রাতে জোম্যাটো ফুড অ্যাপে নিজের অভিযোগ জানিয়ে, সোশ্যাল মিডিয়াতে তার স্ক্রিনশট দিয়ে সকলের সামনে এনেছেন। কারণ তাঁর এই বোধটাই হয় তো কাজ করে না যে, তিনি ভুল করেছেন। তিনি পরিষ্কার সেই টুইটে লিখছেন, জোম্যাটো তাঁকে বাধ্য করতে পারে না অ-হিন্দু ডেলিভারি বয়ের হাত থেকে খাবার নিতে। তিনি শ্রাবণ মাসে কোনও মুসলিমের হাত থেকে খাবার নিতে চান না। তাঁর অ্যাপে ডেলিভারি বয়ের নাম এসেছিল ফৈয়াজ। জোম্যাটোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে তিনি উকিলের সাথে কথা পর্যন্ত বলবেন বলেও জানিয়েছেন।

এরপর পাল্টা দিয়েছেন জোম্যাটোর মালিক দীপেন্দ্র গোয়েল। তিনি বলেছেন, খাবারের ক্ষেত্রে ধর্ম কোনও নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারে না, বরং খাবারের নিজেরই আলাদা একটা ধর্ম আছে।  তাছাড়া যেখানে এটা ভারতবর্ষ, বিবিধের মাঝে মিলন মহানই এখানের রীতি। তাই এখানে ডেলিভারি বয় কেন হিন্দু নয়, সেই যুক্তি দেখিয়ে খাবার নেওয়া হবে না, এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। তাছাড়া অমিত শুক্লার অর্ডার করা খাবারটি যে কোনও মুসলিম রাঁধেননি তাই বা কে বলতে পারে। বালা বাহুল্য, খাবার খারপ হল কিম্বা ডেলিভার বয় সময় মতো বাড়ির কড়া নাড়ল না। আপনি তানিয়ে সঙ্গত কারণেই অভিযোগ জানাতে পারেন। কিন্তু খাবার নিয়ে আসা ডেলিভারি বয় মুসলিম নয় হিন্দু হবেন, নাহলে খাবার নেব না। এটা বললে হাস্যকর শুধু নয় চরম নিন্দারও বটে। সোশ্যাল মিডিয়ায়া অমিত শুক্লকে রীতিমতো ট্রোল করা হচ্ছে। জোম্যাটো তাঁকে ব্লক করুম এমন দাবিতে ছেয়েছে টুইটার পেজ।