সেদিনের সেক্সি স্যাম এখন ১০২ কেজির সমীরা রেড্ডি, বলেন কি?

ফিগার কনশাস সমীরা রেড্ডির(Sameera Reddy) ওজন ১০২ কেজি! অবাক হওয়ার কিছু নেই এমনটা সত্যি সত্যিই ঘটেছে। বাড়িতে থাকতে থাকতে কখন যে খাতিপিতি ঘরকি চেহারা হয়ে গিয়েছে বুঝতেই পারেননি অভিনেত্রী, তবে আয়নায় নিজেকে দেখে ভালভাবে টের পেয়েছেন। আর তাতেই তাঁর চিন্তা বেড়েছে। গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে থাকা নায়িকা মোটা হয়ে গিয়েছেন ভেবে দুঃখের সীমা ছিল না।

সমীরা রেড্ডি(Photo credit: Instagram)

ফিগার কনশাস সমীরা রেড্ডির(Sameera Reddy) ওজন ১০২ কেজি! অবাক হওয়ার কিছু নেই এমনটা সত্যি সত্যিই ঘটেছে। বাড়িতে থাকতে থাকতে কখন যে খাতিপিতি ঘরকি চেহারা হয়ে গিয়েছে বুঝতেই পারেননি অভিনেত্রী, তবে আয়নায় নিজেকে দেখে ভালভাবে টের পেয়েছেন। আর তাতেই তাঁর চিন্তা বেড়েছে। গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে থাকা নায়িকা মোটা হয়ে গিয়েছেন ভেবে দুঃখের সীমা ছিল না। কিন্তু তাতে কি, তিনি তো ফের ফিরছেন। হ্যাঁ দুবছর ধরে নানারকম শারীরিক কসরত ও থেরাপির সাহায্যে ফের মেনটেন করার ফিগারে আনতে পেরেছেন নিজেকে। খুব শিগগির তিনি দ্বিতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন। তার আগে স্বাস্থ্যবতী সমীরার ছবি ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে শেয়ার করলেন অভিনেত্রী।

জানা গিয়েছে, বিয়ের একেবারে পরেপরেই প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়েন সমীরা। ছেলে হান্সের জন্মের পর বেশ অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। কাজে ফেরার ইচ্ছে থাকলেও ডাক্তার তাঁকে রেস্ট ও খাওয়াদাওয়ার মধ্যে থাকার পরামর্শ দেন। এদিকে টানা বিশ্রাম ও খাওয়ার কারণে কখন যে মোটা হতে শুরু করেছেন বুঝতে পারেননি। একেবারে যে সে মোটা নন, ১০২ কেজি। নিজে বাড়ি থেকে বেরতো লজ্জা পেতেন। লাইমলাইটে থাকা অভিনেত্রী কি না এত মোটা, লোকে কী বলবে। টিন্তায় ঘুম উড়েছিল এমনকী, রাস্তায় দেখেও তাঁকে কেউ চিনতেন না। অনেকে আবার কৌতূহলী হয়ে বলতেন, এ সমীরা নাকি। ১০২ কেজির পিছনে তখন ঢাকা পড়েছে বি-টাউনের সেক্সি স্যাম। নাহ, এভাবে তো হতাশায় ডুবে যাওয়া কাম্য নয়। আলোচিত্রীদের ভিড়কে মিস করতে থাকা সমীরা গা ঝারা দিয়ে উঠলেন। ডাক্তার, ডায়েটিশিয়ান, ফিজিক্যাল ট্রেনারের পরামর্শে শুরু হল অনুশীলন, সঙ্গে মেদ ঝরানোর থেরাপি। একদিন বা দুদিন নয়, টানা দুবছর কঠোর পরিশ্রমের ফল মিলল, একেবারে পারফেক্ট শেপে ফিরলেন সমীরা রেড্ডি। তবে ততদিনে গর্ভে এসে গিয়েছে দ্বিতীয় সন্তান।

এখন শুধু তার জন্মের অপেক্ষা। তারপরেই ফের বলিউডে ফিরবেন স্যাম। প্রস্তুতিও সারা, শুধু প্রচারের আলোয় থাকতে ইনস্টাগ্রামে নিজেকে ইন রাখলেন। আফটার অল এখন তো নেটিজেনরাই অভিনেত্রীদের জনপ্রিয়তার প্রাথমিক মাপকাঠি নির্ধারণ করে দেয়।