কেরালায় বিকোচ্ছে ব্রাহ্মণ দুধ, ট্যাগ লাইনে ‘গো রক্ষা দেশ রক্ষা’__ ধিক্কারে নেটিজেনরা

এখনও জোম্যাটোর মুসলিম ডেলিভারি বয়ের ধাক্কা সামলাতে পারেনি গোটা দেশ। তার আগেই আসরে হাজির ব্রাহ্মণ দুধ। হ্যাঁ এই নামেই ফার্ম ফ্রেশ টোনড দুধ বিকোচ্ছে কমিউনিস্টদের রাজ্য কেরালায়। শুনতে অবাক লাগলেও ব্রাহ্মণ দুধের প্যাকেটে ছেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। এমন উচ্চবর্ণ মার্কা নাম দেখেই খেপে আগুন নেটিজেনরা।

এই সেই দুধের প্যাকেট (Photo Credit: Twitter)

তিরুবনন্তপুরম,২ আগস্ট: এখনও জোম্যাটোর মুসলিম ডেলিভারি বয়ের ধাক্কা সামলাতে পারেনি গোটা দেশ। তার আগেই আসরে হাজির ব্রাহ্মণ দুধ। হ্যাঁ এই নামেই ফার্ম ফ্রেশ টোনড দুধ বিকোচ্ছে কমিউনিস্টদের রাজ্য কেরালায়। শুনতে অবাক লাগলেও ব্রাহ্মণ দুধের প্যাকেটে ছেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। এমন উচ্চবর্ণ মার্কা নাম দেখেই খেপে আগুন নেটিজেনরা। প্যাকেটের গায়ে আবার লেখা আছে ‘গো রক্ষা, দেশ রক্ষা।’ তবে ব্রাহ্মণ দুধের ট্যাগলাইনটি মালয়লি ভাষায় লেখা, তাই অনেকেই পড়তে পারছেন না। এই ঘটনায় দেশজুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। আরও পড়ুন-শ্রাবণে মুসলিমের ছোঁয়া খাব না, গ্রাহককে যুতসই জবাব Zomato-র

উল্লেখ্য, যদিও ব্রাহ্মণ দুধের প্যাকেট দেখে নেটিজেনরা দুভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। এক ভাগের দাবি প্যাকেটে লেখা ব্রাহমিনস প্রোডাক্ট আসলে সংস্থাটির নাম। ২০ বছর ধরে সংস্থাটি কেরালায় ব্যবসা করছে। এরসঙ্গে উচ্চবর্ণের কোনও যোগাযোগ নেই। তবে বাকিরা তা মানতে নারাজ। যদি প্রস্তুতকারক সংস্থার নামই হবে ব্রাহমিন তাহলে প্যাকেটে তাদের লোগো কেন নেই? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি কেউ। প্রতিবাদীদের পাল্টা দাবি, দুধের প্যাকেট তাহলে উচ্চবর্ণদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। এতো দেখছি বর্ণবিদ্বেষেরই নামান্তর। এমন দুধ তো কেনা যাবে না, বরং না কিনে প্রতিবাদ গড়ে তোলা উচিত যাগে প্রতিবাদের গেরোয় ফেঁসে ব্রাহমিনস প্রোডাক্টের ব্যবসা লাটে ওঠে।

অনেকে আবার মজা করে লিখেছেন, শুধু দুধ কেন এবার থেকে তো গো-মাতারাও নানা জাতের জন্য ভাগ হবে। কেউ মুসলমানকে দুধ দেবে। কেউ নিম্নবর্ণের হিন্দুদের দুধের জন্য কাজে লাগবে। বাকি শ্রেষ্ঠ গো-মাতাদের দুধ যাবে ব্রাহ্মণদের জন্য। এতো গেল একদিক অন্যদিকে প্যাকেটের গায়ে গো রক্ষা দেশ রক্ষা ট্যাগ লাইন দেখে ক্ষোভ চড়চড়িয়ে বেড়েছে। এ কেমন ট্যাগ লাইন, গেরুয়া শিবিরিরে গন্ধ পাচ্ছি। যদি সংস্থার বিস্তার ২০ বছরের হয় তাহলে এমন ট্যাগ লাইন তো থাকার কথা নয়। ‘গো রক্ষা দেশ রক্ষা’ তো বিজেপি-র লক্ষ্য। ২০ বছর আগে বিজেপির অবস্থায় ঠিক কী ছিল? এতকিছুর পরেও মুখ খোলেনি প্রস্তুতকারক সংস্থাটি।