সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে, এমনই ‘কোভিড-১৯ বাইক’ তৈরি করলেন ত্রিপুরার ব্যক্তি

করোনাভাইরাসের (Coronavirus) জেরে দেশজুড়ে লকডাউন জারি রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে বাড়ির বাইরে বেরতো নিষেধ করা হয়েছে। যদিও খুব প্রয়াজনে বাইরে বেরোলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রুখতে এই সামাজিক দূরত্বকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে বলছেন চিকিৎসকরা। এই পরিস্থিতিতে এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা মেনেই এক মিটারের দূরত্ব মেনেই বাইক (Motorbike) তৈরি করলেন এক ব্যক্তি।

কোভিড-১৯ বাইক (Photo Credits: AFP)

আগরতলা, ১ মে: করোনাভাইরাসের (Coronavirus) জেরে দেশজুড়ে লকডাউন জারি রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে বাড়ির বাইরে বেরতো নিষেধ করা হয়েছে। যদিও খুব প্রয়াজনে বাইরে বেরোলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রুখতে এই সামাজিক দূরত্বকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে বলছেন চিকিৎসকরা। এই পরিস্থিতিতে এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা মেনেই এক মিটারের দূরত্ব মেনেই বাইক (Motorbike) তৈরি করলেন এক ব্যক্তি।

যাত্রী এবং চালকের মধ্যে ১ মিটারের ব্যবধান রাখতেই মূলত এই বিশেষ মোটরবাইক তৈরি করেন বছর ৩৯-এর ওই ব্যক্তি। মাঝপথেই স্কুল ছেড়ে দেওয়া পার্থ সাহা (Partha Saha) নামের ওই ব্যক্তি। করোনা প্রেক্ষাপটে তৈরি এই বাইকের নাম দিয়েছেন ‘কোভিড-১৯’ বাইক। ৩৯ বছর বয়সি পার্থ বলেন, “আমি এই বাইটিকে অন্যরকম করে তোলার জন্য সাইকেলের সিট ব্যবহার করেছি। পিছনের সিটের সঙ্গে দূরত্ব রেখেছি ১ মিটারের। ৭৫০ ওয়াটের ডিসি মোটর ব্যবহার করেছি এবং ৪৮ ওয়াটের ব্যাটারি লাগিয়েছি। ব্যাস।” তিনি বলেন, এই বাইকে এখন আমি এবং আমার মেয়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রা করতে পারি।" আরও পড়ুন: Kolkata: আইসোলেশনে থাকা রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত সাগরদত্ত মেডিকেল কলেজ, ভাঙচুর

পার্থবাবু জানান, পুরনো মোটরবাইক দিয়ে এই যানবাহন তৈরি করতে তাঁর সঞ্চয়ের থেকে বেশ কিছু টাকা খরচা হয়েছে। তবে লকডাউন উঠলে মেয়েকে স্কুল ও টিউশনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই যানবাহনটি ব্যবহার করার পরিকল্পনা নিয়ে এই যানবাহনটি তিনি তৈরি করেন বলে জানিয়েছেন। কারণ তিনি চান না তাঁর মেয়ে ভিড়ের মধ্যে স্কুল বাসে উঠুক।

পার্থবাবুর তৈরি এই যানবাহনটি ব্যাটারি চালিত। এছাড়া সর্বাধিক গতি ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। এর ব্যাটারিটি চার্জ করতে প্রায় ঘন্টা তিনেক সময় লাগে। একবার চার্জ দিলে ব্যায় হয় ১০ টাকার কারেন্ট। বাইকটি একসঙ্গে ৮০ কিলোমিটার চলতে পারে।

পার্থবাবুর এই উদ্ভাবনীর প্রশংসা করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব (Biplab Kumar Deb)। তাঁর কথায়, প্রয়োজনীয়তাই আবিষ্কারের জননী। কোভিড-১৯ এর মতো এক মহামারীতে সচেতনতা তৈরি করার জন্য এই বিশেষ মোটরবাইক বানানোর জন্য আমি পার্থ সাহাকে অভিনন্দন জানাই।”