Palace On Wheels: ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে চলবে ভারতের রাজকীয় ট্রেন, জেনে নিন এই রাজকীয় ট্রেনে ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য...

Credit: Twitter or X

প্যালেস অন হুইলস, শুধুমাত্র ভারতে নয়, গোটা বিশ্বের অন্যতম রাজকীয় ট্রেন। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করছে এই ট্রেন। ১৮টি শহর জুড়ে চলবে এই রাজকীয় ট্রেন৷ রেলের আধিকারিকদের মতে, এই রাজকীয় সফরে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই কয়েকশো মানুষ বুকিং করেছেন এবং আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে এই সংখ্যা। ২০২৪ সালে প্যালেস অন হুইলে পর্যটকদের স্মরণীয় যাত্রার জন্য ব্যয় করা হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ট্রেনের ভিতরের অংশ রাজকীয়ভাবে সাজানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে কাঠ, মেক্সিকান ফ্যাব্রিক এবং সোনালি-মিরর, যা এই ট্রেনকে আরও সুন্দর এবং বিলাসবহুল করে তুলেছে।

প্রতিটি কোচকে ভিন্ন ভিন্ন রাজকীয় চেহারা দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিটি পর্যটন স্পটের থিম অনুযায়ী বিশেষ সাজসজ্জা করা হয়েছে এই ট্রেনের। প্যালেস অন হুইলস ৩২ টি রাউন্ড করবে এই মরসুমে। দিল্লি থেকে শুরু করে জয়পুর, সাওয়াই মাধোপুর, চিতোরগড়, উদয়পুর, আজমির, জয়সলমীর, যোধপুর, ভরতপুর এবং আগ্রার তাজমহলে পৌঁছাবে এই ট্রেনটি। রাজপরিবারের মতো ফাইভ-স্টার সুবিধা সহ কক্ষে থাকার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা। প্রতিটি শহরে যাওয়ার জন্য ভলভো কোচ এবং গাইডের সুবিধাও পাওয়া যাবে। প্যালেস অন হুইলস-এ যাত্রীদের বিলাসবহুল অনুভূতি দিতে গত বছর ৬ কোটি টাকা এবং এই বছর ২.৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে৷

এই ট্রেনের মাধ্যমে ৭ দিনে ৮টি শহরে ভ্রমণ করা যাবে এবং সমস্ত খরচ প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই ট্রেনের একটি কক্ষের ভাড়া ১২ লক্ষ টাকা থেকে শুরু৷ এই ট্রেনে ২০ দিনের পরিবর্তে মাত্র ৭ দিনে রাজস্থান এবং আগ্রার তাজমহল পরিদর্শন করা সম্ভব। এবার প্যালেস অন হুইলসকে নতুন রূপ দেওয়ার জন্য হয়েছে রাজপুতানা, গুজরাট এবং হায়দ্রাবাদের নিজামদের শৈলীতে সাজানো হয় এই ট্রেনটি। ট্রেনের ভিতরে কাঠের কাজের পাশাপাশি করিডোর, আলমারি ও বিছানায় মেক্সিকান এবং বোম্বে ডাইং ফ্যাব্রিক ব্যবহার করা হয়েছে, যা প্রথমবার ব্যবহৃত হয়েছে এই ট্রেনেই।

প্যালেস অন হুইলসকে রাজপ্রাসাদের মতো দেখানোর জন্য ইনলে মার্বেল, রৌপ্য এবং পিতলের উপর কারুকার্য করা হয়েছে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আগুন-বান্ধব নয় এমন ধাতু ও কাঁচও ব্যবহার করা হয়েছে এই ট্রেনে। যাত্রীদের একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা দেবে এই ট্রেন। প্যালেস অন হুইলস তার বিলাসবহুল সুবিধার জন্য বিখ্যাত। এই ট্রেন রাজকীয় খাবারের পাশাপাশি আরামদায়ক বাসস্থান উভয়ই প্রদান করবে। ট্রেনে মহারাজা ও মহারানি নামের দুটি রেস্তোরাঁকে নতুন করে ডিজাইন করা হয়েছে এবং বেড ওয়ার্ক এরিয়াতে হেডবোর্ড এরিয়া বাড়ানো হয়েছে যাতে এই রাজকীয় অভিজ্ঞতায় কোনও খামতি না থাকে।