Bihar Shrabani Fair: বিহার শ্রাবণী মেলায় প্রতিদিন হয় গঙ্গা আরতি, কানওয়ার যাত্রীদের জন্য তৈরি হচ্ছে তাঁবুর শহর

শ্রাবণ মাসে অনেক সংখ্যক কানওয়ার যাত্রী বাবা বৈদ্যনাথের জলাভিষেক করার জন্য ভাগলপুরের সুলতানগঞ্জ থেকে গঙ্গার জল নিয়ে যান ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে। রাজ্যের পর্যটন দফতর সমস্ত সম্ভাব্য প্রস্তুতি করেছে যাতে কোনও ধরণের সমস্যার সন্মুখীন না হতে হয় ভক্তদের। বিশ্ব বিখ্যাত বিহার শ্রাবণী মেলা শুরু হতে মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। বিহার শ্রাবণী মেলা আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পর্যটন বিভাগ। পর্যটন দফতরের মন্ত্রীর মতে, আধিকারিকদের দল শ্রাবণী মেলার স্থান থেকে ঝাড়খণ্ড সীমান্ত পর্যন্ত ন্যায্য পথ পরিদর্শনের ব্যবস্থা করেছে।

কানওয়ার যাত্রীদের থাকার জন্য বাঁকা, মুঙ্গের এবং সুলতানগঞ্জে তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেখানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবে ভক্তরা। মুঙ্গেরের ধোবাইতে ২০০ শয্যার, ২০০ জনের খাবার এবং বাঙ্কার আবরখাতে ৬০০ শয্যার তাঁবু তৈরি করেছে। সুলতানগঞ্জে ২০০ শয্যার তাঁবু তৈরি করেছে। প্রতিটি তাঁবু নগরীতে তৈরি করা হয়েছে ৫০০ থেকে ১ হাজার কানওয়ার স্ট্যান্ড। বিহারে শ্রাবণী মেলা চলাকালীন সুলতানগঞ্জে গঙ্গার তীরে মোতায়েন থাকবে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এছাড়া গঙ্গা আরতিরও ব্যবস্থা থাকবে। কানওয়ার যাত্রীদের বসার জন্য বিভিন্ন জায়গায় বেঞ্চ তৈরি করা হয়েছে এবং কানওয়ার যাত্রীদের বসার জন্য তৈরি করা হয়েছে সুসজ্জিত স্ট্যান্ড।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য রয়েছে যথাযথ ব্যবস্থা, আবর্জনা সংগ্রহ ও অপসারণ অব্যাহত থাকবে। এছাড়া পুরো শ্রাবণী মেলা এলাকায় ব্যবস্থা রয়েছে পানীয় জলের। নিয়মিত পরিষ্কার করা হবে টয়লেট। কোনও ভক্তের কোনও সমস্যা হলে সমাধানের জন্য চালু করা হবে ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন। এই মেলায় রাজ্যের বাইরে থেকেও আসে বিপুল সংখ্যক কানওয়ার যাত্রী। বিহার থেকে ফেরার পরও যেন বিহারের ভালো ভাবমূর্তি তাদের মধ্যে থাকে সেই চিন্তা থেকেই কাজ করছে বিভাগ। তাঁবুর নগরীতে কানওয়ার যাত্রীদের বিনোদনের জন্য আয়োজন করা হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।