Subhas Chandra Bose Jayanti 2024: সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৭ তম জন্মবার্ষিকীর আগে তাঁর সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য রইল

২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্ম জয়ন্তী। ১২৭ তম জন্মবার্ষিকীর আগে বসুর সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

Netaji Subhas Chandra Bose (Photo Credit: File Image)

Subhas Chandra Bose Jayanti: দেশবাসীর অমর সন্তান নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু (Subhas Chandra Bose)-র জন্মদিনটি গোটা দেশ জুড়ে পালিত হয়। ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্ম জয়ন্তী। ১২৭ তম জন্মবার্ষিকীর আগে বসুর সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

ভারতের অন্যতম বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী (Freedom Fighter) ছিলেন সুভাষ চন্দ্র বসু। ২৩ জানুয়ারি দিনটি ভারতে পরক্রম দিবস বা ‘বীরত্বের দিন’ হিসাবে পালিত হয়। সুভাষ চন্দ্র বসু ১৮৯৭ সালে ওড়িশার কটকে একটি বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা জানকীনাথ বসু ও মা প্রভাবতী দেবীর ১৪ সন্তানের মধ্যে নবম ছিলেন সুভাষ।

জানকীনাথ বসু একজন প্রসিদ্ধ আইনজীবী ছিলেন। সুভাষকে প্রথমে কটকের প্রোটেস্ট্যান্ট ইউরোপীয়ান স্কুলে ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর বারো বছর বয়সে তিনি কটকের র‌্যাভেনশা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। তারপর তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ও স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়াশোনা করেন। বিবেকানন্দের আদর্শই তাঁকে স্বাধীনতা সংগ্রামী হতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।  আরও পড়ুন: Swami Vivekananda Jayanti 2024: আর কিছু দিন পরেই জাতীয় যুব দিবস, তাঁর আগে রইল স্বামী বিবেকানন্দের জীবন থেকে তুলে আনা পাঁচটি মজার ঘটনা

১৯২০ সালে ইংল্যান্ডে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান পেয়ে পাশ করে সুভাষ চাকরি শুরু করেন। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের অধীনে তিনি চাকরি করতে চাননি। একবছর পরই ইস্তফা দেন।  ১৯২১ সালে তিনি ভারতে ফিরে আসার পর তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে যোগ দেন। তরুণ সুভাষের রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু ছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। তিনি ১৯৩৮ সালে সভাপতি হন। তবে জাতীয় আন্দোলনের বিষয় নিয়ে গান্ধীর সঙ্গে মতপার্থক্য দেখা দেয়। বোস ১৯৩৯ সালে পদত্যাগ করেন।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১৯৩৭ সালে তাঁর সেক্রেটারি এবং অস্ট্রেলিয়ান যুবতী এমিলির সঙ্গে বিয়ে হয়। ১৯৪২ সালে ২৯ নভেম্বর তাঁদের কন্যা অনিতা বসুর জন্ম হয়। অনিতা বসু পাফ বর্তমানে জার্মানিতে থাকেন।

সুভাষ চন্দ্র বসু জার্মানিতে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন, সেখানে তিনি ভারতের স্বাধীনতার জন্য সমর্থন জোগাড় করার চেষ্টা করেছেন। সেখানেই তিনি ভারতীয় সৈন্যদল গড়ে তোলেন। সৈন্যদলের সদস্যরা তাঁকে নেতাজি উপাধি দিয়েছিলেন বলে মনে করা হয়।

১৯৪৩ সালে আজাদ হিন্দ ফৌজ নেতাজির নেতৃত্বে ইংরেজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এক বছর পর ভারতের কোহিমা ও ইম্ফলের কাছে ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় নেতাজির সেনা দল।

১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্ট তাইওয়ানে একটি বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। কেউ কেউ বিশ্বাস করতেন যে তিনি দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন এবং আত্মগোপন করে ছিলেন। ২০১৫ সালে ভারত সরকার নেতাজি সম্পর্কিত কিছু ফাইল শ্রেণিবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।