বর্গী আক্রমণ রুখতেই শিবনিবাসে রাজধানী সরিয়ে আনেন মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র
আড়াইশো বছরের এক গৌরবময় ইতিহাসের পাঠ নিতে একদিনের জন্য যেতে পারেন শিবনিবাসে। কৃষ্ণনগর থেকে কৃষ্ণগঞ্জ হয়ে সড়কপথে শোনঘাটা। শোনঘাটা পেরোতেই ডান দিকে নজরে পড়বে ‘বাসযাত্রী বিশ্রামাবাস, শিবনিবাস’। ডান দিকের পথ ধরে চলে এসো নদীর পারে। নৌকা থাকবে ঘাটে। নিয়মিত পারাপার চলছে। নদী পেরিয়ে চলে এসো শিবনিবাসে।
ছুটিতে ছোটাছুটি করবেন না তো কবে করবেন, তবে সেই ছোটাছুটি যদি হয় বেড়াতে যাওয়ার তাহলে তো সোনায় সোহাগা। সপ্তাহান্তে ছুটি মিলতেই ঝোলা কাঁধে বেরিয়ে পড়ুন দেখি মন এমনিই ভাল হয়ে যাবে। আমাদের বাংলায় দর্শনীয় স্থানের শেষ নেই শুধু খুঁজেপেতে যাওয়ার উদ্যোগ করতে হবে এই যা। করে ফেললেই হল, তারপর শুধু হারিয়ে যাওয়ার পালা। টইটইয়ের পর্ব ১৬-তে আজ রইল নদিয়ার(Nadia) শিবনিবাসের ইতিবৃত্ত।
শিবনিবাস(Shiv Niwas)
এই বাংলাতেও রয়েছে শিবনিবাস জানেন কী?আড়াইশো বছরের এক গৌরবময় ইতিহাসের পাঠ নিতে একদিনের জন্য যেতে পারেন শিবনিবাসে। কৃষ্ণনগর থেকে কৃষ্ণগঞ্জ হয়ে সড়কপথে শোনঘাটা। শোনঘাটা পেরোতেই ডান দিকে নজরে পড়বে ‘বাসযাত্রী বিশ্রামাবাস, শিবনিবাস’। ডান দিকের পথ ধরে চলে এসো নদীর পারে। নৌকা থাকবে ঘাটে। নিয়মিত পারাপার চলছে। নদী পেরিয়ে চলে আসুন শিবনিবাসে। আরও এক ভাবে আসা যায় এখানে। শিয়ালদহ থেকে গেদে প্যাসেঞ্জারে কৃষ্ণনগর পেরিয়ে তারকনগর হল্ট। সেখান থেকে রিকশায় শিবনিবাস।মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র বর্গী(King Krishnachandra) হামলার সময় এখানে রাজধানী সরিয়ে আনেন। শত্রুর হাত থেকে রাজধানীকে রক্ষা করতে খাল কাটলেন। ইছামতী আর চূর্ণি নদীকে(Churni River) জুড়ল সেই খাল।। সেই খালই আজকের কংকনা নদী, যে নদী পেরিয়ে এসেছ এই শিবনিবাসে। ১০৮ শিবের বসত ছিল এই শিবনিবাস। লোকে বলত, “শিবনিবাস তুল্য কাশী, ধন্য নদী কংকনা”, ছিল রাজপ্রাসাদও। মাত্র তিনটি মন্দির টিকে আছে। বাকি সব ধ্বংস, যার চিহ্ন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শিবনিবাসে।
নদীর ঘাট থেকেই নজরে পড়ে সুউচ্চ মন্দিরের চুড়ো। সামান্য হাঁটাপথ। গুটিগুটি পায়ে চলে এসো মন্দির প্রাঙ্গণে। একেবারে ডান দিকের মন্দিরটি সব চেয়ে উঁচু রাজরাজেশ্বর শিবমন্দির। লোকমুখে বুড়ো শিবের মন্দির বলে খ্যাত। চুড়ো সমেত এই মন্দিরের উচ্চতা ১২০ ফুট, আটকোনা মন্দির, প্রতিটি কোনায় মিনার ধরনের সরু থাম। এক ঝলক দেখলে গির্জা বলে মনে হয়। মন্দিরের ভিতর কালো শিবলিঙ্গ, উচ্চতা ১১ ফুট ৯ ইঞ্চি, বেড় ৩৬ ফুট। সিঁড়ি দিয়ে উঠে শিবের মাথায় জল ঢালতে হয়। পূর্ব ভারতে এতো বড় শিবলিঙ্গ আর নেই।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)