International Tea Day 2024: কবে এবং কিভাবে জন্ম হয় চায়ের? জেনে নিন আন্তর্জাতিক চা দিবসের কিছু জানা অজানা তথ্য...

পানীয় জলের পর সবচেয়ে সস্তা পানীয় হল চা। প্রাচীনকাল থেকেই চা-কে মনে করা হয় স্বাস্থ্যকর পানীয়। কয়েক হাজার বছর ধরে চাষ করা হচ্ছে চা গাছ। ঔষধির কাজেও ব্যবহার করা হয় চা গাছের পাতা। তাই চা পান করার মাধ্যমে মানুষ এর ঔষধি উপকারিতাও পায়। যেমন গ্রিন টি-এর ক্যান্সার প্রতিরোধক প্রভাবের কারণে এর প্রতি মানুষের উৎসাহ বেড়ে গিয়েছে। এছাড়াও লিকার চা বা ব্ল্যাক টিও অনেক ক্ষেত্রে উপকারী বলে প্রমাণিত হয়। বিপাকীয় স্বাস্থ্য রক্ষণাবেক্ষণ সহ বহু ছোট ছোট স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির জন্য চা খুবই উপকারী।

আনুমানিক প্রায় ৫ হাজার বছর আগে চা পান করা শুরু হয় চীনে। চীনের সম্রাট শেন নুং তার সৈন্যদের সঙ্গে একটি গাছের নীচে আশ্রয় নেওয়ার সময় প্রথমবার পান করেছিলেন চা। তিনি গাছের নীচে একটি পাত্রে জল গরম করছিলেন, এমন সময় উড়ে এসে চা পাতা ওই গরম জলে মিশে যায়। এরপর রং বদলে যায় গরম জলের এবং পান করার পর সুস্বাদু লাগে। এই ভাবেই জন্ম হয় চায়ের। বর্তমানে চা বিশ্বের অনেক দেশের প্রধান পানীয় এবং চায়ের বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ হল চীন।

আন্তর্জাতিক চা দিবসের জন্য ২০০৫ সালে প্রথম আন্দোলন শুরু করেছিল এশিয়া ও আফ্রিকার ট্রেড ইউনিয়ন, ছোট চা উৎপাদনকারী এবং সামাজিক সংগঠনগুলি। তাদের এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল চা চাষীদের এবং শ্রমিকদের মজুরির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। জাতিসংঘ পরে ২১ মে দিনটিতে আন্তর্জাতিক চা দিবস পালন করার ঘোষণা করে। তবে ভারতে প্রতি বছর ১৫ ডিসেম্বর পালন করা হত আন্তর্জাতিক চা দিবস। কিন্তু ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্তের পর থেকে ভারতেও ২১ মে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক চা দিবস।