Monkeypox Q&A: ভারতে মাঙ্কিপক্সের হানায় ৪ জন ধরাশায়ী, এই ভাইরাসের হালহকিকত জানুন
দেশে এখনও পর্যন্ত চারজন মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের (Monkeypox Q&A) সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে তিনজন কেরালার ও একজন দিল্লির। সর্বশেষ খবর হল, রাজধানীর বছর ৩৪-এর বাসিন্দার শরীরে মাঙ্কিপক্সের জীবাণু মিলেছে।
নতুন দিল্লি, ২৫ জুলাই: দেশে এখনও পর্যন্ত চারজন মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের (Monkeypox Q&A) সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে তিনজন কেরালার ও একজন দিল্লির। সর্বশেষ খবর হল, রাজধানীর বছর ৩৪-এর বাসিন্দার শরীরে মাঙ্কিপক্সের জীবাণু মিলেছে। তিনি কোনওদিনই বিদেশে যাননি। লোকনায়ক হাসপাতালে নিভৃতবাসে তাঁর চিকিৎসা চলছে। সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশের মানালিতে ছেলেদের একটি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন ওই যুবক।
উল্লেখ্য, মাঙ্কিপক্স বিশ্বের অনেক দেশেই ছড়িয়েছে। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ (Union Health Secretary Rajesh Bhushan) জানিয়েছেন যে সন্দেহভাজন সংক্রমণ দ্রুত শনাক্ত এবং বিচ্ছিন্ন করার জন্য সমস্ত প্রবেশ পথে কঠোর নজরদারি ব্যবস্থা থাকা উচিত। রাজ্যে প্রবেশের পয়েন্টগুলিতে স্ক্রিনিং দল, নজরদারি দল এবং ডাক্তারদের মোতায়েন করতে হবে। তাঁদের থেকে প্রতিনিয়ত রিপোর্ট নিতে হবে। যাতে সন্দেহভাজন সম্ভাব্য সংক্রমণ শনাক্ত করে আলাদা করা যায়। আরও পড়ুন-Kolkata: পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতাকে আনা হল ESIC মেডিক্যাল কলেজে, দেখুন ছবি
রাজ্যগুলিকে ন্যাশনাল এইডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন দ্বারা চিহ্নিত এলাকাগুলিতে স্ক্রিনিং ও টেস্ট করতেও বলেছে কেন্দ্র। রাজেশ ভূষণ চিঠিতে বলেছেন, "রোগীকে বিচ্ছিন্ন করা, পর্যবক্ষণ, সহায়ক থেরাপি, অবিরত পর্যবেক্ষণ এবং সময়মতো চিকিৎসা মৃত্যু প্রতিরোধের সর্বোত্তম ব্যবস্থা হিসাবে রয়ে গিয়েছে।"
এছড়াও মাঙ্কিপক্সের সন্দেহভাজন সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য চিহ্নিত হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত মানবসম্পদ এবং লজিস্টিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।" তিনি উল্লেখ করেছেন যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে ১ জানুয়ারি থেকে ২২ জুন পর্যন্ত বিশ্বের ৫০টি দেশে মোট ৩ হাজার ৪১৩টি মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বেশিরভাগ সংক্রমণ ছড়িয়েছে ইউরোপ (৮৬ শতাংশ) এবং আমেরিকায় (১১ শতাংশ)।
মাঙ্কিপক্স কী?
মাঙ্কিপক্স হল একটি ভাইরাল জুনোসিস (প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত একটি ভাইরাস) যা অতীতে গুটিবসন্তের রোগীদের মধ্যে দেখা যায় এমন লক্ষণগুলির মতো, যদিও এটি চিকিৎসাগতভাবে কম গুরুতর
মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের দুটি স্বতন্ত্র জেনেটিক ক্লেড রয়েছে - মধ্য আফ্রিকান (কঙ্গো বেসিন) ক্লেড এবং পশ্চিম আফ্রিকান। কঙ্গো বেসিন ক্লেড ঐতিহাসিকভাবে আরও গুরুতর রোগ সৃষ্টি করেছে এবং এটি আরও সংক্রমণযোগ্য বলে মনে করা হয়।
উপসর্গ কী এবং কতদিনে সুস্থতা?
মাঙ্কিপক্স সাধারণত একটি স্ব-সীমিত রোগ যার উপসর্গ ২ থেকে৪ সপ্তাহ স্থায়ী হয়। সাধারণ জনসংখ্যার ক্ষেত্রে মৃত্যুহারের অনুপাত ঐতিহাসিকভাবে শূন্য থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত এবং ছোট বাচ্চাদের মধ্যে বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে এর মৃত্যুর অনুপাত প্রায় তিন থেকে ৬ শতাংশের কাছাকাছি।
মাঙ্কিপক্স সাধারণত জ্বর, মাথাব্যথা, তিন সপ্তাহ পর্যন্ত ফুসকুড়ি, গলা ব্যথা, কাশি এবং ফোলা লিম্ফ নোড হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে মনুষ্য শরীরে। লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ক্ষতগুলি, যা সাধারণত জ্বর শুরু হওয়ার এক থেকে তিন দিনের মধ্যে শুরু হয়, প্রায় ২ থেকে ৪ সপ্তাহ স্থায়ী হয় এবং প্রায়শই চুলকোনা হয়ে গেলে ব্যথা বেদনা বাড়তে পারে।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)