মহিলারা এবার থেকে যেকোনও দিন টিপু সুলতান ও নাখোদা মসজিদে নামাজ পড়তে পারবেন, কেন জানেন?
গত বছর রোজার সময় মহিলাদের ইফতার ও নামাজের জন্য পৃথক ব্যবস্থা করেছিল কলকাতার (Kolkata) শতাব্দী প্রাচীন টিপু সুলতান মসজিদের (Tipu Sultan mosque) কর্তৃপক্ষ। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে একই সঙ্গে নয়া অধ্যায়ও শুরু হতে চলেছে এই বছর থেকেই। অল বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের আবেদনে সাড়া দিয়ে মহিলাদের বছরভর নামাজ (namaz) পড়ার বন্দোবস্ত করবে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা, ৩০মে: গত বছর রোজার সময় মহিলাদের ইফতার ও নামাজের জন্য পৃথক ব্যবস্থা করেছিল কলকাতার (Kolkata) শতাব্দী প্রাচীন টিপু সুলতান মসজিদের (Tipu Sultan mosque) কর্তৃপক্ষ। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে একই সঙ্গে নয়া অধ্যায়ও শুরু হতে চলেছে এই বছর থেকেই। অল বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের আবেদনে সাড়া দিয়ে মহিলাদের বছরভর নামাজ (namaz) পড়ার বন্দোবস্ত করবে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। শুধু টিপু সুলতান মসজিদ নয়, এই আবেদনে সাড়া দিয়েছে নাখোদা মসজিদ (Nakhoda mosque) কর্তৃপক্ষও। সেখানেও খুব শিগগির মহিলাদের জন্য স্থায়ী নামাজ কক্ষ, শৌচালয় তৈরি হচ্ছে। বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন মহিলাদের জন্যও সেখানে সুব্যবস্থা থাকবে।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে দুই মসজিদ কমিটি, কলকাতা পুরসভার সঙ্গে একপ্রস্থ কথাও হয়ে গিয়েছে। সামনে মাসের প্রথম সপ্তাহে রমজান ফুরিয়ে ইদ আসছে। তারপরেই নির্মাণ কার্য শুরু হয়ে যাবে। আগামী বছর ইদের আগেই উল্লেখিত দুই মসজিদে পর্দা ঘেরা নামাজ কক্ষ পাবেন মহিলারা। সঙ্গে থাকবে পৃথক শৌচালয়। বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্নদের জন্যও শৌচালয় তৈরি করা হবে। বিষয়টি নিয়ে মসজিদের তরফে চিঠি গিয়েছে পুরসভার দপ্তরে।
এই প্রসঙ্গে নাখোদা মসজিদের ইমাম শাফিক কোয়াসমি জানিয়েছেন, “নামাজের জন্য ফি দিন প্রচুর মানুষ জমায়েত হন মসজিদে। মেয়েদের এক কোণায় বসে নামাজ পড়তে হয়। এবার থেকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবে মসজিদের ম্যানেজিং কমিটি। মহিলাদের জন্য অন্যান্য সুবিধাও আনা হবে।” ইমামের কথায়, নাখোদা মসজিদ ঠিক করেছে তাদের তিনটি প্রবেশ দ্বারের একটি শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট থাকবে। এমনকী মহিলাদের সুবিধার জন্য পর্দা দিয়ে ঢাকা পৃথক ঘরের ব্যবস্থাও রাখা হবে।
উল্লেখ্য, ১৮৪২ সালে টিপু সুলতানের কনিষ্ঠ পুত্র প্রিন্স গুলাম মহম্মদ এই টিপু সুলতান মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় নাখোদা মসজিদ। কিন্তু এত বছর পর এবারই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল এই দুই মসজিদ। এতে খুশি ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায়।