Nabapatrika| Durga Puja 2020: সপ্তমীর সকালে নবপত্রিকা স্নানের মাহাত্ম্য জানেন?

সপরিবারে দুর্গাপ্রতিমার ডানদিকে ঠিক গণেশের পাশে লাল পেড়ে সাদা শাড়িতে ঘোমটায় ঢাকা কলা গাছ দেখতে পাওয়া যায়। কলা বউ কিংবা গণেশের স্ত্রী নামে পরিচিত এটি আদতে 'নবপত্রিকা', গণেশের জননী মা দুর্গা। আক্ষরিক অর্থে নবপত্রিকার আক্ষরিক অর্থ ন'টি পাতা, তবে ন'টি গাছ নিয়ে নবপত্রিকা তৈরি করা হয়। এই ন'টি গাছ মা দুর্গার নয় শক্তির প্রতীক, এরমধ্যে রয়েছে- কদলী বা রম্ভা ( কলা গাছ ), কচু, হরিদ্রা ( হলুদ ), জয়ন্তী , বিল্ব( বেল ), দাড়িম্ব ( দাড়িম ), অশোক,মান ও ধান। সপত্র কলাগাছের সঙ্গে অপর আট টি সপত্র গাছ একসঙ্গে দুটি বেলের সঙ্গে অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে লাল পাড় সাদা শাড়ি পড়িয়ে ঘোমটা দিয়ে নতুন বউয়ের আকারে সাজানো হয়।

কলাবউ বা নবপত্রিকা স্নান। Photo Source: Wikipedia

সপরিবারে দুর্গাপ্রতিমার ডানদিকে ঠিক গণেশের পাশে লাল পেড়ে সাদা শাড়িতে ঘোমটায় ঢাকা কলা গাছ দেখতে পাওয়া যায়। কলা বউ কিংবা গণেশের স্ত্রী নামে পরিচিত এটি আদতে 'নবপত্রিকা', গণেশের জননী মা দুর্গা। আক্ষরিক অর্থে নবপত্রিকার আক্ষরিক অর্থ ন'টি পাতা, তবে ন'টি গাছ নিয়ে নবপত্রিকা তৈরি করা হয়। এই ন'টি গাছ মা দুর্গার নয় শক্তির প্রতীক, এরমধ্যে রয়েছে- কদলী বা রম্ভা ( কলা গাছ ), কচু, হরিদ্রা ( হলুদ ), জয়ন্তী , বিল্ব( বেল ), দাড়িম্ব ( দাড়িম ), অশোক,মান ও ধান। সপত্র কলাগাছের সঙ্গে অপর আটটি পাতা-সহ গাছ একসঙ্গে দুটি বেলের সঙ্গে অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে লাল পাড় সাদা শাড়ি পড়িয়ে ঘোমটা দিয়ে নতুন বউয়ের আকারে সাজানো হয়। এরপর সেটা রাখা হয় গণেশ ঠাকুরের ডানদিকে।

নবপত্রিকার নয় দেবী হলেন রম্ভাধিষ্ঠাত্রী ব্রহ্মাণী, কচ্বাধিষ্ঠাত্রী কালিকা, হরিদ্রাধিষ্ঠাত্রী উমা, জয়ন্ত্যাধিষ্ঠাত্রী কার্তিকী, বিল্বাধিষ্ঠাত্রী শিবা, দাড়িম্বাধিষ্ঠাত্রী রক্তদন্তিকা, অশোকাধিষ্ঠাত্রী শোকরহিতা, মানাধিষ্ঠাত্রী চামুণ্ডা ও ধান্যাধিষ্ঠাত্রী লক্ষ্মী। নয় দেবী একসঙ্গে "নবপত্রিকাবাসিনী নবদুর্গা" নামে নবপত্রিকাবাসিন্যৈ নবদুর্গায়ৈ নমঃ মন্ত্রে পূজিতা হন। মহাসপ্তমীর দিন সকালে নিকটস্থ নদী বা কোনো জলাশয়ে নবপত্রিকার স্নান করিয়ে নতুন শাড়ি পরানো হয় এবং পূজামণ্ডপে নবপত্রিকা প্রবেশের পর দর্পণে দেবীকে মহাস্নান করানো হয় এরপর বাকি দিন দেবী দুর্গার সঙ্গে পুজো করা হয় নবপত্রিকার। নবপত্রিকা প্রবেশের পূর্বে পত্রিকার সম্মুখে দেবী চামুণ্ডার আবাহন ও পূজা করা হয়, এটি বিশেষ লক্ষণীয়।

কলা গাছ এর অধিষ্টাত্রী দেবী ব্রহ্মাণী , কচু গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী কালিকা, হরিদ্রা গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী উমা, জয়ন্তী গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী কার্ত্তিকী, বিল্ব গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী শিবা, দাড়িম্ব গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী রক্তদন্তিকা, অশোক গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী শোকরহিতা, মান গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী চামুন্ডা ও ধান গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী লক্ষ্মী। কৃত্তিবাসী রামায়নে নবপত্রিকা পুজোর উল্লেখ পাওয়া গেছে, "বাঁধিলা পত্রিকা নব বৃক্ষের বিলাস"। অন্যদিকে, মার্কণ্ড পুরানে নবপত্রিকা পূজার বিধান নেই। দেবী ভাগবতে নব দুর্গার উল্লেখ থাকলেও নবপত্রিকার উল্লেখ নেই। কালিকা পুরানে এই নিয়ম না থাকলে সপ্তমী তে পত্রিকা পূজার কথা আছে। গবেষকদের মতে, নবপত্রিকার পূজা প্রকৃতপক্ষে শস্যদেবীর পূজা।