Durga Puja 2020: পরিযায়ী শ্রমিক মায়ের রূপে এবার দেবী দুর্গা, শিল্পী পল্লব ভৌমিকের ভাবনাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন নেটিজেনরা

লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার সাক্ষী গোটা দেশ। বছরভর পরিশ্রমের পর কোলের সন্তান নিয়ে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে পায়ে হেঁটে অতিক্রম করতে দেখা গেছে পরিযায়ী শ্রমিক মায়েদের। কৃষ্ণনগরের শিল্পী পল্লব ভৌমিক এইভাবেই এবছর দেখছেন দেবী দুর্গাকে। তাঁর চোখে পরিযায়ী শ্রমিক যে মায়েরা কয়েক হাজার কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে জয় করেছে তাঁরাই দুর্গা। এই ভাবনাই ফুটে উঠেছে তাঁর কাজে।

শিল্পী পল্লব ভৌমিকের ভাবনায় দেবী দুর্গা (Picture Credits: Twitter)

কলকাতা, ১৬ অক্টোবর: লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার সাক্ষী গোটা দেশ। বছরভর পরিশ্রমের পর কোলের সন্তান নিয়ে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে পায়ে হেঁটে অতিক্রম করতে দেখা গেছে পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Workers) মায়েদের। কৃষ্ণনগরের শিল্পী পল্লব ভৌমিক এইভাবেই এবছর দেখছেন দেবী দুর্গাকে (Maa Durga)। তাঁর চোখে পরিযায়ী শ্রমিক যে মায়েরা কয়েক হাজার কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে জয় করেছে তাঁরাই দুর্গা। এই ভাবনাই ফুটে উঠেছে তাঁর কাজে।

কিন্তু কেন এই চিন্তাভাবনা? তিনি জানান, “লকডাউন ঘোষণার পর পরিযায়ী শ্রমিকদের দুরাবস্থার কথা সামনে এসেছিল সংবাদমাধ্যমে। এই অসহায় প্রেক্ষাপটই প্রভাবিত করেছিল আমায়। এবং এই মূর্তির মাধ্যমে নারী রূপকেই দেখানো হয়েছে। মাতৃত্ববোধকে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও সন্তানদের রক্ষা করার যে অদম্য জেদ, সেই জেদই প্রতিফলিত হয়েছে প্রতিমায়।” আরও পড়ুন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যের অবস্থার উন্নতি হয়েছে, জানালেন চিকিৎসকরা

বেহালার বড়িশা ক্লাবে এবার দুর্গাকে দেখা যাবে পরিযায়ী শ্রমিকের রূপেই। পল্লববাবু জানান, মহামারীর কারণে ঠিক ছিল না পুজোর। তাই শেষ লগ্নেই ক্লাবের আলোচনায় ডাক আসে তাঁর। গত কয়েক বছর ধরেই এই ক্লাবের থিমের বিভিন্ন কাজই করে আসছেন গভার্নমেন্ট আর্ট কলেজের এই শিল্পী। তবে বড়িশার হয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ এই বছর তাঁর প্রথম। মাটির বদলে ফাইবার দিয়েই তৈরি হয়েছে মূর্তিটি। উচ্চতা ১১ ফুট।