Hayagriva Jayanti 2024: হায়গ্রীব কে? জেনে নিন কবে এবং কেন পালিত হয় হায়গ্রীব জয়ন্তী...
বিষ্ণু পুরাণ অনুসারে, ভগবান বিষ্ণু পৃথিবীবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে যখনই অধর্ম মাথা তুলে দাঁড়াবে, তখনই অধর্ম ও অত্যাচারকে দমন করার জন্য পৃথিবীতে অবতারণ করবেন তিনি। এই অভিপ্রায় অনুসারে হায়গ্রীব রূপে অবতীর্ণ হন ভগবান বিষ্ণু। হায়গ্রীব অবতারে ভগবান বিষ্ণুর রূপ ছিল মানবদেহের সঙ্গে ঘোড়ার মাথা। হায়গ্রীবকে শিক্ষা ও জ্ঞানের দেবতা হিসেবে পুজো করা হয়। হায়গ্রীবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভাদ্র মাসের পূর্ণিমার দিন পুজো করা হয় তাঁর। ২০২৪ সালে হায়গ্রীব জয়ন্তী পালন করা হবে ১৯ আগস্ট, সোমবার।
হায়গ্রীব জয়ন্তীর পুজোর সময় হল ১৯ আগস্ট সকাল ০৪:১৯ মিনিট থেকে সকাল ০৬:৫৯ মিনিট পর্যন্ত, অর্থাৎ ০২ ঘন্টা ৩৭ মিনিট। হায়গ্রীব জয়ন্তীর দিন ব্রহ্মমুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরতে হবে। এরপর ভগবান শ্রী হরির ধ্যান করে উপবাস ও উপাসনার প্রতিজ্ঞা নিতে হবে। বাড়ির মন্দিরে পূর্ব বা উত্তর দিকে মুখ করে বসে ভগবান শ্রী হরি এবং ভগবান হায়গ্রীবের মূর্তির সামনে ধূপকাঠি জ্বালিয়ে মন্ত্র পাঠ করে পুজো শুরু করতে হবে। ভগবান বিষ্ণুকে অর্পন করতে হবে ফুল, রোলি, পান সুপারি এবং তুলসী পাতা। ভগবানকে ভোগ হিসেবে নিবেদন করতে হবে জাফরান ক্ষির, মরসুমি ফল এবং মিষ্টি। অবশেষে ভগবান বিষ্ণুর আরতি করে সকলকে প্রসাদ বিতরণ করতে হবে।
হায়গ্রীব নামের এক রাক্ষস আদিশক্তিকে খুশি করে হায়গ্রীবের হাতে নিজের মৃত্যুর বর পেয়েছিলেন। যেহেতু সেই সময়ে তাঁর মতো শক্তিশালী কোনও হায়গ্রীব ছিল না, তাই তিনি ভেবেছিলেন যে তিনি অমর হয়ে গিয়েছেন। এই বর পাওয়ার পর স্বৈরাচারী হয়ে পড়েন তিনি। এরপর দেবতা, ঋষি-মুনিদের হয়রানি করতে শুরু করেন তিনি। ব্রহ্মা দেবের কাছ থেকে বেদ চুরি করে সমুদ্রে ফেলে দিয়েছিলেন, যাতে পুজো, যজ্ঞের মতো কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান না করা যায়। তখন হায়গ্রীব রূপে অবতীর্ণ হন ভগবান বিষ্ণু এবং সমুদ্র থেকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনেন চারটি বেদ। এরপর তিনি রাক্ষস রাজা হায়গ্রীবকে বধ করে শান্তি ফিরিয়ে আনেন পৃথিবীতে।