Durga Puja 2022: দেবীদুর্গা সিংহবাহিনী হলেও মর্তে আসেন নির্দিষ্ট কয়েকটি বাহনে, এবার দেবীর আগমন ও গমন কোন যানে পঞ্জিকা কী বলছে ?
সিংহবাহিনী দেবী দুর্গা গজ বা ঘোড়া এই দু’প্রকার বাহন কিংবা নৌকা অথবা দোলা এই দু’প্রকার যানেই আগমন এবং গমন করেন। দেবী দুর্গার আগমন আর গমন যে যে যান-বাহনে হবে, তার উপরেই নির্ভর করবে সারা বছর কেমন যাবে!
বিশ্বকর্মা পুজো শেষ হলেই আকাশে বাতাসে দুর্গাপুজার (Durga Puja 2022) আগমন ধ্বনি বেজে ওঠে। এই সপ্তাহের শেষেই ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া(Mahalaya) দেবীপক্ষের শুরু। পুজোকে ঘিরে উৎসব ও তার রেশ দিন দশেক ধরে চললেও শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে দেবী দুর্গার পুজো তিনদিনের আর তার পরের দিন বিসর্জন। দেবী দুর্গা ও তাঁর পুত্র-কন্যার নিজস্ব বাহন থাকলেও আগমন ও প্রস্থানের বাহনের কথা আলাদা করে পঞ্জিকায় উল্লেখ করা থাকে। হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী, দুর্গার আগমন ও প্রস্থানের বাহন নির্ধারণ করে মর্তলোকে সারা বছর কেমন যাবে।
এ বছর দেবীর কীসে আগমন আর কীসে গমন?
এই বছর অর্থাৎ, ১৩২৯ বঙ্গাব্দ বা ২০২২ সালের ১৫ আশ্বিন, ২ অক্টোবর, রবিবার, মহাসপ্তমী। তাই দেবী এ বার গজ বা হাতিতে চড়ে আসছেন মর্ত্যে।
ফল: সুখ ও সমৃদ্ধি।
১৮ আশ্বিন, ৫ অক্টোবর, বুধবার, বিজয়া দশমী। তাই দেবী কৈলাসে ফিরবেন নৌকায় করে।
ফল: পৃথিবী শস্যপূর্ণ হয়ে উঠবে
শাস্ত্র অনুসারে বলা হয়, সিংহবাহিনী দেবী দুর্গা গজ বা হাতি অথবা ঘোটক বা ঘোড়া— এই দু’প্রকার বাহন কিংবা নৌকা অথবা দোলা এই দু’প্রকার যানেই আগমন এবং গমন করেন। দেবী দুর্গার আগমন আর গমন যে যে যান-বাহনে হবে, তার উপরেই নির্ভর করবে সারা বছর কেমন যাবে! পুজোর সপ্তমীতে দেবীর আগমন হয়, আর গমন দশমীতে। এই দুই দিন সপ্তাহের কোন কোন বারে পড়ছে, তার উপরেই নির্ভর করে দেবীর কীসে আগমন ও কীসে গমন।শাস্ত্রে বলা আছে-
রবি চন্দ্রে গজারূঢ়া, ঘোটকে শনি ভৌময়োঃ,
গুরৌ শুক্রে চ দোলায়াং, নৌকায়াং বুধবাসরে।"
অর্থাৎ,সপ্তমী ও দশমী যদি রবিবার বা সোমবার পড়ে তাহলে দেবীর গজে আগমন ও গজে গমন।সপ্তমী ও দশমী যদি মঙ্গলবার বা শনিবার পড়ে তাহলে দেবীর ঘোটকে আগমন ও ঘোটকে গমন। সপ্তমী ও দশমী যদি বুধবার পড়ে তাহলে দেবীর নৌকায় আগমন ও নৌকায় গমন। সপ্তমী ও দশমী যদি বৃহস্পতি বা শুক্রবার পড়ে তাহলে দেবীর দোলায় আগমন ও দোলায় গমন
কোন কোন যান-বাহনে আগমন-গমন হলে কী ফল:
গজ অর্থাৎ হস্তী বা হাতি সমৃদ্ধির প্রতীক
ফল: ‘গজে চ জলদা দেবী শস্যপূর্ণা বসুন্ধরা।’ অর্থাৎ, দেবীর গজে আগমন বা গমন হলে, পৃথিবী শস্যপূর্ণ হয়ে উঠবে, যা শুভ ফল নির্দেশ করে।
ঘোটক অর্থাৎ ঘোড়া ধ্বংস বা ছন্নছাড়ার প্রতীক
ফল: ‘ছত্রভংস্তুরঙ্গমে।’ অর্থাৎ, দেবীর ঘোটকে আগমন বা গমন হলে, চারিদিক ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়বে, যা ধ্বংসাত্মক এবং অশুভ ফল নির্দেশ করে।
নৌকা সমৃদ্ধির প্রতীক
ফল: ‘নৌকায়াং শস্যবৃদ্ধি জলবৃদ্ধিশ্চ’। অর্থাৎ, দেবীর নৌকায় আগমন বা গমন হলে, পৃথিবীতে বৃষ্টিপাত বেশি হবে, নদীনালা জলপূর্ণ হবে এবং শস্যপূর্ণ হয়ে উঠবে, যা শুভ ফল নির্দেশ করে।
দোলা অর্থাৎ পালকি ধ্বংসের প্রতীক
ফল: ‘দোলায়াং মড়কং ভবেৎ।’ অর্থাৎ, দেবীর দোলায় আগমন বা গমন হলে, পৃথিবীতে মহামারী দেখা দেবে, মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাবে।