Durga Puja 2022: ১০৮টি পদ্মের বদলে ১০৮টি অপরাজিতা, আজও দর্জি পাড়ার মিত্র বাড়িতে পুজো হয় পুরনো রীতি মেনে

মিত্র বাড়ির প্রতিমার একটা বিশেষত্ব আছে। সেখানকার ত্রেচালায় একটা মাটির কাজ দেখতে পাওয়া যায়। এই কাজটিকে মঠ চৌড়ির কাজ বলে।

Photo Credit_Facebook

কোভিডের কারণে বারোয়ারি পুজোর মত ভাটা পরেছিল বনেদী বাড়ির পুজোতেও। কিন্তু মহামারীর কবল থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে উঠছে গোটা বাংলা। সব জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে তারই প্রস্তুতি। সাধারণ মানুষের থিম পুজোর প্রতি আগ্রহ থাকলেও পিছিয়ে নেই বাড়ির পুজো গুলোও। এমনই একটি বনেদী বাড়ির পুজো কলকাতার দর্জি পাড়ার মিত্র বাড়ির পুজো।

প্রায় দুশো পনেরো বছর আগে ১৮০৭ সালে দর্জি পাড়ার মিত্র বাড়িতে পুজো শুরু হয়। রাজ কৃষ্ণ মিত্রর নামেই এই পুজো জনপ্রিয়তা পেলেও এই পুজো শুরু করেন তার পুত্র রাধা কৃষ্ণ মিত্র। সেই সময় তিনি তার ব্যবসায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। তার পর থেকেই তিনি এই পুজো শুরু করেন।১৯/সি, নীলমণি মিত্র স্ট্রীটের এই বাড়ির বাঁধানো উঠোনের এক প্রান্তে পাঁচ খিলানের তৈরি বিশাল ঠাকুর দালানটি অবস্থিত।এখানে ঠাকুর দালানেই মায়ের মূর্তি গড়ে মায়ের পুজো হয়।

মিত্র বাড়ির প্রতিমার একটা বিশেষত্ব আছে। সেখানকার ত্রেচালায় একটা মাটির কাজ দেখতে পাওয়া যায়। এই কাজটিকে মঠ চৌড়ির কাজ বলে। সেখানকার মা সজ্জিত হন বাড়ির ছোটদের হাতেই। এমনকি মায়ের সাজ সজ্জা সব বানিয়ে থাকেন বাড়ির সদস্যরাই।এখানে শালগ্রাম ধুতি পরে থাকেন। মাথায় সোনার মুকুট, এবং চোখ-নাক স্পষ্ট করে শিলার ওপর আঁকা।

দর্জি পাড়ার মিত্র বাড়ির ভোগে লবণ ছাড়া ভাজা সবজি ও ঘিয়ের লুচি প্রধান পদ। এছাড়া থাকে পোস্ত, পালংশাক, বিভিন্নরকম ডালের বড়ি এবং নানাবিধ আচার। সমস্ত বাড়ির পুজোর মিষ্টি কিন্তু বাড়িরই ভিয়েনে তৈরি হয়।কথিত আছে এখানে  ১০৮ টি পদ্মের বদলে ব্যবহার হয়  ১০৮ টি অপরাজিতা। এছাড়াও সেখানে মায়ের ভাসানের আগে নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানো হত এছাড়াও পুজো শুরুর আগে কামান দাগা হত। আজ সেই সব রীতি মানা সম্ভব না হলেও সেখানে আজও মহা সমারোহে পুজো হয়।