Durga Puja 2022: ইগনাইট এর উদ্যোগে সুদূর জার্মানীতে বাঙালির দুর্গোৎসব, পুজোর পাঁচদিন পেটপুজোর সঙ্গে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও

ইউরোপের কাস্টমস আর নিয়মের গণ্ডি পেরিয়ে, দশকর্মা সামগ্রী যাচ্ছে ভারতবর্ষ থেকে।দেবী প্রতিমাও জার্মানী পৌছেছে কুমোরটুলি থেকেই।

photo Credit_Facebook

কর্মসূত্রে বিদেশে থাকা বাঙালি আর কিছু মিস করুক না করুক, দেশের দুর্গা পূজা কে ঠিক মিস করে। মিস করে সেই প্যান্ডেলে বসে বন্ধু বান্ধব দের সাথে নির্ভেজাল আড্ডা। বাঙালির এই আমেজ বজায় রাখতেই Ignite E.V.- এর উদ্যোগে একদল বাঙালি সুদূর জার্মানির রাজধানী বার্লিনেও আয়োজন করেছে দুর্গা পূজার। ষষ্ঠীর বোধন, অষ্টমীর সন্ধি পুজো থেকে দশমীর সিঁদুর খেলা, কিছুই বাদ যাবে না।

কিন্তু, বিদেশে এত কিছু হবে কি করে? বার্লিনে এই এত আয়োজন কি সম্ভব? ভাবছেন প্রতিমা কিভাবে আনা হবে? দশকর্মা কোথায় পাওয়া যাবে? পুরোহিতমশাই? জার্মানির নিয়ম কানুন? এসব এর কি হবে? সেসব চিন্তার অবসানও ঘটিয়েছেন তারাই।

When there is a will, there is a way. ইউরোপের কাস্টমস আর নিয়মের গণ্ডি পেরিয়ে, দশকর্মা সামগ্রী যাচ্ছে ভারতবর্ষ থেকে। দেবী প্রতিমাও জার্মানী পৌছেছে কুমোরটুলি থেকেই। আর পুরুতমশাই ডুসেলডর্ফের (Dusseldorf)-এর। পুজো হবে সব নিয়ম মেনেই। মোট কথা ষোলোআনা বাঙালিয়ানা বজায় থাকছে বার্লিনেও।

১৬জুলাই, বার্লিন এর শ্রী গণেশ হিন্দু মন্দিরে খুঁটি পূজো দিয়ে সূচনা হয়ে এই বছরের পূজো। তারপর Ignite টিম এর এই প্রচেষ্টায় যোগ দেন বার্লিনের বাঙালি তথা অবাঙালিরাও। এক এক করে পূজো পরিচালনার কমিটি তৈরি হয়। কেউ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে আবার কেউ সাংস্কৃতিক বিভাগে, কেউ বা আবার ভোগ এবং অতিথিদের পেট পুজোর ব্যাপারটায় রেখেছেন সতর্ক নজর। প্যান্ডেল গড়ে, থিমের পুজো না হোক, তবে জাকজমক এর যাতে খামতি না থাকে তাই সাথে আছে ডিজাইনিং টিমও। একশো জনেরও বেশি বাঙালি, অবাঙালি মিলে পুরো দলের কেউ কলেজ পড়ুয়া, কেউ আবার চাকরিরত। যে যার কাজের ফাঁকেই সময়ে বার করে হাত মেলাচ্ছে এই উদ্যোগ কে সফল করে তুলতে।

পুজোর পাঁচ দিনই থাকবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, যার মধ্যে অন্যতম হলো রবীন্দ্রনৃত্যনাট্য "চিত্রাঙ্গদা". অষ্টমীর সন্ধি পূজোর পর মঞ্চস্থ হবে এই অনুষ্ঠান। থাকবেন জার্মানির গণ্যমান্য অতিথিরা।

শুধু পুজো নয় পেট পূজোরও ভরপুর ব্যবস্থা আছে। সকল অতিথির জন্যই থাকছে খিচুড়ি আর লাবড়া। পেট পূজো বাদে তো আবার বাঙালির কোনো অনুষ্ঠানই সম্পূর্ণ হয়না। সেই দিকে খেয়াল পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বার্লিনের পাঞ্জাবি ভাই বোনেরা। তাঁদের রেস্টুরেন্টের হেশেলেই তৈরি হবে পুজোর ভুরিভোজ।

এখন থেকেই বেশ পুজো পুজো ভাব বার্লিনে। অনেকেই দেশ থেকে আনিয়েছেন ধুতি-পাঞ্জাবি ও শাড়ি। চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহড়াও। পূজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। মোট কথা হলো, you can take a বাঙালি out of Bengal, but you can't take Bengal out of a বাঙালি। তাই নাচে, গানে, আড্ডায়, আলাপে, বিদেশের মাটিতে সম্পূর্ণ দেশীয় ভাবেই উদযাপন হবে  Ignite- এর আয়োজনে বার্লিন সর্বজনীন দুর্গোৎসবের।