Durga Puja 2019: মা আসতে বাকি ১৪ দিন, কুমোরটুলিতে তৎপরতা তুঙ্গে; পড়েছে তুলির টান
মা আসছেন বছর পরে। শিউলির সুবাস, পেঁজা তুলোর মত মেঘ, কাশ বনে ছেয়ে যাওয়া গ্রামাঞ্চল জানিয়ে দিচ্ছে পুজোর ঘন্টা বেজে গেছে। মায়ের আহ্বান করতে তৈরি হচ্ছে আপামর বাঙালি। কুমোর পাড়ায় ব্যস্ততা তুঙ্গে। হাতে আর মাত্র ১৪ দিন। তারপর মা কুমোর পাড়ার ঘর খালি করে পৌঁছে যাবেন মণ্ডপে মণ্ডপে। প্রতিমায় পড়েছে তুলির টান।
Preparation of Potters in Kumartuli: মা আসছেন বছর পরে। শিউলির সুবাস, পেঁজা তুলোর মত মেঘ, কাশ বনে ছেয়ে যাওয়া গ্রামাঞ্চল জানিয়ে দিচ্ছে পুজোর ঘন্টা বেজে গেছে। মায়ের আহ্বান করতে তৈরি হচ্ছে আপামর বাঙালি। কুমোর পাড়ায় ব্যস্ততা তুঙ্গে। হাতে আর মাত্র ১৪ দিন। তারপর মা কুমোর পাড়ার ঘর খালি করে পৌঁছে যাবেন মণ্ডপে মণ্ডপে। প্রতিমায় পড়েছে তুলির টান। মহালয়া পেরোতেই বায়নকারীরা আসবেন 'মা' কে ঘরে তুলে নিতে। এদিকে কলকাতার (Kolkata) কুমোরটুলিতে (Kumartuli) পড়েছে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল হপিঙের মত লম্বা লাইন। প্রতিমাকে কীভাবে সাজানো হচ্ছে তা এক ঝলক দেখে নিতে দূর দুরান্ত থেকে আসছে স্কুল- কলেজ পড়ুয়ারা। ফোটোগ্রাফারদের ভিড়ের চাপে ভাঙছে মায়ের আঙ্গুল, হাত। তাদের সামাল দিতে মাঠে নেমেছে কলকাতা পুলিশ।
কুমোর পাড়ার অন্দরমহলে শুরু হয়ে গেছে প্রতিমা রং (Idols Colouring) করার কাজ। বাকি মায়ের সাজসজ্জা (Makeup)। রঙের কাজ শেষ হলেই শুরু হবে সাজসজ্জার কাজ। মায়ের কেশ থেকে গয়না সমস্তটা সজ্জিত হবে বায়নকারীর মন জুগিয়ে। চাহিদা অনুযায়ী হবে তাঁদের মায়ের সাজ। কারো চাই সোনার গয়না, কারো ডাকের সাজ, কারো আবার চাই লাল রঙা শাড়ি, কারো কমলা। সব চাহিদা মেটাতে দিনরাত এক করে পরিশ্রম করছেন শিল্পীরা। আরও পড়ুন, কুমারটুলি সর্বজনীন দুর্গোৎসবের পুজোয় এলে পূরণ হবে মনস্কামনা, মা এখানে কল্পতরু
কুমোর পাড়ায় অনেক কারিগর আসেন নদিয়া, বর্ধমানের মত জেলা থেকে। তাঁরাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাড়াতাড়ি মূর্তি গড়ার কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে পুজো কাটানোর। প্রায় মাসখানেক আগে বিদেশযাত্রার পথে পাড়ি দিয়েছিলেন উমা। বাকি ছিল কিছু প্রতিমা সেগুলিও বিদেশের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।
পুজোর আগে কদিন এভাবেই ব্যস্ততার রেশ থাকবে কুমোরটুলির অন্দরে। মৃৎশিল্পীদের হাতের জাদুতে দেবী পাবেন প্রাণ। এরপর চক্ষুদানের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গা পুজো।