Durga Puja 2020: লাহাবাড়ির কুলদেবী জয়জয় মা, দুর্গাপুজোতে হর-পার্বতীর সঙ্গে এই অষ্টধাতুর সিংহবাহিনীও পূজিত হন
কলকাতার বনেদিবাড়ির দুর্গাপুজো (Durga Puja 2020) নিয়ে আলোচনা হবে, আর লাহাবাড়ি সেই তালিকায় থাকবে না তাতো হতেই পারে না। লাহা বাড়ির পুজোর প্রবর্তন কে করেছিলেন তা নিয়ে মতভেদ আছে বিস্তর। মনে করা হয় বর্ধমানের বড়শূলে প্রথম পুজো শুরু করেন বনমালী লাহা। এরপর মধুমঙ্গল লাহা চুচুঁড়ার বাড়িতে পুজো শুরু করেন। কলকাতায় এই পুজো শুরু করেন দুর্গাচরণ লাহা। শিবচরণ লাহা ইংরেজদের সঙ্গে পেন খাতাপত্র এবং মূল্যবান রত্নের ব্যবসা করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছিলেন। পুজোর জাঁকজমকও বাড়ে এই সময়।
কলকাতার বনেদিবাড়ির দুর্গাপুজো (Durga Puja 2020) নিয়ে আলোচনা হবে, আর লাহাবাড়ি সেই তালিকায় থাকবে না তাতো হতেই পারে না। লাহা বাড়ির পুজোর প্রবর্তন কে করেছিলেন তা নিয়ে মতভেদ আছে বিস্তর। মনে করা হয় বর্ধমানের বড়শূলে প্রথম পুজো শুরু করেন বনমালী লাহা। এরপর মধুমঙ্গল লাহা চুচুঁড়ার বাড়িতে পুজো শুরু করেন। কলকাতায় এই পুজো শুরু করেন দুর্গাচরণ লাহা। শিবচরণ লাহা ইংরেজদের সঙ্গে পেন খাতাপত্র এবং মূল্যবান রত্নের ব্যবসা করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছিলেন। পুজোর জাঁকজমকও বাড়ে এই সময়। লাহাবাড়িতে কাঠামো পুজো হয় জন্মাষ্টমীর দুই তিন দিন পরে। এই সঙ্গে তৈরি করা হয় একটি ছোট্ট মাটির গনেশ।
যতদিন না ঠাকুর সম্পূর্ণ হচ্ছে মাটির গণেশকে পুজো করা হয়। এরপর বড় গণেশ তৈরি হলে ছোট গণেশকে তার পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। দেবীপক্ষের শুরুতে বোধন হয়। পঞ্চমীর দিন সকালে চাল ডাল তেল চিনি মশলা মধু রান্নার সব উপকরণ ডালাতে সাজিয়ে দেবীকে দেওয়া হয়। একে বলে ‘রচনা। ষষ্ঠীর দিন হয় কল্পনা আর অধিবাস। এই দিন ঠাকুরকে গয়না আর অস্ত্রে সাজিয়ে দেওয়া হয়। কার্তিকের যাবতীয় অস্ত্র, লক্ষ্মীর ঝাঁপি, পেঁচা, গণেশের শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম, মা সরস্বতীর বীণা, শিবঠাকুরের মাথায় সাপ এগুলি সবই রূপোর এই বাড়িতে। লাহা বাড়ির পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। এখানে ঠাকুরের রূপ অন্যরকম। একচালা মূর্তি হয়। শিবের কোলে দেবী দুর্গা উপবিষ্টা। শিবের বাহন ষাঁড়। লক্ষ্মী সরস্বতী কার্তিক গণেশ আছেন তাঁর দুইপাশে। দেবীর দুই হাত এবং তাতে কোনও অস্ত্র নেই। মহিষাসুর থাকেন না এই মূর্তিতে। সেই জন্যই এই বাড়িতে দুর্গা মহিষাসুর মর্দিনী রূপে পূজিত হন না। কখনও তাঁকে বলা হয় অভয়া কখনও হরগৌরী কখনও বা আবার হরপার্বতী মূর্তি। আরও পড়ুন-Durga Puja 2020: একদা পাথুরিয়াঘাটার খেলাৎ ঘোষের বাড়ির পুজোতে এসেছিলেন মহাত্মা গান্ধী, শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব
মহালয়ার দিন থেকে বাড়িতে ভিয়েন বসে। এই সময় থেকেই মিষ্টি তৈরি শুরু হয় বাড়িতে। নানা রকম নাড়ু এই বাড়ির ভোগের বৈশিষ্ট। তিলের নাড়ু, নারকেলের নাড়ু সুজির নাড়ু, বেসনের নাড়ু, মেওয়া চিনি ক্ষীর আর বাটার স্কচ ফ্লেভার দিয়ে দিয়ে তৈরি বিশেষ এক ধরণের নাড়ু এছাড়া আছে খাজা, পান গজা, চৌকো গজা, কুচো গজা, এলোঝেলো তো আছেই। সবমিলিয়ে প্রায় ২১ রকমের মিষ্টি বাড়িতে তৈরি হয়। পঞ্চমীর দিন পর্যন্ত চলে এই পর্ব। লাহা বাড়িতে অন্নভোগ হয় না। পুজোতে পশুবলিও হয় না। কুমড়ো আর শশা বলি দেওয়া হয়। অষ্টমীর পুজোর পরে ধুনো পোড়ানো হয়। বাড়ির মহিলারা দুই হাতে আর মাথার উপরে সরায় জ্বলন্ত ধুনো নিয়ে ঠাকুর দালানে বসেন।
লাহাবাড়ির কুলদেবী অষ্টধাতুর সিংহবাহিনী মূর্তি জয়জয় মা। এই মূর্তি নিয়ে রয়েছে এক অকথিত কাহিনীও। লাহা পরিবারের তখনও তত খ্যাতি ঐশ্বর্য হয় নি। সেই সময় নাকি দেবীর এই মূর্তি কোনও এক গভীর জঙ্গলে ডাকাতদের হাতে লাঞ্ছিত হয়ে অনাদরে অযত্নে পড়ে ছিল। বাড়ির এক সদস্য দেবীর কাছে স্বপ্নাদেশ মেয়ে মূর্তি উদ্ধার করতে গিয়ে দেখেন, দেবী বড় বিপন্ন। তিনি যত্নে দেবীকে তুলে নিয়ে এসে কুলদেবী রূপে পুজো করতে শুরু করেন। তারপর থেকেই লাহাদের প্রভূত উন্নতি হয়। পুজোর সময় মূর্তি রূপোর সিংহাসন সহ ঠাকুর ঘর থেকে নিয়ে এসে হরপার্বতীর সামনে প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেখানে দুই দেবী মূর্তির একই সঙ্গে পুজো হয়। পুজো শেষে বিসর্জনের আগে জয়জয় মা কে ঠাকুর ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)