Yes Bank Loss: ব্যাংকিং সেক্টরে ফের অশনি সংকেত!, ৬০০ কোটির লোকসানে ভারাক্রান্ত ইয়েস ব্যাংক

মোদি সরকারের আমলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংকগুলিও দেউলিয়া হওয়ার পথে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে। বাড়ছে মন খারাপের মাত্রা। প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়ছে ইয়েস ব্যাংক। বিজয় মালিয়া, নীরব মোদিরা মোটা অঙ্কের ব্যাংক ঋণ না মিটিয়েই পালিয়েছেন। তবে দেশে এখনও এমন শিল্পপতিরা রয়েছেন, যাঁরা ঋণ শোধ করেননি। আর এর জেরেই কিন্তু আশঙ্কা বাড়িয়ে বাড়ছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলির অনুৎপাদক সম্পদ বা NPA।

ইয়েস ব্যাংকের লোগো (Photo Credit: Wikipedia)

নতুন দিল্লি, ১ নভেম্বর: মোদি সরকারের আমলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংকগুলিও দেউলিয়া হওয়ার পথে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে। বাড়ছে মন খারাপের মাত্রা। প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়ছে ইয়েস ব্যাংক। বিজয় মালিয়া, নীরব মোদিরা মোটা অঙ্কের ব্যাংক ঋণ না মিটিয়েই পালিয়েছেন। তবে দেশে এখনও এমন শিল্পপতিরা রয়েছেন, যাঁরা ঋণ শোধ করেননি। আর এর জেরেই কিন্তু আশঙ্কা বাড়িয়ে বাড়ছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলির অনুৎপাদক সম্পদ বা NPA। এমন সময়েই দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের শেষে রিপোর্টে মোট NPA-র পরিমাণ বাড়ল Yes Bank-এ।রিপোর্ট অনুযায়ী, জুন ত্রৈমাসিকের ৫.০১%-এর তুলনায় সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিক রিপোর্টে ইয়েস ব্যাংকের মোট অনুৎপাদক সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৩৯%-এ।

প্রসঙ্গত, গত বছর ব্যাংকের NPA-এর পরিমাণ ছিল ১.৬%। সম্প্রতি এক তথ্য জানার অধিকার আইনে জানা যায়, গত তিন বছরে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লক্ষ ৭৬ হাজার কোটিতে। ১০০ কোটিরও বেশি NPA রয়েছে, এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৪০০-র বেশি।এই ত্রৈমাসিকে মোট ৬০০.০৮ কোটি ক্ষতি হয়েছে ব্যাংকের। গতবছর একই ত্রৈমাসিকে ₹৯৬৫ কোটি লাভ করেছিল Yes ব্যাংক। চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ২,১৮৬ কোটি মোট আয় করেছে ব্যাংক। আরও পড়ুন-Job Loss: দুঃসংবাদ! ২০১১-১৮ এই ৬ বছরে ৯০ লক্ষ চাকরি খুইয়েছে ভারত

বলাবাহুল্য, পিএমসি ব্যাংক দুর্নীতির জাল থেকে এখনও মুক্ত হতে পারেনি মহারাষ্ট্র সরকার। এই ব্যাংকের গ্রাহকদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে বাজারে নানা তথ্য শোনা যাচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাংক প্রথমে ছমাসে হাজার টাকা তোলার অনুমতি দিয়েছিল গ্রাহকদের। তারপর আন্দোলন, অনুরোধ উফরোধ বিক্ষোভের পর প্রথমে তা বেড়ে ১০ হাজার টাকা হয়। পরে তা বেড়ে হয় ৪০ হাজার টাকা। তবে তার পরেও যদি টাকার প্রয়োজন হয় শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে, তাহলে গ্রাহক ব্যাংকে আবেদন করলে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবেন। সেই নোটবন্দির সময় থেকে ব্যাংক নিয়ে কোনও না কোনও ঝামেলা লেগেই রয়েছে। আবার সিন্দুকে থাকা গয়না নিয়েও হিসেবে নিকেশ শুরু করেছে কেন্দ্র। এই খবরে দেশের মধ্যবিত্তরা বেজায় ক্ষুব্ধ।