Sagarika Ghosh: সন্দেশখালির ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত! দাবি তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষের

নয়াদিল্লি, ৯ মে: সন্দেশখালির ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে চাপানউতোর অব্যাহত। একদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলছে তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্যদিকে গেরুয়া শিবির সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করছে। এই অবস্থায় তৃণমূল সাংসদরা  বৃহস্পতিবার দিল্লিতে গিয়ে চিঠি দিলেন নির্বাচন কমিশনকে। চিঠিতে এই ঘটনার পুলিশি তদন্তের দাবি জানায় ঘাসফুল শিবির।

এই প্রসঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ (Sagarika Ghosh) বলেন, "বিজেপি সন্দেশখালি নিয়ে যে ষড়যন্ত্র করেছে সেই নিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনে একটি চিঠি জমা দিয়েছি। আমরা চিঠিতে বলেছি যে কীভাবে বিজেপি ওই এলাকার মহিলাদের টাকা দিয়ে মিথ্যা কেস তৈরি করেছে। ওখানে কোন ধর্ষণের ঘটনা হয়নি। মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়নি। এলাকার মহিলারা এখন প্রতিবাদে সরব হয়েছে। আমরা কমিশনের কাছে অনুরোধ করেছি এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা হোক। সেই সঙ্গে বিজেপির স্থানীয় নেতা গঙ্গাধর কয়াল, শান্তি দলুইকেও গ্রেফতার করা হোক"।

সেই সঙ্গে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে একের পর এক বক্তব্য পেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও দাবি জানান সাগরিকা ঘোষ। প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে সন্দেশখালির স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালের একটি স্ট্রিং অপারেশন প্রকাশ্যে আসে। সেখানে তিনি বলেন কীভাবে ভুয়ো কেস বানিয়ে শাহজাহান শেখদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ওই এলাকার একাধিক মহিলা দাবি করেন তাঁদের জোর করে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করিয়েছিল বিজেপির নেতারা। যদিও ওই ভিডিও ভুয়ো বলেই দাবি করে আসছে বিজেপি শিবির। কিন্তু ভোটের আবহে এই ঘটনা তৃণমূলের পক্ষে বারতি অক্সিজেন জুগিয়েছে, সেটা বলাই যায়।