Rahul Gandhi on Wrestlers Protest: রাজ্য়াভিষেক পূর্ণ হল, সাক্ষী মালিকদের ওপর পুলিশের হেনস্থার ভিডিয়ো দিয়ে মোদীকে চরম কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর
দিল্লিতে একদিকে যখন চলছে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। তখন সেখান থেকে কিছুটা দূরে দেশের কুস্তিগিরদের টেনে-হিঁচড়ে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
দিল্লিতে একদিকে যখন চলছে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। তখন সেখান থেকে কিছুটা দূরে দেশের কুস্তিগিরদের টেনে-হিঁচড়ে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। নরেন্দ্র মোদীর নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন দেখে কংগ্রেসের শীর্ষে নেতা রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেছিলেন, " এই অনুষ্ঠানকে আসলে নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যাভিষেক বলে মনে হচ্ছে।"
সেই টুইটের কয়েক ঘণ্টা বাদে সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগত, বজরং পুনিয়াদের ওপর পুলিশের অত্যাচারের ভিডিয়ো পোস্ট করে রাহুল গান্ধী টুইট করলেন, " রাজ্যাভিষেক পূর্ণ হল। দাম্ভিক রাজাকে রাস্তায় পিষে ফেলা স্বরের আওয়াজ।' আরও পড়ুন-কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগত, সঙ্গীতা ফোগত ও সাক্ষী মালিককে আটক দিল্লি পুলিশের
দেখুন ভিডিয়ো
দিল্লির যন্তরমন্তরে সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগত ও সঙ্গীতা ফোগতকে আটক করে পুলিশ। প্রতিবাদী কুস্তিগীররা তাঁদের সমর্থকদের নিয়ে পুলিশের ব্যারিকেড টপকে নবনির্মিত সংসদ ভবনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিপুল সংখ্যক পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে টুইট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেখুন ছবিতে
টুইটারে মমতা লেখেন, 'দিল্লি পুলিশ যেভাবে সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগত ও অন্যান্য কুস্তিগীরদের মারধর করেছে, তার তীব্র নিন্দা করছি। এটা লজ্জাজনক যে আমাদের চ্যাম্পিয়নদের সাথে এ রকম আচরণ করা হয়। গণতন্ত্র সহিষ্ণুতার মধ্যে নিহিত, কিন্তু স্বৈরাচারী শক্তিগুলি বিকাশ লাভ করে অসহিষ্ণুতা ও ভিন্নমতকে দমন করার মাধ্যমে। আমি তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমি আমাদের কুস্তিগীরদের পাশে আছি'।
দেখুন মমতার টুইট
বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক-সহ সমস্ত প্রতিবাদী কুস্তিগীরকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। আটকের তালিকায় রয়েছে তাদের সমর্থকরাও। এরপর রবিবার যন্তর মন্তরের বিক্ষোভস্থলে বসানো তাঁবুগুলি সরিয়ে দেয় পুলিশ। দেশবিরোধী কোনও কাজ না করতেও কুস্তিগীরদের নির্দেশ দেন কর্তারা। এর আগে প্রতিবাদী কুস্তিগীররা সমর্থকদের নিয়ে পুলিশের ব্যারিকেড টপকে নবনির্মিত সংসদ ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিপুল সংখ্যক পুলিশ তাদের বাধা দেয়। সাক্ষী মালিক-সহ কুস্তিগীররা সংসদে যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়লে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিও হয়। গত ২৩ এপ্রিল থেকে ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পুনিয়া, মালিক, বিনেশ ফোগতের মতো বিশিষ্ট ভারতীয় কুস্তিগীররা।