Congress: সিংহাসনে শ নাকি স! মুখ্যমন্ত্রী বাছাতে তিন পর্যবেক্ষককে কর্ণাটকে পাঠাল হাইকমান্ড
কর্ণাটকে দারুণ ফল করে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। ১৩৬টা আসনে জিতে কর্ণাটকে কংগ্রেসের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়া।
বেঙ্গালুরু, ১৪ মে: কর্ণাটকে দারুণ ফল করে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। রাজ্য বিধানসভায় ১৩৬টা আসনে জিতে কর্ণাটকে কংগ্রেসের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়া। কারণ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদের দুই দাবিদারের দাবিই একেবারে ৫০:৫০। দু জনেই কর্ণাটকে হাত ধরা সাফল্যে বড় কারিগর। দু জনেই কাজের মানুষ, গান্ধী পরিবারের কাছে মানুষ। একজন হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, অপর জন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার। দু জনেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সাফ বলেছেন, তারাই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার যোগ্য। এবার কংগ্রেস নেতৃত্বের চ্য়ালেঞ্জ এই দু জনের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়া।
কর্ণাটকের মসনদে কে তা বাছতে তিন সদস্যের পর্যবেক্ষক দল পাঠাল কংগ্রেস হাইকমান্ড। এই পর্যবেক্ষক দলের তিন সদস্য হলেন- মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে, মধ্যপ্রদেশের দায়িত্বে থাকা দীপক বাবারিয়া ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংকে। আজ, কর্ণাটকে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠকে হাজির থাকবেন পর্যবেক্ষরা। সেখানে সবার কথা শুনে পর্যবেক্ষকরা রিপোর্ট জমা দেবেন কংগ্রেস হাইকমান্ডকে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে বেছে নেওয়া হবে কর্ণাটকের মসনদে কে বসবেন। আরও পড়ুন-কর্ণাটকে বিজেপির হার মোদীর নয়, দায় স্বীকার করে বললেন বাসবরাজ বোম্মাই
দেখুন টুইট
কংগ্রেস সূত্রে খবর, সিংহভাগ বিধায়ক যাকে চাইবেন সেই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তবে অনেকে বলছেন, আড়াই বছর-আড়াই বছর সূত্রে প্রথমে শিবকুমার, তারপর সিদ্দারামাইয়কে মুখ্যমন্ত্রী করবে কংগ্রেস। একটা অংশের মতে শেষ অবধি হয়তো সিদ্দারামাইয়কেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেবে দল। তবে দলীয় বিধায়কদের মধ্যে আবার পছন্দের তালিকায় আগে আছেন শিবকুমার।
প্রসঙ্গত, ভরুনা কেন্দ্রে বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী তথা মন্ত্রী ভি সোমান্নাকে ৪৬ হাজার ভোটে হারান সিদ্দারামাইয়া। অন্যদিকে, কনকপুরায় বিজেপিতে তৃতীয় স্থানে ঠেলে নিকটতম জেডিএস প্রার্থীকে কংগ্রেসের রাজ্যে সভাপতি ডিকে শিবকুমার জেতেন রেকর্ড ১ লক্ষ ২২ হাজার ৩৯২ ভোটের ব্যবধানে। এবার নিয়ে টানা চারবার কনকপুরা কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হলেন শিবকুমার। এর আগে টানা চারবার তিনি সাথানুস আসনে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন।