Supreme Court Observation: শুধু দিল্লি-এন সি আর নয়, বায়ু দূষণ রোধে সমস্ত দেশেই বাজি ক্রয়-বিক্রয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা সুপ্রিম কোর্টের

কেবলমাত্র দিল্লি বা এন সি আর এলাকা নয়, গোটা দেশ জুড়েই দিওয়ালির মরশুমে বাজি ক্রয়-বিক্রয় এবং ফাটানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।

Photo Credit: Wikipedia

কেবলমাত্র দিল্লি বা এন সি আর এলাকা নয়, গোটা দেশ জুড়েই দিওয়ালির মরশুমে বাজি ক্রয়-বিক্রয় এবং ফাটানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। মঙ্গলবার এমনটাই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। সঙ্গে দেশের শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, 'দিল্লির বিষাক্ত বাতাস মানুষের স্বাস্থ্যের হত্যা করছে।'

সুপ্রিমকোর্ট তাঁর পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট করে বলেছে, আতশবাজি ফাটানোর বিরুদ্ধে  জারি করা নির্দেশগুলি কেবল দিল্লি-এনসিআরের জন্য নয়, সমস্ত রাজ্যের জন্যও জারি থাকবে।আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকারগুলিকে বায়ু/শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে। বিচারপতি এ.এস.বোপান্না এবং বিচারপতি এম.এম. সুন্দ্রেশ এর বেঞ্চ ভারতে আতসবাজি বিক্রি, ক্রয় এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য দায়ের করা পিটিশনের একটি ব্যাচের শুনানি করছিলেন।এই আবেদনকারী রাজস্থান রাজ্যের জন্য আবেদন করেছিলেন যাতে পূর্বের আদেশগুলি সরাসরি বাস্তবায়নের জন্য শীর্ষ আদালত সেই আদেশ বলবৎ রাখেন তাঁর জন্য।

বায়ু দূষণ নিয়ে কী মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের?

মাত্রাতিরিক্ত দূষণ এবং AQI বৃদ্ধি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ওঠা একটি মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার অনেকগুলি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন বিচারপতির বেঞ্চ। এর আগেও দেশের শীর্ষ আদালত দীপাবলি উপলক্ষে বাজি ফাটানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কোনওভাবেই বাজি বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলতে রাজি নয় সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের বক্তব্য, 'দূষণ রোধ করা কেবলমাত্র কোর্টের দায়িত্ব নয়। একটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এটা সকলের দায়িত্ব।'

খড় পোড়ানো বন্ধের নির্দেশ

দেশের শীর্ষ আদালত কড়াভাবে মন্তব্য করে-'  অবিলম্বে খড় পোড়ানো বন্ধ করতে হবে। আমরা জানি না কী ভাবে তা বন্ধ করা সম্ভব। তবে এখনই পোড়ানো বন্ধ করতে হবে। যা করার অবিলম্বে করতে হবে।' পঞ্জাবে এই মুহূর্তে খড় পোড়ানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।আতসবাজি ফাটানোর পাশাপাশি রাজস্থান এবং অন্য রাজ্যগুলিকে অর্ডার ইস্যু করে জানানো হয়েছে, দীপাবলির মরশুমে বাজি ফাটানোও বন্ধ রাখতে হবে। বায়ু দূষণ কম করার জন্য প্রতিটি রাজ্যকেই সচেষ্ট থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আদালতের মন্তব্য, 'সকলের দায়িত্ব বায়ু দূষণ মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া।'