Suicide: স্কুলে মোবাইল ফোন ব্যবহারে মানা, অপমানে আত্মঘাতী দশম শ্রেণির ছাত্র

হায়ুলিয়াং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পি গামি জানান, সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর কিশোরের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে হায়ুলিয়াং থানার পুলিশ

Suicide, Representative Image (Photo Credits: Unsplash)

নয়াদিল্লিঃ স্কুল (School)  ক্যাম্পাসে মোবাইল (Mobile) ফোন ব্যবহার করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল ১৫ বছরের চিরাং। ডেকে পাঠানো হয় তার বাবা-মাকে। জানা গিয়েছে ওই স্কুলের হোস্টেলেই থাকত সে। এই ঘটনার পর ছেলেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন প্রিন্সিপাল (Principal) । তবে শেষমেশ এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রিন্সিপালের সঙ্গে মিটিং-এর পর হোস্টলে (Hostel) ফোন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয় ওই ছাত্রকে। ঘটনার পরের দিন হোস্টলে চিরাং-এর সঙ্গে দেখা করতে আসেন তার কাকা। কিন্তু তাকে হোস্টেলে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুরু হয় খোঁজ। এরপরই স্কুলের কাছে লোহিত নদীর ধারে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় দশম শ্রেণির চিরাং-এর মৃতদেহ। ছেলের মৃত্যুতে শোকাহত পরিবার। স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং ওয়ার্ডেনের বিরুদ্ধে গাফিলতি এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনেছে চিরাং-এর পরিবার। অন্যদিকে এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন স্কুলের প্রিন্সিপাল টিএম সাথিয়ান । তিনি বলেন , "সব তো ঠিকই ছিল। মিটিং-এর পর মোবাইল ফোন ব্যবহার করার অনুমতিও দেওয়া হয় তাকে, তাহলে কেন এই পথ বেছে নিল সে। স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে সব ধরনের সহযোগিতা করছে।" হায়ুলিয়াং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পি গামি জানান, সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর কিশোরের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে হায়ুলিয়াং থানার পুলিশ। তবে মোবাইল ব্যবহার করতে না দেওয়াতেই অপমানিত হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে দশম শ্রেণির ওই ছাত্র, এমনঅটাই প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।



@endif