Suchana Seth: গোয়া থেকে বেঙ্গালুরু, ১২ ঘণ্টা সূচনার ব্যাগেই ছিল ছেলের দেহ, অসম্ভব শান্ত ছিল বেঙ্গালুরুর সিইও
রণজয় ডিসুজা নামে ওই চালক জানান, ৭ জানুয়ারি রাতে যখন ক্যান্ডোলিমের সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তাঁর কাছ ফোন আসে, তিনি সেখানে চলে যান। এরপর রিসেপশন থেকে কালো রঙের একটি ভারি ব্যাগ তাঁকে ওঠানোর কথা বলা হয়। ব্যাগ ওত ভারি কেন জিজ্ঞাসা করলে, তাঁকে জানান হয়, তার মধ্যে বিভিন্ন মাপের মদের বোতল রয়েছে।
পানাজি, ১১ জানুয়ারি: গোয়া (Goa) থেকে বেঙ্গালুরু (Bengaluru) , প্রায় ১২ ঘণ্টার রাস্তায় সূচনা শেঠ (Suchana Seth) একেবারে শান্ত ছিল। গাড়ি চালকের সঙ্গে যেমন একটা, দুটো ছাড়া কোনও কথা বলতে শোনা যায়নি, তেমনি কোনও ফোনও আসেনি তার মোবাইলে। কাউকে ফোন করতেও দেখা যায়নি সূচনাকে। এমনই জানান ৭ জানুয়রি যে গাড়ির চালক সূচনাকে ক্যান্ডোলিম থেকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
রণজয় ডিসুজা নামে ওই চালক জানান, ৭ জানুয়ারি রাতে যখন ক্যান্ডোলিমের সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তাঁর কাছ ফোন আসে, তিনি সেখানে চলে যান। এরপর রিসেপশন থেকে কালো রঙের একটি ভারি ব্যাগ তাঁকে ওঠানোর কথা বলা হয়। ব্যাগ ওত ভারি কেন জিজ্ঞাসা করলে, তাঁকে জানান হয়, তার মধ্যে বিভিন্ন মাপের মদের বোতল রয়েছে। এরপর গাড়ি চালক সূচনাকে নিয়ে বেঙ্গালুরুর উদ্দেশে রওনা দেন। রাস্তায় যখন প্রচণ্ড ট্রাফিকে তিনি ফেঁসে যান, তখন ইউ টটার্ন নিয়ে সূচনাকে তিনি বিমানবন্দরে নামিয়ে দেবেন বলে চালক জানান।
যা শুনে সূচনা জানান, তাঁর কোনও অসুবিধা নেই। যখন জ্যাম সরবে, তখনই তিনি পৌঁছবেন। যা শুনে তাঁর একবার একটু অন্যরকম লাগে। যার ব্যস্ততা রয়েছে, তিনি বিমানে না গিয়ে কেন রাস্তা ধরে ট্রাফিক জ্যামেরা মধ্যে দিয়ে বেঙ্গালুরু যাবেন বলে প্রশ্ন জাগে। তবে তিনি কিছু বলেননি। রাস্তায় কোথাও চালককে দাঁড়ানোর কথা বলেনি সূচনা। একবার শুধু তিনি জল কিনতে নেমেছিন।
আরও পড়ুন: Suchana Seth: ছেলের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন, খুনের আগে স্বামীকে মেসেজ করে সূচনা শেঠ
এসবের মাঝে হঠাৎ করে তাঁর কাছে গোয়া পুলিশের ফোন আসতে শুরু করে। যে মহিলা তাঁর গাড়িতে রয়েছেন, তার সঙ্গে কোনও শিশু রয়েছে কি না জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি কোনও শিশুকে গাড়িতে দেখতে পাননি। এরপর থেকে গোয়া পুলিশের একাধিক ফোন তাঁর কাছে আসতে শুরু করে। তাঁকে বলা হয়, কাছাকাছি কোনও থানা দেখে, সেখানে গাড়ি নিয়ে যেতে। যে থানা রয়েছে, সেখানে যেতে গেলে ইউটার্ন নিতে হবে। যা করলে, সূচনা বুঝতে পারবে ভেবে তিনি ভয় পেয়ে যান। এরপর একটি রেস্তোরাঁয় গিয়ে সেখানকার কর্মীদের কাছাকাছি থানার বিষয়ে খোঁজ নেন।
এরপর রণজয় ডিসুজা নামের ওই গাড়ি চালক সোজা থানায় চলে যান। থানায় কেন জিজ্ঞাসা করে সূচনা। যার উত্তরে গোয়া পুলিশের ফোনের কথা রণজয় জানান। যা শুনে একবারও চমকে যায়নি সূচনা। কোনও কথা বলেনি। পুলিশের কাছে গাড়ি তুলে দিলে, সূচনার ব্যাগ পরীক্ষা করলে, সেখান থেকে তার ছেলের মৃতদেহ বেরিয়ে আসে বলে জানান ওই চালক। এমনকী পুলিশ তাকে পাকড়াও করলেও, সূচনা অসম্ভব শান্ত ছিল। তাকে কেনওরকম বিচলিত হতে দেখা যায়নি বলে জানান গোয়ার ওই গাড়ির চালক।