Lalu Prasad Yadav On Caste-based Survey: 'বিহারে জাতপাতের ভিত্তিতে জনগণনা হবেই', দাবি লালুপ্রসাদ যাদবের
শুক্রবার এই বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বিহারে যেকোনও মূল্যে জাতিগত জনগণনা হবে বলেই দাবি করলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। তিনি জানান, এটা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের দাবি। তাই যেকোনও মূল্যে এই জনগণনা হবেই।
পাটনা: কেন্দ্রের আপত্তি উড়িয়ে রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে বিহারে (Bihar) জাতিগত আদমশুমারি (Caste-based census) চালু করেছিল নীতীশ কুমারের সরকার (Nitish Kumar's Government)। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল পাটনা হাইকোর্টে (Patna High Court)। বৃহস্পতিবার এই ধরনের জনগণনার উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ (interim stay) জারি করেন সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি। শুক্রবার এই বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বিহারে যেকোনও মূল্যে জাতিগত জনগণনা হবে বলেই দাবি করলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব (RJD national president Lalu Prasad Yadav)। তিনি জানান, এটা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের দাবি (demand)। তাই যেকোনও মূল্যে এই জনগণনা হবেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১১ সালের পর ২০২১ সালে ভারতে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সেই প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। আর নতুন করে যখন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তখন জনগণনার ক্ষেত্রে তফশিলি জাতি (SC) এবং তফশিলি উপজাতি (ST) বাদে অন্য কোনও ক্ষেত্রে জাতপাতের উল্লেখ না রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র সরকার। এমনকী OBC-দের ক্ষেত্রেও আলাদা জাতির উল্লেখ রাখা হবে না বলে জানানো হয়। শুধু ওবিসি বলেই উল্লেখ করা হবে। অনেকে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও শুরু থেকে এর তীব্র বিরোধিতা করে আসছিলেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)।
তাঁর দাবি ছিল, এই সেনসাসে প্রতিটি জাতির আলাদা আলাদা উল্লেখ রাখতে হবে। জানুয়ারি মাসে নিজের সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিহারে জাতপাতের ভিত্তিতে জনগণনা শুরু করেন নীতীশ কুমার। আর তারপরই পাটনা হাইকোর্টে এই বিষয়ে মামলা দায়ের হয়।
বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানির সময় বিহারে জাতপাতের ভিত্তিতে জনগণনার উপরে স্থগিতাদেশ (stay) জারি করে পাটনা হাইকোর্টের বিচারপতি পূর্ণেন্দু সিং-এর সিঙ্গল বেঞ্চ (Single bench of Justice Purnendu Singh)। আগামী ৩ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। আরও পড়ুন: Dehradun: প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত' শুনতে না আসায় দেরাদুনের স্কুলে পড়ুয়াদের থেকে জরিমানা নেওয়ার অভিযোগ