Tejashwi Yadav: নীতিশের জমানায় শুধুই ভেঙে পড়ছে ব্রিজ, 'রিপোর্ট কি আদৌ তৈরি হয়েছে'? প্রশ্ন তেজস্বীর
বিহারের একের পর এক সেতু ভেঙে পড়া নিয়ে কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে নীতিশ কুমারকে।তেজস্বী যাদবের সঙ্গে একটা সময় দুজনে হাত ধরে সরকার গড়েছিলেন।
ফের বিহারে ভেঙে পড়ল ব্রিজ। আগুয়ানি-সুলতানগঞ্জের (Aguwani-Sultanganj Bridge) সেতুর কাজ ৯ বছর আগে শুরু হয়ছিল। আর এর মধ্যেই দুই বছরে মোট তিনবার ভেঙে পড়ল মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সাধের সেতু। ১৭১০ কোটি টাকা এভাবে গঙ্গায় ভেসে যাওয়া দেখে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু করে দিয়েছে বিরোধীরা। আরজেডি নেতা র বক্তব্য, আমরা যখন জোট সরকারের অংশ ছিল, সেই সময়েও ব্রিজের অংশ ভেঙেছিল। আমরা সেই নিয়ে তদন্ত শুরু করি। যে সংস্থা এই সেতু নির্মানের দায়িত্বে ছিল তাদের রিপোর্ট জমা দিতে বলি। এরপর তো আমরা সরকারে ছিলাম না। এর মধ্যে রিপোর্ট কি আদৌ তৈরি হয়েছিল। আর যদি হয়েই থাকে তাহলে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেটা সরকারের জানানো উচিত। মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের জমানায় ছোট, মাঝারি বা বড় সবধরনের ব্রিজ ভেঙে পড়ছে। এই নিয়ে তিনি কীভাবে নীরব রয়েছেন, প্রশ্ন তোলেন লালুুপুত্র।
বিগত কয়েক বছরে একের পর এক সেতু বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটছে বিহারে। গত জুন মাসে আরারিয়া জেলায় বকরা নদীতে ওপর নির্মীয়মাণ একটি ব্রিজ ভেঙে পড়ে। প্রায় ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়ছিল এই সেতুর জন্য। শনিবার যে ব্রিজটি ভেঙেছে সেটি ভাগলপুরের সঙ্গে খাগারিয়া জেলার সংযোগস্থাপনের জন্য বানানো হচ্ছিল। এই সেতুটির শিলান্যাস ২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি করেছিলেন নীতিশ কুমার। তারপর দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু হলেও পরবর্তীকালে কাজের গতি কমে যায়। প্রথমে ২০২২ সালে ভাগলপুরের দিকে এবং পরবর্তীকালে ২০২৩ সালে খাগারিয়ার দিকে ব্রিজের একটা অংশ ভেঙে পড়েছিল। তারপর থেকেই কাজ সেভাবে এগোয়নি।
বিহারের একের পর এক সেতু ভেঙে পড়া নিয়ে কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে নীতিশ কুমারকে। তেজস্বী যাদবের সঙ্গে একটা সময় দুজনে হাত ধরে সরকার গড়েছিলেন। সেই সময় জেডিইউ এবং আরজেডি সরকার মিলিতভাবে এই সেতু বিপর্যয় নিয়ে কাজ করছিল। বর্তমানে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে কী আদৌ এই সমস্যার সমাধান করছে নীতিশ? প্রশ্ন তুলছেন খোদ লালুপুত্র। প্রসঙ্গত, এনডিএ বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের মূল কাণ্ডারী ছিলেন নীতিশ কুমার। সেই নীতিশ লোকসভা ভোট সামনে আসতেই পাল্টি খেয়ে বিজেপিতে ভিড়লেন।