‘ঈশ্বর যেন এমন প্রতিবেশী কাউকে না দেন’ , কাকে কী বললেন রাজনাথ সিং?
“আমাদের এক প্রতিবেশীর আচরণ নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ ও সংশয় রয়েছে। মোটের উপরে কথা হল এই যে, বন্ধুকে আমরা বেছে নিতে পারি, ইনি না হলে উনি। কিন্তু প্রতিবেশীকে তো আর বেছে নেওয়া যায় না। তারপর সেই প্রতিবেশী যদি একেবারে দরজার গোড়াতেই থাকে তোহলতে তো কথাই নেই। ঈশ্বর যেন কাউকেই এমন প্রতিবেশী না দেন।”
দিল্লি, ৮ আগস্ট: “আমাদের এক প্রতিবেশীর আচরণ নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ ও সংশয় রয়েছে। মোটের উপরে কথা হল এই যে, বন্ধুকে আমরা বেছে নিতে পারি, ইনি না হলে উনি। কিন্তু প্রতিবেশীকে তো আর বেছে নেওয়া যায় না। তারপর সেই প্রতিবেশী যদি একেবারে দরজার গোড়াতেই থাকে তোহলতে তো কথাই নেই। ঈশ্বর যেন কাউকেই এমন প্রতিবেশী না দেন।” প্রাক্তন সেনাকর্মীদের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে নাম না করেই পাকিস্তানকে ঠুকলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখেনি পাকিস্তান, এভাবেই তার মোক্ষম জবাব দিলেন রাজনাথ সিং। আরও পড়ুন-শ্রীনগরে পৌঁছেও বাধার মুখে গুলাম নবি আজাদ, বিমানবন্দরের বাইরে পা রাখতে পারলেন না কংগ্রেস নেতা
উল্লেখ্য, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ করে সাংবিধানিক গুরুত্ব কমাতে পাকিস্তানের ঘুম উড়ে গিয়েছে। এবার যদি আর পাঁচটা রাজ্যের মতো কাশ্মীরও স্বাভাবিক হয়ে ওঠে, তাহলে বেকারত্ব আর অশিক্ষার সুযোগ নিয়ে উপত্যকাবাসীর মাথা মোড়ানো যাবে না। এককথায় ৩৭০-এর বিলুপ্তিতে বড়সড় ক্ষতি হয়ে গেল পাকিস্তানের। এরপর হুমকি দিয়ে নয়াদিল্লিকে কাবু করবে ভেবেছিল, তবে পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েনি সাউথ ব্লক। সাপ জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটি নিয়ে পাকিস্তানকে না ভাবলেও চলবে। কাশ্মীরের মানুষের সার্বিক উন্নতির লক্ষেই এই বিশেষ স্টেটাস খর্ব করা হয়েছে। এই বিষয়ে পাকিস্তানের নাক গলানোর প্রয়োজন নেই।
কাশ্মীর প্রশ্নে যখন নয়া দিল্লিকে কাবু করতে না পেরে পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মুছে দিতে উঠেপড়ে লাগল। বহির্বিশ্বের কাছে এমন একটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করচে যেন সবকিছু এবার গেল বলে, তবে পাকিস্তানের এহেন প্রচেষ্টায় একেবারে জল ঢেলে দিয়েছে ভারত। অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদি, লালকৃষ্ণ আদবানিরা বিজেপির কট্টরপন্থী নেতা। কিন্তু প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তেমন মানুষই নয়। তাই কখনওই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁকে কড়া কথা বলতে শোনা যায়নি। আজও তেমনই নিজের মতো করেই কটাক্ষ হেনে প্রতিবেশীকে নিয়ে দুঃখ এবং হতাশা প্রকাশ করেছেন এই প্রবীণ বিজেপি নেতা।