Rajasthan: ২০ ফুট গভীর গর্ত করে রাজস্থানের আলওয়ারে আছড়ে পড়ল উল্কা
রাজস্থানের আলওয়ারে (Alwar, Rajasthan) আছড়ে পড়ল একটি বড়সড় উল্কা (meteor)। ঘটনায় মাটিতে ২০ ফুট গভীর একটি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তবে উল্কাপাতের জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। আলওয়ারের ইটারানা শিল্পাঞ্চলে (Industrial Area) এই উল্কাপাত হয়। মঙ্গলবার ভোর ৫.১১ মিনিটে মাটিতে আছড়ে পড়ে বেশ বড়সড় একটি উল্কা।
আলওয়ার, ১২ ফেব্রুয়ারি: রাজস্থানের আলওয়ারে (Alwar, Rajasthan) আছড়ে পড়ল একটি বড়সড় উল্কা (meteor)। ঘটনায় মাটিতে ২০ ফুট গভীর একটি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তবে উল্কাপাতের জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। আলওয়ারের ইটারানা শিল্পাঞ্চলে (Industrial Area) এই উল্কাপাত হয়। মঙ্গলবার ভোর ৫.১১ মিনিটে মাটিতে আছড়ে পড়ে বেশ বড়সড় একটি উল্কা।
অন্ধকার আকাশের বুক চিরে তীব্র গতিতে ছুটে আসা আলোর রেখা ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায় (CCTV Footage)। একটি কারখানার কম্পাউন্ডের মধ্যে উল্কার আঘাতে ২০ ফুট গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। অনেকেই ভিড় করে গর্তটিকে দেখতে আসছে। এই মহাজাগতিক ঘটনা নিয়ে উত্সাহ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরাও (Scientists)। মহাকাশে পরিভ্রমণরত পাথর বা ধাতু দ্বারা গঠিত ছোট মহাজাগতিক বস্তু যা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করলে বায়ুর সংঘর্ষে জ্বলে উঠে। তখন একে উল্কাপাত বলে। এই উল্কাপাতের জন্য দায়ী বস্তুগুলোকে উল্কা বলে। উল্কাপিণ্ড গ্রহাণুর তুলানায় আকারে অনেক ক্ষুদ্র। আকারে এরা ছোট ধূলিকনা থেকে ১ মিটার দৈর্ঘ্যের হয়ে থাকে। এর চেয়ে ছোট বস্তুকে মহাজাগতিক ধূলিকনা বলে। আরও পড়ুন: Nirbhaya Rape And Murder: ‘কেন দিল্লিতে পাঠিয়েছিলেন?’ নির্ভয়াকে অপমান করে কীবললেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক!
এসব উল্কার বেশীরভাগই গ্রহাণুর বা ধূমকেতুর অংশবিশেষ। বাকী অংশ মহাজাগতিক বস্তুর সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসাবশেষ। যখন কোন উল্কা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে তখন এর গতীবেগ প্রতি সেকেন্ডে ২০ কিমি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। এসময়ে এ্যারোডাইনামিক্স তাপের কারনে উজ্জ্বল আলোক ছটার সৃষ্টি হয়। এই বাহ্যমূর্তীর কারনে উল্কাপাতকে "তারা-খসা" বা "নক্ষত্র-খসা" (Falling Of Star) বলে। কিছু কিছু উল্কা একই উৎস হতে উৎপন্ন হয়ে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভেঙে প্রজ্জ্বলিত হয় যাকে উল্কা বৃষ্টি বলা হয়। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, প্রায় ১৫,০০০ টন পরিমাণ উল্কা, ক্ষুদ্র উল্কাকণা এবং মহাজাগতিক ধূলিকনা প্রতি বছর পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে