কাশ্মীর নিয়ে নরেন্দ্র মোদির পাশে রাহুল গান্ধী: পাকিস্তানকে তোপ দেগে রাগার সাফ কথা, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়

জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদি সরকারের পাশে দাঁড়ালেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী। ক দিন আগে ভূ স্বর্গে যাওয়ার চেষ্টায় বাধা পেয়ে শ্রীনগরে এয়ারপোর্ট থেকে ফেরার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়া রাহুলের মন্তব্য নিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছিল। বিশ্ববাসীর কাছে যাতে কাশ্মীর নিয়ে ভুল বার্তা না যায় তা পরিষ্কার করলেন রাহুল।

রাহুল গান্ধী। ফাইল ছবি। (Photo credits: IANS)

শ্রীনগর, ২৮ অগাস্ট: Kashmir India’s Internal Issue: Rahul Gandhi-জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir) ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারের পাশে দাঁড়ালেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ক দিন আগে ভূ স্বর্গে যাওয়ার চেষ্টায় বাধা পেয়ে শ্রীনগরে এয়ারপোর্ট থেকে ফেরার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন রাহুল। তারপর কাশ্মীর নিয়ে রাগার মন্তব্য পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছিল। বিশ্ববাসীর কাছে যাতে কাশ্মীর নিয়ে ভুল বার্তা না যায় তা পরিষ্কার করলেন রাহুল।

ওয়ানডের কংগ্রেস সাংসদ তথা দেশের মোদি বিরোধিতার প্রধান মুখ টুইট করে বললেন, সরকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার মতবিরোধ আছে। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিতে চাই-কাশ্মীর হল ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই বিষয়ে যেন পাকিস্তান বা বিশ্বের অন্য কোনও দেশ মাথা না গলায়। কাশ্মীর ইস্যুতে পরের টুইটে রাহুল গান্ধী লেখেন, কাশ্মীরে হিংসা আছে। আর সেই হিংসার কারণ পাকিস্তানের মদত আর সমর্থন। পাকিস্তান হল গোটা বিশ্বের সন্ত্রাসবাদের আঁতুরঘর। আরও পড়ুন-বিক্রিবাট্টা নেই, মন্দার খাঁড়া থেকে বাঁচতে ৩ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই মারুতি সুজুকির

বুধবার, সকালে রাহুল গান্ধীর এই দুটি টুইটের পর রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। অনেকেই রাহুলের এই টুইটের প্রশংসা করেন। অনেকে আবার বলছেন, সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পর রাহুলের মন্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানকে সাহায্য করছে।

কারণ কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তান সবচেয়ে বেশি যে ইস্য়ুটা নিয়ে ভারতকে কোণঠাসা করতে চাইছে, তা হল কাশ্মীরের মানুষদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। রাহুলের কিছু কথায় পাকিস্তানের বক্তব্য উঠে আসছিল বলে অভিযোগ উঠছিল। তাই টুইট করে রাহুল তার অবস্থান পরিষ্কার করলেন। রাহুল এই টুইট দুটিকে ড্যামেজ কন্ট্রোল হিসেবে বলছে একাংশ। কাশ্মীরে ঢোকার চেষ্টা করার জন্যও রাহুল গান্ধীকে সমালোচনা করা হয়েছিল।

কেন্দ্র সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করার পর কিছু দিন চুপ থাকার পর রাহুল গান্ধী-র প্রথম টুইট ছিল, ''জম্মু-কাশ্মীরকে একতরফাভাবে খণ্ডিত করে জাতীয় সংহতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বন্দি করা হচ্ছে। সংবিধান লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এই দেশ জনগণের তৈরি, দেশটা কয়েক টুকরো জমি নয়। প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে। যা দেশের নিরাপত্তায় গভীর প্রভাব ফেলছে।''

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now