Pune Municipal Corporation: পানশালার অবৈধ নির্মান ভাঙতে উদ্যোগী পুণে প্রশাসন! সকাল থেকেই অভিযান শুরু পৌরনিগমের
গত রবিবার ভোরের দিকে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল পুণের কোরেগাও পার্ক এলাকায়। এক মাদকাসক্ত নাবালকের বিলাশবহুল গাড়িতে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় দুই তরুণ-তরুণীর। এই ঘটনার পর থেকেই কড়া ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে প্রশাসন। যে দুটি বারে ৪৮ হাজার টাকার মদ খেয়েছিল, তাদের লাইসেন্স তো বাজেয়াপ্ত করা হয়েইছে। সেই সঙ্গে মালিকদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে শহরের একাধিক পাব, বারে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে বুধবার সকাল থেকে পানশালাগুলিতে অবৈধ নির্মান ভাঙতে অভিযান শুরু করে দিল পুণে মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (Pune Municipal Corporation)।
জানা যাচ্ছে, কোরেগাও এলাকা তো বটেই পাশাপাশি পুণের একাধিক জায়গায় অবৈধ বার বা প্রশাসনকে না জানিয়ে বৈধ পানশালাগুলি অবৈধ নির্মান করেছিল উপভোক্তাদের জন্য। সেগুলি এতদিন রমরমিয়েই চালাচ্ছিল বার কর্তৃপক্ষরা। অবশেষে এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন এবং সকাল থেকে অবৈধ নির্মানগুলি ভাঙতে শুরু করেছে পৌরনিগমের আধিকারিকরা। পিএমসির ডেপুটি ইঞ্জিনিয়ার যোগেন্দ্র সোনাওয়ানে জানিয়েছেন, আমরা অভিযানের শুরুতেই দুটি অবৈধ পাব ভেঙেছি। এই অভিযান এখন চলবে। আমাদের কাছে খবর আছে পুুণেতে এরকম অনেক অবৈধ নির্মান রয়েছে। সেগুলির বিরুদ্ধে অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, রবিবার পোর্শে দুর্ঘটনা কাণ্ডে মৃত্যু হয় বাইক আরোহী আনিস অবধিয়া এবং অশ্বিনী কোষ্টারের। এই ঘটনার পর পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে বছর ১৭-র এই নাবালক মদের নেশা চূড় হয়েছে ঘণ্টায় ২০০ কিমি বেগে গাড়ি চালিয়ে দুই ইঞ্জিনিয়ারকে পিষে মারে। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হলে অবশ্য নিজেকে মাদকাসক্ত হয়ে সজ্ঞানে এই কাণ্ড ঘটায়নি বলে দাবি করে। আর তারপরেই ঘটনার ১৫ ঘন্টার মধ্যে জুভেনাইল আদালত শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয় তাঁকে। এই নিয়ে অবশ্য ক্ষুব্ধ মৃতের পরিবার এবং আমজনতা। তাঁদের দাবি, প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে শাস্তি পেতে হবে কিশোরকে। অন্যদিকে এই ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্তের বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।