Pegasus Spyware Row: ২৯টি ফোনে পেগাসাস স্পাইওয়্যার থাকার অকাট্য প্রমাণ মেলেনি, রিপোর্টে জানাল সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত টেকনিক্যাল প্যানেল
Ramana)। রিপোটে প্যানেল জানিয়েছে যে ২৯ ফোন তারা স্ক্যান করেছে। সেখানে পেগাসাস স্পাইওয়্যারের উপস্থিতি থাকার কোনও চূড়ান্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রধান বিচারপতি বলেন, কমিটি নজরদারি সংক্রান্ত আইন সংশোধনের সুপারিশ করেছে।
নতুন দিল্লি, ২৫ অগাস্ট: গতমাসেই পেগাসাস স্পাইওয়্যার (Pegasus Spyware) সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গড়া প্যানেল (Pegasus Panel) সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার আদালতে প্যানেলের রিপোর্ট পড়ে শোনান প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা (Chief Justice N.V. Ramana)। রিপোটে প্যানেল জানিয়েছে যে ২৯ ফোন তারা স্ক্যান করেছে। সেখানে পেগাসাস স্পাইওয়্যারের উপস্থিতি থাকার কোনও অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রধান বিচারপতি বলেন, কমিটি নজরদারি সংক্রান্ত আইন সংশোধনের সুপারিশ করেছে।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেছেন যে কমিটি তার রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে পেগাসাস প্যানেলে ২৯টি ফোন জমা দেওয়া হয়েছিল, তবে পেগাসাস স্পাইওয়্যার পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে ৫টি ফোনে কিছু ম্যালওয়্যার (Malware) শনাক্ত করা হয়েছে। তবে সেগুলি পেগাসাস ছিল বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা জানিয়েছেন, পেগাসাস প্যানেলের রিপোর্টের একাংশ গোপন এবং ব্যক্তিগত তথ্য থাকতে পারে। তাই কমিটি জানিয়েছে যে টেকনিক্যাল রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা যাবে না। উল্লেখযোগ্য ভাবে পেগাসাস প্যানেল তার রিপোর্টে বলেছে যে ভারত সরকার তদন্তে সহযোগিতা করেনি।
গতবছর সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে প্রকাশ্যে এসেছিল পেগাসাস ইস্যু। পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্য়বহার করে নজরদারি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে সংসদে ঝড় তুলেছিলেন বিরোধীরা। মামলা গড়িয়েছিল শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। এরপরই ঘটনা খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্ট একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল।