Triple Talaq: স্ত্রী আধুনিক নয়, খায় না মদও; তাই যুবতিকে তিন তালাক স্বামীর

আধুনিক পোশাক ও মদ না খাওয়াতে এক যুবতিকে তিন তালাক (Triple Talaq) দেওয়া হল। বিহারের পাটনার (Patna) ঘটনা। অভিযোগকারী মহিলার নাম নুরি ফতমা। তাঁর দাবি, 'আধুনিক মহিলাদের' মতো পোশাক না পরা ও মদ না খাওয়াতে তাঁর স্বামী তাঁকে তাৎক্ষণিক তিন তালাক (Instant Triple Talaq) দিয়েছেন। ANI-কে ফতমা বলেন, ২০১৫ সালে ইমরান মুস্তাফাকে বিয়ে করি। বিয়ের কিছুদিন পরই আমরা দিল্লিতে থাকতে শুর করি। সেখানে যাওয়ার পর আমার স্বামী আমাকে অন্য আধুনিক মহিলাদের মতো হতে বলে। ছোটো পোশাক পরতে বলে। এছাড়া নাইট পার্টি যাওয়াসহ মদ খাওয়ার কথা বলেন। আমি রাজি না হলে আমাকে মারধর করা হতো।" তিনি আরও বলেন, "কয়েক বছর ধরে আমার উপর এভাবেই নির্যাতন চলে। কয়েকদিন আগে আমাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে স্বামী। আমি প্রতিবাদ করলে তালাক দিয়ে দেয়।"

নুরি ফতমা (Photo: ANI)

পাটনা, ১২ অক্টোবর: আধুনিক পোশাক ও মদ না খাওয়াতে এক যুবতিকে তিন তালাক (Triple Talaq) দেওয়া হল। বিহারের পাটনার (Patna) ঘটনা। অভিযোগকারী মহিলার নাম নুরি ফতমা। তাঁর দাবি, 'আধুনিক মহিলাদের' মতো পোশাক না পরা ও মদ না খাওয়াতে তাঁর স্বামী তাঁকে তাৎক্ষণিক তিন তালাক (Instant Triple Talaq) দিয়েছেন। ANI-কে ফতমা বলেন, ২০১৫ সালে ইমরান মুস্তাফাকে বিয়ে করি। বিয়ের কিছুদিন পরই আমরা দিল্লিতে থাকতে শুর করি। সেখানে যাওয়ার পর আমার স্বামী আমাকে অন্য আধুনিক মহিলাদের মতো হতে বলে। ছোটো পোশাক পরতে বলে। এছাড়া নাইট পার্টি যাওয়াসহ মদ খাওয়ার কথা বলেন। আমি রাজি না হলে আমাকে মারধর করা হতো।" তিনি আরও বলেন, "কয়েক বছর ধরে আমার উপর এভাবেই নির্যাতন চলে। কয়েকদিন আগে আমাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে স্বামী। আমি প্রতিবাদ করলে তালাক দিয়ে দেয়।"

গোটা ঘটনায় ফতমা বিহার মহিলা কমিশনের (Bihar State Women Commission) দ্বারস্থ হয়েছেন। ইতিমধ্যেই ফতমার স্বামী ইমরান মুস্তাফাকে নোটিস পাঠিয়েছে কমিশন। বিহার মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান দিমণি মিশ্র (Dilmani Mishra) বলেন, "ওর স্বামী নির্যাতন চালাত। দুবার জোর করে গর্ভপাতও করানো হয়। আমি বিষয়টি দেখছি। ইমরানকে নোটিস পাঠিয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে।" আরও পড়ুন: উঠল না কাশ্মীর প্রসঙ্গ, 'ভারত-চিন সম্পর্কের নতুন যুগ শুরু' শি জিনপিং-র সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনায় বললেন নরেন্দ্র মোদি

সম্প্রতি রাজস্থানের কোটার বাসিন্দা এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে তিন তালাক দেন। কারণ হিসেবে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি তাঁর ছেলের জন্য একটি ক্যারাম বোর্ড কেনেন। কিন্তু বিষয়টি মেনে নেননি তাঁর স্ত্রী। ছেলের জন্য কেনা উপহার, ক্যারামবোর্ড তিনি নেননি। এই কারণে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। বছর চব্বিশের ওই মহিলা আগেও স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, মহিলাকে মারধর করতেন স্বামী। তারপর থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকতেন ওই মহিলা। তাঁর সঙ্গেই ছিল সন্তান। স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ হিংসার অভিযোগ আনার পর বাবা-মায়ের কাছে থাকছিলেন শাবরুন্নিসা। তাঁর সঙ্গেই থাকে তাঁর ছেলে। একদিন বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় তাঁর স্বামী ওই মহিলার পথ আটকান। ছেলের জন্য একটি ক্যারম বোর্ড এনেছিলেন তিনি। সেটি নিতে বলেন স্ত্রীকে। কিন্তু তিনি তা নিতে অস্বীকার করায় রাগের চোটে শাকিল শাবরুন্নিসাকে তিন তালাক দেয় বলে অভিযোগ।

৩০ জুলাই তিন তালাককে অপরাধের তকমা দিয়ে বিল পাশ হয়েছে সংসদে। সেই বিলে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ স্বাক্ষর করার পর তা আইনে পরিণত হয়েছে। মুসলিম উওমেন প্রটোকশন অফ রাইটস অন ম্যারেজ অ্যাক্ট, ২০১৯-এর আওতায় তাৎক্ষণিক তিন তালাক দেওয়া এখন অপরাধ। এই আইনে কেউ দোষীসাব্যস্ত হল তিন বছরের জেল খাটতে হবে।