কংগ্রেসকে জোর খোঁচা শরিক দলের নেতা ওমর আবদুল্লা-র

লোকসভা নির্বাচনে জোর ধাক্কা খাওয়ার পর একেবারে ছন্নছাড়া অবস্থা কংগ্রেসের। একের পর এক নেতা-জনপ্রতিনিধি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন, সভাপতি পদ থেকে রাহুল গান্ধী-র ইস্তফা কাণ্ডে ব্যাপক জলঘোলা-নাটকের পর কর্নাটকে সরকার হাতছাড়া হওয়া থেকে পঞ্জাবে মন্ত্রিসভা থেকে সিধুর পদত্যাগ-রাজ্যে রাজ্যে সভাপতিদের ইস্তফা। কংগ্রেসে এখন শুধুই হতাশা, হতশ্রী দশা।

জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। (Photo Credits: ANI)

নয়া দিল্লি, ২৭ জুলাই: লোকসভা নির্বাচনে জোর ধাক্কা খাওয়ার পর একেবারে ছন্নছাড়া অবস্থা কংগ্রেসের। একের পর এক নেতা-জনপ্রতিনিধি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন, সভাপতি পদ থেকে রাহুল গান্ধী-র ইস্তফা কাণ্ডে ব্যাপক জলঘোলা-নাটকের পর কর্নাটকে সরকার হাতছাড়া হওয়া থেকে পঞ্জাবে মন্ত্রিসভা থেকে সিধুর পদত্যাগ-রাজ্যে রাজ্যে সভাপতিদের ইস্তফা। কংগ্রেসে এখন শুধুই হতাশা, হতশ্রী দশা।

এসবের মাঝে কংগ্রেসকে জোর খোঁচা দিলেন ইউপিএ-র গুরুত্বপূর্ণ শরিক দলের নেতা ওমর আবদুল্লা। জম্মু-কাশ্মীরে কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের শরিক ন্যাশানাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা বললেন, সভাপতি বাছা নিয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা দিলেন।

গতকাল কংগ্রেস তাদের সর্বভারতীয় কমিটির এক চিঠিতে জানায় মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি হিসেবে একনাথ গায়কোয়েড়ের নাম ঘোষণা করে। সেই চিঠিতে লেখা ছিল পার্টির মাননীয় সভাপতি মহারাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্বে একনাথ গায়কোয়েড়ের নাম অনুমোদন করেছেন। আর এটা নিয়েই কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা টুইট করেন, ''মাননীয় কংগ্রেস সভাপতি অনুমোদন দিয়েছেন...কিন্তু এখন প্রশ্ন হল সেই মাননীয় সভাপতিটি কে! কংগ্রেস সভাপতি কে? রাহুল গান্ধী কি সাময়িকভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন, নতুন সভাপতি না আসা পর্যন্ত?''

আসলে ওমর এমন টুইট করে কংগ্রেসের দৈনদশাটা প্রকাশের চেষ্টা করলেন। লোকসভা নির্বাচনে বিরাট হারের পর কংগ্রেসের কোমর প্রায় ভেঙে গিয়েছে। রাহুল গান্ধী সরে দাঁড়ানোর পর তো ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টাটাও প্রায় চলে গিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। স্থানীয় নেতাদের বাদ দিলে কর্নাটক নিয়ে সেভাবে কোনও চেষ্টাই চোখে পড়ল না কংগ্রেসের। রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইট ছাড়া কর্নাটক ইস্যুতে সেভাবে লড়লেন না। সভাপতির পদ থেকে রাহুল গান্ধীর পদত্যাগ বেশ কয়েক দিন হয়ে গেল। ২৩ মে ফলপ্রকাশের ধাক্কার পরও বেশ কয়েক মাস অতিবাহিত। অথচ এখনও নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করতে পারছে না কংগ্রেস। সভাপতি না থাকায় দেশজুড়ে হাত শিবিরের কর্মসূচি কার্যত বন্ধ। উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আন্দোলনে ঝড় তোলার পর আবার সব চুপচাপ। কংগ্রেস এবার কাকে সভাপতি করে আনে সেটাই দেখার।