হাতির উপদ্রবে প্রাণভয়ে গাছের ওপর চড়ে 'নিরাপদে' সংসার, পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে গাছেই থাকেন সুদয়া

হাতির ভয় বলে কথা! এমনিতেই হাতির তাণ্ডবে তিনি অনেক কিছু খুইয়েছেন। অনেক কিছু মানে ঘর-বাড়ি-আসবাবপত্র। কিন্তু সব কিছু হারিয়েও প্রাণটুকু বেঁচে আছে। সেটা কে তো বাঁচাতে হবে। আর তাই হাতির হামলা থেকে প্রাণে বাঁচাতে বুদ্ধিখাটালেন ওড়িশার কেওনঝাড়ের বাসিন্দা সুদয়া মহাকুদ

হাতির ভয়ে গাছে সংসার। (Photo Credits: ANI)

কেওনঝাড় (ওডিশা), ১৩ অগাস্ট: হাতির ভয় বলে কথা! এমনিতেই হাতির তাণ্ডবে তিনি অনেক কিছু খুইয়েছেন। অনেক কিছু মানে ঘর-বাড়ি-আসবাবপত্র। কিন্তু সব কিছু হারিয়েও প্রাণটুকু বেঁচে আছে। সেটা কে তো বাঁচাতে হবে। আর তাই হাতির হামলা থেকে প্রাণে বাঁচাতে বুদ্ধিখাটালেন ওড়িশার কেওনঝাড়ের বাসিন্দা সুদয়া মহাকুদ (Sudya Mahakud)। হাতি মস্ত প্রাণী, দিনে রাতে দাপিয়ে বেড়ায় গ্রামের সর্বত্র। হাতির নাগাল থেকে কোথাও বাঁচার উপায় নেই। একমাত্র গাছের ওপর ছাড়া।

হাতির মস্ত শুঁড় ওই গাছের উঁচুতে যায় না। তাই প্রাণ হাতির উপদ্রব থেকে বাঁচতে গাছের উপরেই খড় বিছিয়ে একেবারে পাকাপাকি বন্দোবস্ত করে বসবাস শুরু করেছেন বছর ৪০-এর সুদয়া। সুদয়ার সঙ্গে গাছের ওপরেই থাকে তার বছর পাঁচেকের ছোট্ট ছেলেও। একটা সংসার এখন চলছে গাছের ওপরেই। উদিয়া দেখেন নিচে দিয়ে হাতির দল আওয়াজ করে করে যাচ্ছে, তবে গাছের ওপর থাকায় এখন আর অনিষ্টের ভয় নেই। আরও পড়ুন-একজোড়া ডিম খেতে পকেট থেকে খসল ১৭০০ টাকা

সংবাদসংস্থা ANI-এ এই খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর চাঞ্চল্য ছড়ায়। কেওনঝাড়ের কুসুমিতা গ্রামের বাসিন্দা উদিয়ার গাছের ওপর সংসারের ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। বনদফতর সূত্রে খবর, কেওনঝাড়ে প্রায় ৫০টি হাতি রয়েছে। জানা গিয়েছে, এরই মধ্যে অন্তত ১০টি হাতির একটি দল কুসুমিতা গ্রামে ঘন ঘন হানা দিচ্ছে। হাতির হানায় গ্রামের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সুদয়া-র আগেও অনেকে এভাবে হাতির হাত থেকে বাঁচতে গাছে উঠে সংসার করেছেন বলে খবর। আসলে হাতি যে কত বড় আতঙ্ক হতে পারে তা এই গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললেই সাফ বোঝা যাবে।

এক গ্রামবাসী জানালেন, তাদের গ্রামে অনেকেই এর আগে হাতির হামলা থেকে প্রাণে বাঁচাতে উঁচু গাছের ডালে মাচা করে রাত কাটিয়েছে। তবে উদিয়া একেবারে পাকাপাকি ব্যবস্থা করে নিয়েছে। এই অঞ্চলে হাতির উপদ্রব বাড়ার কারণ বনাঞ্চল কাটা।