জলপাইগুড়ি: 'কাটমানি'-র সাত হাজার টাকা ফেরত চাওয়ায় মহিলাকে 'গণধর্ষণ'
জলপাইগুড়িতে কাটমানির টাকা ফেরত চাওয়ায় এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। মহিলার অভিযোগ, এক স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এবং তার তিন সহযোগীর কাছে তিনি কাটমানির টাকা ফেরত চান। কিন্তু কাটমানি ফেরতের বদলে তাকে গণধর্ষণ করেন নেতারা। এমন অভিযোগে ময়নাগুড়ি পুলিশ স্টেশনে সোমবার সন্ধ্য়ায় অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা।
ময়নাগুড়ি, ২১ অগাস্ট: A woman was allegedly gangraped by a local Panchayat member। জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) কাটমানি (Cut Money)- র টাকা ফেরত চাওয়ায় এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। মহিলার অভিযোগ, স্থানীয় এক পঞ্চায়েত সদস্য এবং তার তিন সহযোগীর কাছে তিনি কাটমানির টাকা ফেরত চান। কিন্তু কাটমানি ফেরতের বদলে তাকে গণধর্ষণ করেন নেতারা। এমন অভিযোগে ময়নাগুড়ি পুলিশ স্টেশনে সোমবার সন্ধ্য়ায় অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা। অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য সহ চারজন পলাতক। এখনও পর্যন্ত তাদের গ্রেফতার করা যায়নি। গণধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মহিলাকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
জেলা পুলিশ জানায়, জলপাইগুড়ির এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক বলেন, ''আমরা অভিযোগ পেয়েছি। নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখব আমরা। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে''। কাটমানি ফেরত দিতে হবে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশের খবর পেয়েই ওই তৃণমূল নেতার কাছে একাধিকবার টাকা ফেরত চান গৃহবধূ। আরও পড়ুন-স্কুল হোস্টেলের পিছন থেকে উদ্ধার অর্ধনগ্ন বেহুঁশ মহিলা, জোর করে মদ খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ
অভিযোগ, গীতাঞ্জলী আবাস যোজনার অধীনে ঘর তৈরি করার জন্য মহিলার কাছ থেকে নগদ ৭০ হাজার টাকা কাটামনি নিয়েছিলেন মহম্মদ বুলবুল আলমও তার তিন সহযোগী। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে গীতাঞ্জলী আবাস যোজনার মাধ্যমে গরীব মানুষদের জন্য বাড়ি তৈরির জন্য টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু সাত হাজার টাকা কাটমানি দেওয়ার পরেও সেই মহিলা ঘর পাননি। তাই কাটমানির টাকা ফেরত চাইতে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বুলুবলের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি বুলবুলের ওপর কাটমানি ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ বাড়িয়ে ছিলেন।
গত ১৪ অগাস্ট তাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে থানায় অভিযোগপত্রে জানিয়ে মহিলা লেখেন, ''গত ১৪ অগাস্ট টাকা ফেরতের কথা বলে ওই মহিলাকে একটি জায়গায় ডাকেন পঞ্চায়েত সদস্য বুলবুল আলম। সেখানেই ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে আলম ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর মহিলাকে মুখ বন্ধ রাখতে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।