New Education Policy 2020: ৩৪ বছর পরে জাতীয় শিক্ষানীতিতে বদল, একনজরে নতুন শিক্ষানীতি

৩৪ বছর পরে জাতীয় শিক্ষানীতিতে (Education Policy 2020) বদল। আজ প্রস্তাবিত জাতীয় শিক্ষানীতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক (Ministry of Human Resource Development) নাম বদলে হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Education)। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির ফলে দেশে পড়াশোনা কাঠামোতে বড়সড় বদল আসতে চলেছে ৷ সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই এই নীতি প্রণয়ন করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার।

স্কুল পড়ুয়া/ প্রতীকী ছবি (Picture Credits: Max Pixel)

নতুন দিল্লি, ২৯ জুলাই: ৩৪ বছর পরে জাতীয় শিক্ষানীতিতে (Education Policy 2020) বদল। আজ প্রস্তাবিত জাতীয় শিক্ষানীতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক (Ministry of Human Resource Development) নাম বদলে হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Education)। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির ফলে দেশে পড়াশোনা কাঠামোতে বড়সড় বদল আসতে চলেছে ৷ সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই এই নীতি প্রণয়ন করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার।

এক নজরে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি:

স্নাতক অনার্স কোর্স তিন-চার বছরের। স্নাতকোত্তরে ১ বা ২ বছরের কোর্স পড়ানো হবে ৷ এছাড়া স্নাতক ও স্নাতকোত্তর একসঙ্গে পড়ার জন্য ৫ বছরের একটি ইন্টিগ্রেটেড কোর্সেরও ব্যবস্থা রয়েছে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে। আরও পড়ুন: HRD Ministry Renamed as Ministry of Education: মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নাম হয়ে গেল 'শিক্ষা মন্ত্রক'

সেক্ষেত্রে মাল্টিপাল এনট্রি বা এগজ়িটের ব্যবস্থা থাকবে ইঞ্জিয়ারিংয়ের মতো কোর্সের ক্ষেত্রে কোনও পড়ুয়া চুড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা না দিলে পাস করার কোনও সুযোগ ছিল না ৷ কোনও ডিগ্রি না পেয়ে পড়ুয়া আউট অফ সিস্টেম হয়ে যেত৷ নতুন শিক্ষানীতিতে মাঝ পথে পড়া ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধাপে ধাপে শিক্ষার মানপত্র পাওয়ারও ব্যবস্থা থাকছে৷ ১ বছর বাদে সার্টিফিকেট, ২ বছর পরে ডিপ্লোমা ও ৩ বছর কোর্সের পরে একরকম ডিগ্রি সার্টিফিকেট ও ৪ বছরে কোর্স সম্পূর্ণ করার পর পুরো ডিগ্রি পাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ৷

নতুন শিক্ষানীতিতে পড়ার বিষয় বাছার ক্ষেত্রে আগের থেকে অনেক বেশি স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের৷ পদার্থবিদ্যা, রসায়ন নিয়ে পড়লেও মিউজিক নিয়ে পড়ারও সুযোগ থাকবে। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণধর্মী বা বৃত্তিমূলক শিক্ষায় জোর দিতে চাইছে সরকার ৷ অর্থাৎ ডিগ্রির পর পড়ুয়াদের শিক্ষা অনুযায়ী জীবিকা পেতে যাতে কোনও অসুবিধে না হয়।

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ক্রেডিট ট্রান্সফার অ্যান্ড অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্ক অফ ক্রেডিটস। এর ফলে খুব সহজে পডু়য়ারা বিষয় পরিবর্তন করতে পারবে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরই এবার PhD কোর্সে ভরতি হওয়া যাবে৷ কারণ তুলে দেওয়া হচ্ছে M.Phil। আইন ও মেডিকেল কলেজগুলি ছাড়া সমস্ত উচ্চশিক্ষার ইন্সটিটিউশনগুলিতে একজন রেগুলেটর থাকবে। প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে একটি সাধারণ প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে।

৫+৩+৩+৪ ভাগে ১৫ বছরের স্কুল স্তরে পড়াশোনা। বোর্ডের পরীক্ষার গুরুত্ব কমানো হবে। ক্লাস ইলেভেন ও টুয়েলভে আলাদা করে আর্টস ও সায়েন্স বিভাগ থাকবে না। ক্লাস নাইন থেকে টুয়েলভ পর্যন্ত স্কুলে ৮টি সিমেস্টার। ক্লাস ইলেভেন ও টুয়েলভে মোট 8 টি সেমেস্টারে হবে। ক্লাসের পরীক্ষা ও জ্ঞান প্রয়োগের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হবে। ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত মাতৃভাষা বা আঞ্চলিক ভাষায় পড়াশোনার সুযোগ থাকবে। স্কুলে মূল বিষয়গুলির উপর জোর দেওয়া হবে। ক্লাস সিক্স থেকে পেশাগত শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। গঠন করা হচ্ছে ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন।

বর্তমানে উচ্চশিক্ষায় নিয়ন্ত্রক একটিই নিয়ন্ত্রক সংস্থা থাকবে। কলেজগুলির ক্ষেত্রে আরও স্বায়ত্তশাসন বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে নতুন নীতিতে। কলেজের গ্রেড অনুযায়ী স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হবে। যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষা ক্ষেত্রে জিডিপির ৬ শতাংশ লগ্নি করবে সরকার।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now