Maharashtra: মহারাষ্ট্রের প্রত্যন্ত গ্রামে মেলেনি অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল থেকে বাইকে বেধে মৃতদেহ ফিরল বাড়ি
মহারাষ্ট্রের একপ্রান্তে বাণিজ্য নগরীর রমরমা, ঠিক অন্যপ্রান্তে প্রদীপের নীচের অন্ধকার। যেখানে মানুষের বিপদে অ্যাম্বুলেন্সটুকুও প্রবেশ করে না সেভাবে। মহারাষ্ট্রের এমনই এক প্রত্যন্ত গ্রাম গদচিরোলি।
উন্নয়নশীল ভারতের কোনায় কোনায় এখনও উন্নয়নের ছিটেফোঁটা পৌছয়নি। মুম্বই (Mumbai), মহারাষ্ট্রের এক ঝাঁ চকচকে শহর। যেখানে বলিউডের মত একটা সুবিশাল ইন্ডাস্ট্রি বিরাজ করছে। রমরমিয়ে চলছে ব্যবসা বানিজ্য। তাই তো শহরটাকে বাণিজ্য নগরী বলা হয়। মহারাষ্ট্রের একপ্রান্তে বাণিজ্য নগরীর রমরমা, ঠিক অন্যপ্রান্তে প্রদীপের নীচের অন্ধকার। যেখানে মানুষের বিপদে অ্যাম্বুলেন্সটুকুও প্রবেশ করে না সেভাবে। মহারাষ্ট্রের এমনই এক প্রত্যন্ত গ্রাম গদচিরোলি। গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স (Ambulance) না ঢোকায় মৃতদেহ বাইকে বেধে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনা হল শেষকৃত্যের জন্যে।
জানা গিয়েছে, গত ২০ জুলাই টিবি-তে আক্রান্ত যুবকটির গ্রামের এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে দেহ বাড়ি আনতে পারছিল না মৃতের পরিবার। গ্রামের ভিতর অ্যাম্বুলেন্স (Ambulance) না ঢুকতে চাওায় বিগত চার দিন ধরেই মৃতদেহ ফেলে রাখতে হয়েছিল হাসপাতালের মর্গে। কিন্তু ছেলের শেষকৃত্য তো সম্পন্ন করতে হবে। তাই বিকল্প পথ বের করল পরিবার। বাইকের সঙ্গে মরার খাট বেধে তাতে করে মৃতদেহ বাড়িতে আনলেন তাঁরা। সেই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এসেছে।
যদিও এই প্রসঙ্গে এক সিনিয়র জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, যুবকের পরিবার যে অ্যাম্বুলেন্স পাচ্ছেন না মৃতদেহ বাড়ি ফেরানোর জন্যে সে কথা পৌরসভা কিংবা স্বাস্থ্য বিভাগের অফিসারদের জানানো হয়নি। তাঁরা নিজেরাই এই বিকল্প পথ বেছে নিয়েছেন।
বাইকে বেধে মৃতদেহ নিয়ে ফেরার পথে তাঁদের আটকায় ট্রাফিক পুলিশ। বিষয়টি শোনার পর তিনি নিজেই ব্যবস্থা করে দেন অ্যাম্বুলেন্সের। অ্যাম্বুলেন্সে করে প্রথমে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় সরকারি হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক কিছু কাজবাজ মিটিয়ে শেষকৃত্যের জন্যে মৃতদেহ পৌঁছে দেওয়া হয় গ্রামে।