টাকার প্রয়োজন, ২ বছর ধরে নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের জন্য বাড়িতে লোক ডাকল বাবা!

দুবছর ধরে লাগাতার ধর্ষণের শিকার বছর ১২-র কিশোরী। প্রায় ৩০ জন ধর্ষক পালা করে তার উপরে শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে। আতঙ্কে মুখ খোলার সাহস পায়নি নির্যাতিতা। তবে স্কুলে একটি কাউন্সেলিংসেশন চালু হতেই এই ভয়ঙ্কর সত্য প্রকাশ্যে এসেছে। কাউন্সেলর মহিলার প্রশ্নেই কাঁদতে কাঁদতে সমস্তটাই খুলে বলে নির্যাতিতা কিশোরী। এরপরই কাউন্সেলিং গ্রুপের তরফে গোটা ঘটনাটি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে ওই কিশোরীকে সরকারি হোমে পাঠানো হয়েছে।

প্রতীকী ছবি(File Photo)

মাল্লাপুরম, ২৬ সেপ্টেম্বর: দুবছর ধরে লাগাতার ধর্ষণের শিকার বছর ১২-র কিশোরী। প্রায় ৩০ জন ধর্ষক পালা করে তার উপরে শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে। আতঙ্কে মুখ খোলার সাহস পায়নি নির্যাতিতা। তবে স্কুলে একটি কাউন্সেলিংসেশন চালু হতেই এই ভয়ঙ্কর সত্য প্রকাশ্যে এসেছে। কাউন্সেলর মহিলার প্রশ্নেই কাঁদতে কাঁদতে সমস্তটাই খুলে বলে নির্যাতিতা কিশোরী। এরপরই কাউন্সেলিং গ্রুপের তরফে গোটা ঘটনাটি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে ওই কিশোরীকে সরকারি হোমে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিতার বক্তব্য যে সঠিক তা নিশ্চিত করেছে ডাক্তারি পরীক্ষা। ওই কিশোরী যে লাগাতার ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার তা পরীক্ষায় জানা গিয়েছে।

পরিবার আর্থিক সংকটে তাই কাজ খুঁজতে গিয়েছিল কিশোরী, সেখানেই সে নারকীয় যন্ত্রণার শিকার হয়। নিজের পরিবারকে সাহায্য করার জন্য এই অত্যাচারও ২ বছর ধরে মুখ বুজে সহ্য করেছে সে। নির্যাতিতার মুখে এসব শুনে একেবারেই বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছেন কাউন্সেলর। অভিযোগ, টাকা রোজগারের জন্য এই পথ বেছে নিতে তাকে বাধ্য করেছে বাবা। নির্যাতিতার বাবাই তার মাকে প্রথমে যৌনকর্মী হিসেবে কাজে লাগিয়েছে। পরে মেয়েক ধর্ষণের জন্য বাড়িতে লোক ডেকে এনেছে। প্রথমে টাকার বিনিময়ে বাবার বন্ধুই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। প্রথমবার একলপ্তে অনেক টাকা হাতে এসেছিল। এরপর বিভিন্ন লোক তাদের বাড়িতে এসে তার উপরে নারকীয় অত্যাচার চালিয়েছে। আরও পড়ুন-Ticketless travel: মাত্র ৬ মাসে বিনা টিকিটের যাত্রীর থেকে ১০০.২৯ কোটি টাকা লাভ মধ্য রেলের

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা জানান, ওই পরিবারটির মধ্যে বেশ কিছু অস্বাভাবিকতা তাঁরা লক্ষ্য করেছেন। মাঝেমাঝেই নাবালিকার আর্তচিৎকার তাঁদের কানে গিয়েছে। কিন্তু কেউই যেচে পড়ে খোঁজ নেওয়ার আগ্রহ বোধ করেননি। পুলিশ ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার বাবা ও এই ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার করেছে। তবে এতকিছুর পরেও মেয়েকে বাড়িতে ফেরাতে নারাজ তার মা। জানা গিয়েছে, মেয়ে যাতে কারওর সঙ্গে এই অত্যাচার প্রসঙ্গে কথা না বলতে পারে তাই মা নিজে তাকে স্কুলে নিয়ে যেত নিয়ে আসত। এমনকী, সবসময় পাশে থাকত যাতে অন্যদের সঙ্গে কোনও কথা বলতে না পারে। সহপাঠিনীরাও জানিয়েছে, গত দুবছর ধরে সে কারওর সঙ্গে কথা বলত না, শান্ত হয়ে বসে থাকত, ক্লাস না থাকলে একেবারে গুটিয়ে যেত নিজের মধ্যে।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now