বিজেপি ও আরএসএস নেতা খুনে অভিযুক্ত তিন হিজবুল জঙ্গিকে পাকড়াও করল সেনা

উপত্যকা থেকে তিন হিজবুল জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। সঙ্গে জঙ্গি দলের এক আড়কাঠিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যেসব সময় নিরাপত্তাকর্মীদের অবস্থান-সহ উপত্যকার নানাবিধ গুহ্য খবর জঙ্গিদের কানে পৌঁছে দিত। ধৃতদের বিরুদ্ধে উপত্যকার কিসওয়ার জেলার দুই বিজেপি ও আরএসএস নেতার খুনের অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে ধৃতরা উপত্যকায় ঘটে যাওয়া চারটি নাশকতার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।

ধৃত হিজবুল দঙ্গিদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে(Photo Credit: ANI)

শ্রীনগর, ২৩ সেপ্টেম্বর: উপত্যকা থেকে তিন হিজবুল জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। সঙ্গে জঙ্গি দলের এক আড়কাঠিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যেসব সময় নিরাপত্তাকর্মীদের অবস্থান-সহ উপত্যকার নানাবিধ গুহ্য খবর জঙ্গিদের কানে পৌঁছে দিত। ধৃতদের বিরুদ্ধে উপত্যকার কিসওয়ার জেলার দুই বিজেপি ও আরএসএস নেতার খুনের অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে ধৃতরা উপত্যকায় ঘটে যাওয়া চারটি নাশকতার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। মূলত গোটা জম্মু ও কাশ্মীরজুড়ে ফের সন্ত্রাসী বাতাবরণকে জাগিয়ে তুলতেই এই কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে হিজবুল সেবিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত সেনা। ধৃতদের নাম নিসার আহমেদ শেখ, নিশাদ আহমেদ ও আজাদ হোসেন।

এই প্রসঙ্গে জম্মু জোনের ইন্সপেক্টর মুকেশ সিং জানিয়েছেন, ধৃতরা মামুলি জঙ্গিই শুধু নয়, রীতিমতো ষড়যন্ত্রকারীও বটে। গত নভেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত উপত্যকায় যতগুলি হামলার ঘটনা ঘটেছে সেসবের পিছনে এদের সক্রিয় মদত ছিল। ২০২৮-তে এই উপত্যকাতেই খুন হয়ে যান বিজেপির রাজ্য সম্পাদক অনিল পারিহার, চলতি বছরের এপ্রিলে খুন হন আরএসএস কর্মী চন্দ্রকান্ত শর্মা। দুটি খুনের পিছনেই ধৃত হিজবুল জঙ্গিরা (Hizbul Mujahideen militants) ছিল। মূলত কিসতওয়ার জেলা ফের জঙ্গি কার্যকলাপ ফিরিয়ে আনতে সুকৌশলে খুনের ষড়যন্ত্র ছকেছিল হিজবুল প্রধান জাহাঙ্গীর সারুরি। চতুর্থ যে লোকটিকে ধরা হয়েছে, তার নাম রুস্তম। সে জঙ্গিদের গোপন ডেরায় লুকোতে সাহায্য করত। নিশাদ নিসারের মতো জঙ্গিদের আ্তানা তৈরি করাই ছিল রুস্তমের কাজ। এদিন সেই আস্তানাতে হানা দিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি, রিভলবার, রাইফেল ও গোলাবারুদ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। আরও পড়ুন-পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখলে তৈরি ভারতীয় সেনা, বললেন বিপিন রাওয়াত

এদিন আইজিপি মুকেশ শর্মা গোটা উপত্যকাবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, স্থানীয়দের মধ্যে কেউ যদি অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে কোনও জঙ্গিকে সহযোগিতা, আশ্রয় দিয়ে থাকেন, বা তার কাছে কোনও গোপন খবর পৌঁছানোর চষ্টা করে থাকনে, তাহলে তাঁকে শাস্তি পেতেই হবে। কারণ সরকার বিরোধী ও জঙ্গি সহায়তকারী কোনও বেআইনি কাজকে হালকাভাবে নেওয়া হবে না। এমন কোনও অপরাধ প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তি বাধ্যতামূলক। গত ১৩ সেপ্টেম্বর কিসতওয়ারে শেষ হামলার ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় গৌরিয়ান জেলায় বসবাস করেন পিডিপির জেলা সম্পাদক শেখ নাসির হুসেন। জঙ্গিরা হানা দিয়ে তাঁর বাড়ি থেকে লাইসেন্সড রিভলবারটি নিয়ে গিয়েছে।