Karnataka: উলটপূরাণ, বিবাহবিচ্ছেদের জন্য় কর্মরত স্ত্রীর থেকে খোরপোষ দাবি ব্যক্তির!
বিবাহবিচ্ছেদের (Divorce) ক্ষেত্রে সাধারণত স্বামীর থেকে খোরপোষ (Alimony) দাবি করেন স্ত্রী। তবে এর উল্টোটাও হয়। কর্নাটকের (Karnataka) এক ব্যক্তি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে আজীবন খোরপোষের দাবি জানিয়েছিলেন। যদিও কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court) তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আদালত বলেছে, "উপার্জন করার ক্ষমতা সম্পন্ন স্বামীর স্ত্রীর কাছ থেকে স্থায়ী খোরপোষ চাওয়ার কোনও অধিকার নেই।"
বেঙ্গালুরু, ১৩ জুলাই: বিবাহবিচ্ছেদের (Divorce) ক্ষেত্রে সাধারণত স্বামীর থেকে খোরপোষ (Alimony) দাবি করেন স্ত্রী। তবে এর উল্টোটাও হয়। কর্নাটকের (Karnataka) এক ব্যক্তি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে আজীবন খোরপোষের দাবি জানিয়েছিলেন। যদিও কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court) তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আদালত বলেছে, "উপার্জন করার ক্ষমতা সম্পন্ন স্বামীর স্ত্রীর কাছ থেকে স্থায়ী খোরপোষ চাওয়ার কোনও অধিকার নেই।"
বিচারপতি অলোক আরাধে এবং জে এম খাজির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যখন স্থায়ী খোরপোষ চাওয়া হয়, তখন উভয় পক্ষের সম্পত্তি এবং আর্থিক শর্তগুলি বিবেচনা করতে হবে। স্বামীর চাহিদা, আবেদনকারীদের আয় এবং সম্পদ বিবেচনা করা দরকার। এই ক্ষেত্রে খতিয়ে দেখার সময় আবেদনকারী একমত হয়েছেন যে তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে জমি পেয়েছেন এবং বর্তমানে তিনি যে বাড়িতে বাস করছেন সেখানে তাঁর অংশ রয়েছে। স্ত্রী একটি কোঅপারেটিভে কাজ করছেন এবং ১৫ বছরের ছেলেকে পড়াশোনা করাচ্ছেন। ছেলেকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন এবং তিনি একাই এই দায়িত্ব গ্রহণ করছেন। স্বামীর উপার্জনের ক্ষমতা রয়েছে। তাই তাঁর আবেদন খারিজ করে পারিবারিক আদালতের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হল।
শুনানিতে স্বামীর পক্ষে সওয়াল করা আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন যে তাঁর স্ত্রী একটি সমবায়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন। অন্যদিকে, আবেদনকারী সিকিউরিটি গার্ড হিসাবে কাজ করতেন। তাঁর চাকরি চলে গিয়েছে। স্ত্রীর পক্ষে সওয়াল করা আইনজীবী পাল্টা বলেছেন যে মহিলা বেতন হিসাবে মাত্র ৮ টাকা পান। এই টাকা থেকে খোরপোষ দেওয়া সম্ভব নয়।
১৯৯৩ সালের মার্চে বিয়ে করেছিলেন এই দম্পতি। স্ত্রী সন্তানের জন্ম দেওয়ার আগেই তাঁর স্বামীকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। পুত্রের জন্মের পরেও তিনি বহু বছর ধরে ফিরে আসেননি। স্বামী পারিবারিক আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছিলেন। তিনি স্থায়ী খোরপোষের জন্যও আবেদন করেছিলেন। পারিবারিক আদালত ২০১৫ সালে বিবাহবিচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছিল। তবে, খোরপোষের দাবি খারিজ করে দিয়েছিল। এবার কর্নাটক হাইকোর্টও এই রায় বহাল রাখল।