Delhi Diwali and Pollution: 'বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে' পরিণত হয়েছে দিল্লি, বায়ুদূষণের ক্ষতিকারক প্রভাব এবং তা প্রতিকারের উপায় বললেন বিশিষ্ট চিকিৎসক
চেস্ট অ্যান্ড রেসপিরেটরি বিভাগের অন্যতম খ্যাতনামা চিকিৎসক সন্দীপ নায়ের জানালেন, দীপাবলির সময়ে প্রতিবছরই দিল্লিতে দূষণের মাত্রা বাড়ে। যার ফলে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ এবং রোগীর সংখ্যাও বেড়ে যায়। এই বাতাসেই আমরা শ্বাস নিচ্ছি যা ভীষণই ক্ষতিকারক।
নয়া দিল্লি, ১ নভেম্বরঃ দীপাবলির (Diwali 2024) সময়ে বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয় রাজধানী দিল্লি। বাতাসে মিশে থাকে 'বিষ'। এই সময়ে দিল্লির (Delhi) বাতাসের গুণগত মান 'অত্যন্ত খারাপ'এর পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এই বিষাক্ত ধোঁয়ার মধ্যেই নিঃশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে রাজধানীবাসীদের। যা মারাত্মক ক্ষতি করছে বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেরই। দিল্লির দূষণ (Delhi Pollution) এবং তাঁর ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে চেস্ট অ্যান্ড রেসপিরেটরি বিভাগের অন্যতম খ্যাতনামা চিকিৎসক সন্দীপ নায়ের (Dr. Sandeep Nayar) জানালেন, দীপাবলির সময়ে প্রতিবছরই দিল্লিতে দূষণের মাত্রা বাড়ে। যার ফলে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ এবং রোগীর সংখ্যাও বেড়ে যায়। এই বাতাসেই আমরা শ্বাস নিচ্ছি যা ভীষণই ক্ষতিকারক'।
অক্টোবরের শুরু থেকেই দিল্লির দূষণ একটু একটু করে বাড়তে শুরু করেছিল। ভোর হতেই রাজধানীর আকাশ জুড়ে ধোঁয়ার আস্তরণ চোখে পড়ে। বায়ু দূষণের জেরে দূষিত হচ্ছে যমুনার জল (Yamuna River)। যমুনায় সাদা বিষাক্ত ফেনার চাদর পড়েছে। এই আবহে প্রশাসনের তরফে দিল্লিতে আতশবাজি ফাটানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে সেই নিষেধাজ্ঞাকে কাঁচকলা দেখিয়ে দীপাবলির রাতে দিল্লি জুড়ে চলল আতশবাজি ফাটানো। শুক্রবার অর্থাৎ দীপাবলির পরের দিন সকাল থেকেই দিল্লির বাতাস কার্যত বিষে পরিণত হয়েছে।
বায়ুদূষণের ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে চিকিৎসক সন্দীপ নায়ের জানাচ্ছেন, 'বায়ূদূষণের জেরে আমাদের শরীরের মাথা থেকে পা সমস্ত অঙ্গই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সব বয়সেই ঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক কম থাকার কারণে শিশু এবং বুড়োদের ক্ষেত্রে ঝুঁকিটা বেশি'। এই সময়ে বাড়ির বাইরে বেশি না বের হওয়ার জন্যের পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি চিকিৎসক আরও জানাচ্ছেন, কুয়াশা (Fog) এবং ধোঁয়া (Smoke) মিলে দিল্লির বাতাসে যে 'স্মগ' (Smog) তৈরি হচ্ছে তা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে রক্তে মিশে শরীরের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
প্রতিকারের উপায় বতলালেন চিকিৎসক সন্দীপ নায়ের...
১) যতটা সম্ভব বাড়ির বাইরে কম বের হতে হবে। অযথা বাড়ির বাইরে যাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
২) বাইরে বের হওয়ার প্রয়োজন হলে মুখে অবশ্যই করে মাস্ক পরতে হবে।
৩) যারা কিডনি, রক্তচাপ, শ্বাসজনিত সমস্যা বা অন্যকোন ওষুধ খাচ্ছেন তা নিয়মিত চালিয়ে যান।
৪) শরীরকে খুব বেশি করে এই সময়ে হাইড্রেট রাখতে হবে।
৫) যতটা সম্ভব গণপরিবহণ ব্যবহার করতে হবে। ব্যক্তিগত যানবাহন এড়িয়ে চলাই এখন মঙ্গল।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)