Bengaluru Cafe Blast: পরপর ৪ রাজ্যে টানা তল্লাশি, অবশেষে কাঁথি থেকে গ্রেফতার বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সাজেদ, তাহা
প্রাথমিক তদন্তের পর সূত্রের খবর, সাজেদ বোমা তৈরির পর তা ব্যাগে ভরে। এরপর বেঙ্গালুরুর ওই জনপ্রিয় ক্যাফেতে গিয়ে সেই বোমা রেখে আসে সাজেদ। অন্যদিকে সাজেদ হাতেকরে কাজ করলেও, তাহা ছিল গোটা পরিকল্পনার মাথা। শুধু তাই নয়, রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের পর তারা ২ জন কোথায় গা ঢাকা দিয়ে থাকবে, সেই পরিকল্পনাও বের হয় তাহার মাথা থেকে।
বেঙ্গালুরু, ১২ এপ্রিল: বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) রামেশ্বরম (Rameshwaram) ক্য়াফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় পরপর ২ জনকে গ্রেফতার করার খবর মিলছে। রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থেকে পরপর ২জনকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার সকালে কাঁথি থেকে ওই ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম মুসাভির হুসেন সাজেব এবং আবদুল মতিন তাহা। কেন্দ্রীয় গোয়ান্দা সংস্থার আধিকারিকদের একটি দল এবং রাজ্য পুলিশ একসঙ্গে তল্লাশি চালিয়ে পরপর ২ জনকে গ্রেফতার করে কাঁথি জেলা থেকে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পাশাপাশি কর্ণাটক, তেলাঙ্গানা এবং কেরল পুলিশও রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের খোঁজে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের অফিসারদের একসঙ্গে একযোগে টানা তল্লাশি শুরু করে।
প্রাথমিক তদন্তের পর সূত্রের খবর, সাজেদ বোমা তৈরির পর তা ব্যাগে ভরে। এরপর বেঙ্গালুরুর ওই জনপ্রিয় ক্যাফেতে গিয়ে সেই বোমা রেখে আসে সাজেদ। অন্যদিকে সাজেদ হাতেকরে কাজ করলেও, তাহা ছিল গোটা পরিকল্পনার মাথা। শুধু তাই নয়, রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের পর তারা ২ জন কোথায় গা ঢাকা দিয়ে থাকবে, সেই পরিকল্পনাও বের হয় তাহার মাথা থেকে।
এই নিয়ে রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হল। এর আগে মুজাম্মিল শরিফকে গ্রেফতার করা হয়। যে মুজাম্মিল শরিফ সাজেদ এবং তাহার সঙ্গে পরিকল্পনা করে বেঙ্গালুরুর ওই জনপ্রিয় ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় সঙ্গে নিজের নাম জড়ায়।
রিপোর্টে প্রকাশ, কর্ণাটকের (Karnataka) শিবমোগার বাসিন্দা সাজেদ এবং তাহার খোঁজ শুরু হয় মুজাম্মিল শরিফকে জেরার পর। প্রায় ১৮টি জায়গায় একযোগে তল্লাশির পর অবশেষে এই সাজেদ এবং তাহার খোঁজ পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল এবং পুলিশ একযোগে।
গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর জনপ্রিয় রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ হয়। যার জেরে পরপর ১০ জন আহত হন বলে খবর। রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের পর থেকেই পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি শুরু করে। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও বিস্ফোরণের মাথায় কে বা কারা রয়েছে, তার খোঁজ শুরু করে।