বিজয়া দশমী থেকেই বন্ধ কর সন্ত্রাস, জানিয়ে দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন

চিন আমেরিকার চেয়ে বারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ভাল। নীতি আয়োগের দাবি উড়িয়ে লগ্নিকারীদের আশ্বস্ত করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। কেন্দ্রের মোদি সরকার যে দেশের আর্থিক সংস্কার করছে তা বলতেও ভোলেননি তিনি।

নির্মলা সীতারমন ও অর্থনৈতিক সংকট(Photo Credit:File)

দিল্লি, ২৩ আগস্ট: চিন আমেরিকার চেয়ে বারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ভাল। নীতি আয়োগের দাবি উড়িয়ে লগ্নিকারীদের আশ্বস্ত করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। কেন্দ্রের মোদি সরকার যে দেশের আর্থিক সংস্কার করছে তা বলতেও ভোলেননি তিনি। একই সঙ্গে স্টার্ট আপ এবং ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অতিক্ষুদ্র শিল্পে উৎসাহ বাড়াতেও এক গুচ্ছ দাওয়াই দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তার মধ্যে রয়েছে জিএসটি সরলীকরণ, করে ছাড়ের মতো ঘোষণা। স্টার্ট আপের ক্ষেত্রে ‘এঞ্জেল ট্যাক্স’ তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। হাতে হাতে আয়কর নোটিস দেওয়ার দিন চলে গেল।

স্টার্ট আপের ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানের জন্য একটি সেল তৈরি করবে কেন্দ্র। তাঁরা এই সব সমস্যার সমাধান করবেন। চলতি বছরে ছোট শিল্পগুলির দেওয়া জিএসটি ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার কথা বলেছেন সীতারামন। ভবিষ্যতে এই সময়সীমা ৬০ দিন থাকবে বলেও এ দিন জানান অর্থমন্ত্রী।শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) সংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন, কোনও ট্যাক্স অফিসার আর হাতে করে গিয়ে কাউকে আয়কর নোটিস পাঠাতে পারবেন না। তার কোনও মূল্যও থাকবে না। আয়কর নোটিস হবে কম্পিউটার জেনারেটেড। আরও পড়ুন-এই প্রথম তীব্র নগদ সমস্যায় ভারতের বাজার, কেউ কাউকে ধার দিতে রাজি নয়; নীতি আয়োগ

অর্থাৎ যিনি কর নির্ধারণ করবেন তাঁর মুখই দেখা যাবে না। বিজয়া দশমীর দিন থেকে এই নতুন ব্যবস্থা কার্যকর হবে। আয়কর আদায়ের নামে প্রত্যক্ষ কর দপ্তরের এক শ্রেণির অফিসার যে জুলুম ও সন্ত্রাস চালাচ্ছেন তা দমন করতে এ বার উদ্যোগী হল কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকার (Narendra Modi Govt)।

এদিন নির্মলা সীতারমন জানান, কোনও কর দাতা নোটিসের জবাব দেওয়ার তিন মাসের মধ্যে তার নিষ্পত্তি করতে হবে। তিন মাসের মধ্যে তা নিষ্পত্তি না হলে করদাতার উদ্বেগের কারণ নেই। তাঁকে আর এ ব্যাপারে ভাবতে হবে না। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের কর্তাদের মতে, সরকারের এই ঘোষণা কর্পোরেট তথা ব্যবসায়ীদের কাছে ইতিবাচক বার্তা পাঠাবে। সরকার ও বেসরকারি ক্ষেত্রের মধ্যে আস্থার সম্পর্কের যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা এর ফলে দূর হবে। কেন্দ্রের এই ঘোষণা ব্যবসায়ীদের আস্থা অর্জনে বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। অনেকের মতে, এ হল দীর্ঘদিনের বকেয়া অর্থনৈতিক সংস্কার।