Nimisha Priya Case: ব্লাড মানি নিতে অস্বীকার, নিমিশা প্রিয়াকে জীবিত রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে ভারত সরকার

ভাগ্যে এখনও মৃত্যুদণ্ড ঝুলছে। যে কোনও দিন শরিয়ত আইন অনুযায়ী মৃত্যু হতে পারে ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার। অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রেখেছে ইয়েমেনের আইন ব্যবস্থা।

ভাগ্যে এখনও মৃত্যুদণ্ড ঝুলছে। যে কোনও দিন শরিয়ত আইন অনুযায়ী মৃত্যু হতে পারে ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার (Nimisha Priya Case)। অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রেখেছে ইয়েমেনের আইন ব্যবস্থা। তবে ফাঁসির নির্দেশ টলাতে ব্যর্থ নিমিশার আইনজীবী। ফলে যে কোনও দিন তাই মৃত্যু হতে পারে। আই অবস্থায় ব্লাড মানি বা ক্ষতিপূরণ দিয়ে কেস বন্ধের চেষ্টা করেছিল তরুণীর আইনজীবী। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। তাঁরা ক্ষতিপূরণ নয়, তাঁরা বিচার চায় বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। ফলে অনির্দিষ্টকালের জন্য মৃত্যুদণ্ড স্থগিত মানে নিমিশা প্রিয়া মুক্তি পাচ্ছেন, তা কিন্তু নয়।

নিমিশা প্রিয়াকে বাঁচাতে উদ্যোগী ভারত

যদিও তাঁকে সুরক্ষিতভাবে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে বলে এখনও আশার আলো দেখছে ভারত সরকার। বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি বিষয়। ভারত সরকার এই বিষয়ে সকল সম্ভাব্য সহায়তা প্রদান করে আসছে। আমরা এই মামলায় একজন আইনজীবী নিযুক্ত করেছি এবং নিমিশার পরিবারকে সবরকম সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। আমরা তরুণীর পরিবারের জন্য নিয়মিত কনস্যুলার পরিদর্শনের ব্যবস্থাও করেছি।

চাকরিসূত্রে কেরল যান নিমিশা প্রিয়া

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে ইয়েমেনে নার্স হিসেবে চাকরি করতে গিয়েছিলেন কেরলের পালক্কাড়ের বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়া। সেখানে চাকরিরত অবস্থা কেরলে ফিরে এসে টমি থমাসের সঙ্গে বিয়ে করেছিল সে। দীর্ঘদিন চাকরি করেও আর্থিক স্বাচ্ছলতা ফিরে না আসায় সেদেশে ক্লিনিক খুলে ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন কেরলের এই তরুণী। তবে ইয়েমেন সরকারের নিয়ম অনুযায়ী সেদেশে কোনও বিদেশী ব্যবসা করলে দেশের এক নাগরিককে ব্যবসায়িক সঙ্গী বানাতে হবে। সেই কারণে তালাল আবদো মাহদির সংস্পর্শে আসেন নিমিশা।

তালাল আবদো মাহদিকে খুন

তাঁর সঙ্গে ব্যবসা শুরু করলেও সমস্যায় পড়েন নিমিশা। অভিযোগ, তালাল তাঁর ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাত। ক্লিনিকের টাকা হাতিয়ে নিত এবং নিমিশার পাসপোর্টও বাজেয়াপ্ত করে রেখেছিল। সেই কারণেই ২০১৭ সালে তালালকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে পাসপোর্ট হাতিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল নিমিশা। কিন্তু ওভারডোজ প্রয়োগের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। আর তারপরই দেহ লোপাটের জন্য তালালের দেহ কেটে ট্যাঙ্কে রেখে পালানোর চেষ্টা করেন নিমিশা। তখনই তাঁঅকে ধরে ফেলা হয়। ২০১৮ সালে দোষী সাব্যস্ত হন নিমিশা।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now
Advertisement


Advertisement
Advertisement
Share Now
Advertisement