Lok Sabha Elections 2024: বারাণসী থেকে ডায়মন্ড হারবার, মান্ডি, শেষ দফায় দশ নজরকাড়া আসন

শনিবার দেশের ৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৭টি লোকসভা আসনে নির্বাচন। বাংলা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওডিশার পাশপাশি ভোটগ্রহণ হবে পঞ্জাব ও হিমাচলপ্রদেশেও।

পার্থ প্রতিম চন্দ্র: শনিবার দেশের ৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৭টি লোকসভা আসনে নির্বাচন। বাংলা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওডিশার পাশপাশি ভোটগ্রহণ হবে পঞ্জাব ও হিমাচলপ্রদেশেও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-র কেন্দ্র বারণসীতে ভোটগ্রহণে হবে এই দফাতেই। কলকাতা, শহরতলী, দুই ২৪ পরগণা জেলার মোট ৯টি লোকসভা আসনে বাংলায় ভোটগ্রহণ।

এক নজরে সপ্তম দফার হেভিওয়েট দশটি আসন

১) বারাণসী (উত্তর প্রদেশ): প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্র। টানা তিনবার উত্তর প্রদেশের পবিত্র ধর্মীয় নগরী বারাণসী লোকসভা কেন্দ্র থেকে জেতার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাট থেকে দিল্লিতে সিংহাসন জয়ের লক্ষ্যে নেমে প্রথমবার নিজের রাজ্য ভোদদরার পাশাপাশি বারাণসী থেকেও লড়েছিলেন মোদী। দুটি কেন্দ্রেই জয় পাওয়ার মোদী বারণসীর সাংসদ হিসেবই থেকে যান। ভারতের রাজনীতিতে সিংহাসন দখলের জন্য উত্তর প্রদেশ হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য। সেই রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ আসন থেকে লড়ে গোটা ইউপি-তে গেরুয়া রাঙিয়ে দিতে চেয়েছিলেন মোদী। এবং তাতে দারুণভাবে সফল হন তিনি। গতবার তাঁর জয়ের মার্জিন বেড়েছিল। এবার মোদীর লক্ষ্য হল বারণসীতে থেকে ৭৫ শতাংশের বেশী ভোট পাওয়া। এবার মোদীর প্রধান প্রতিপক্ষ হলেন সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে লড়া কংগ্রেসের বাহুবলী নেতা অজয় রাই।

২) ডায়মন্ড হারবার (পশ্চিম বাঙলা):

মূল প্রতিপক্ষরা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (তৃণমূল) বনাম অভিজিৎ দাস ( ববি) (বিজেপি) ও প্রতিক-উর রহমান (সিপিএম)

২০০৯ থেকেই ডায়মন্ড হারবারে সবুজ আবীর ওড়ে। ২০১৪ থেকে এই লোকসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমবার প্রার্থী হয়েই জয় পেয়েছিলেন। পাঁচ বছর বাদে মোদী সুনামির উল্টো স্রোতে ঝাঁপ দিয়ে অভিষেক অনেকটা ভোট বাড়িয়ে বড় ব্যবধানে জেতেন। এবার সবার শেষে অভিষেকের কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। প্রচারেও ভাল সাড়া ফেলেছেন অভিষেক।

ডায়মন্ড হারবারে গত তিনটি লোকসভায় তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান-

২০১৯- তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী ৩ লক্ষ ২০ হাজার ভোটে (প্রাপ্ত ভোট: ৫৬.১৫%)। নিকটতম প্রার্থী: নীলাঞ্জন রায় (বিজেপি)

২০১৪-তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী ৭১ হাজার ২৯৪ ভোটে। (প্রাপ্ত ভোট: ৪০.৩১%)। নিকটতম প্রার্থী আব্দুল হাসনাত (সিপিএম)

২০০৯-তৃণমূলের সোমেন মিত্র জয়ী ১ লক্ষ ৫২ ভোটে। (প্রাপ্ত ভোট: ৫৩.৫৬%)। নিকটতম প্রার্থী শমিক লাহিড়ি (সিপিএম)

৩) মান্ডি (হিমাচল প্রদেশ):

নিজেকে নরেন্দ্র মোদীর বড় ভক্ত পরিচয় দিয়ে তাঁর স্তুতিতে অনেক কথাই বলেছেন কঙ্গনা। তার পুরস্কারে বলিউডের কুইন-কে এবার হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা (Mandi Lok Sabha) থেকে কঙ্গনাকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। আগামী পয়লা জুন, শনিবার মান্ডিতে নির্বাচন। কংগ্রেস শাসিত হিমাচলের মেয়ে কঙ্গনা সংসদে জেতে কোমর বেঁধে প্রচার করছেন। ভোট প্রচারে বেরিয়ে নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসার সুর অত্যধিক চড়াতে গিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন। প্রচারে কিছু বেঁফাস মন্তব্যের পর কঙ্গনাকে এখনও রাজনীতিতে বেশ নতুন বলেই মনে হচ্ছে। স্থানীয়দের থেকে কালো পতাকাও দেখিয়েছেন কঙ্গনা। কিন্তু এবার তিনি জিতবেনই বলে জানিয়েছেন অনুরাগ বসুর 'গ্যাংস্টার' সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা দেওয়া অভিনেত্রী।

কংগ্রেস এবার কঙ্গনার বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে তথা মান্ডির যুবরাজ হিসেবে পরিচিত বিক্রমাদিত্য সিং (Vikramaditya Singh)-কে। তিন বছর আগে মান্ডি লোকসভার উপনির্বাচনে সবাইকে চমকে দিয়ে জিতেছিলেন কঙ্গনার প্রতিপক্ষ বিক্রমাদিত্য-র মা প্রতিভা সিং। গত ২০১৪ ও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে মান্ডি থেকে জিতেছিলেন বিজেপি-র রাম স্বরূপ শর্মা। তাঁর মৃত্যুর পর ২০২১ উপনির্বাচনে জিতে মান্ডি দখলে নেয় কংগ্রেস। কঙ্গনার কাঁধে এখন বিজেপি-র মান্ডি পুনরুদ্ধার লড়াই। আর সেখানে মান্ডি ধরে রাখতে কংগ্রেসের বাজি সিমলার বিধায়ক বিক্রমাদিত্য।

৪) গোরক্ষপুর (উত্তর প্রদেশ): উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের গড়। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে টানা চারবার সাংসদ ছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। তিনি এই আসনে পদত্যাগ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এখানে উপনির্বাচনে হেরে গিয়েছিল বিজেপি। পরে একান থেকে ভোজপুরী তারকা রবি কিষাণ-কে দাঁড় করানোর পর বিজেপি অনায়াসে জিতছে। এবার গোরক্ষপুরে বিজেপির তারকা প্রার্থী রবি কিষাণের বিরুদ্ধে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী কাজল নিষাদ। কাজল নিষাদ হলেন ভোজপুরী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির বড় তারকা। সাব টিভির জনপ্রিয় শো 'লাপাতাগঞ্জ'-এ চামেলির চরিত্রে অভিনয় করেন জনপ্রিয়তা পান। তাঁর স্বামী ভোজপুরী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির নামকরা প্রযোজক সঞ্জয় নিষাদ। দুই অভিনেতা-র দ্বৈরথে এবার গোরক্ষপুরে লড়াই জমজমাট।

৫) কলকাতা উত্তর (পশ্চিমবঙ্গ):

কলকাতা উত্তর লোকসভা আসন হল সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের গড়। ২০০২৪ লোকসভায় দিদি টিকিট না দেওয়ায় উত্তর কলকাতায় (তখন কেন্দ্রের নাম ছিল কলকাতা উত্তর-পশ্চিম) মোমবাতি চিহ্ন নিয়ে লড়ে সুদীপ ৯১ হাজার ভোট পেয়ে তৃণমূলের হারের সবচেয়ে বড় কারণ হয়েছিলেন। জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল উত্তর কলকাতা লোকসভা মাত্র একবারই হারে, কারণ সেখানে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়-কে প্রার্থী করেনি দল। এবারও স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশ সুদীপকে টিকিট না দেওয়ার দাবিতে বিদ্রোহ করেছিলেন। কিন্তু দিদি সেটা না শোনায় বরানগরের অভিজ্ঞ বিধায়ক তাপস রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। উত্তর কলকাতায় এবার দুই ফুলের সরাসরি লড়াইয়ের মাঝে সুদীপ বনাম তাপসের ব্যক্তি ক্যারিশ্মা-র দ্বৈরথ। কংগ্রেসের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থী প্রদীপ ঘোষ বামেদের সমর্থনে নিজের মত লড়ছেন।

মূল প্রতিপক্ষরা

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (তৃণমূল) বনাম তাপস রায় (বিজেপি) ও প্রদীপ ঘোষ (কংগ্রেস)।।

৬) অমৃতসর (পঞ্জাব):

পঞ্জাবে একসঙ্গে ১৪টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে শনিবার, শেষ তথা সপ্তম দফায়। পঞ্জাবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসনে হিসেবে ধরা হয় অমৃতসরকে। যে অমৃতসরে আছে পঞ্জাব তথা দেশের গর্ব স্বর্ণমন্দির। এবার অমৃতসরে চতুর্মুখি লড়াই। মূল লড়াইয়টা রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল আপ-এর প্রার্থী কুলদীপ সিং ধালিওয়াল বনাম কংগ্রেসের বিদায়ি সাংসদ গুরজিত সিং আউজলা। তবে এই লড়াই নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারে শিরোমণি অকালি দল অনিল যোশীর ভোট। বিজেপি-র প্রার্থী তরুণজিত সিং সান্ধু সেভাবে লড়াইয়ে নেই। গতবার এই কেন্দ্রে শিরোমণি অকালি দলের সমর্থনে লড়া বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকে এক লক্ষ ভোটে হারিয়েছিলেন কংগ্রেসের গুরজিত সিং আউজলা। এবার বিজেপির ভোটের সিংহভাগ আপের দিকে যেতে পারে।

৭) কারাকাট (বিহার):

বিজেপি প্রথমে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে টিকিট দিয়েছিল ভোজপুরী তারকা পবন সিং-কে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় মেজাজ পড়ে পরদিনই আসানসোল থেকে সরে দাঁড়ান ভোজপুরী নায়ক-গায়ক পবন। এরপর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর কাছে পবন তাঁর ঘরের কেন্দ্র বিহারের কারাকাট থেকে লড়তে তদ্বির করেন। কিন্তু জোট ধর্ম বজায় রাখার স্বার্থে শরিক দলের বড় নেতা উপেন্দ্র কুশওয়াহা-কে এই আসনটি ছেড়ে দেয় বিজেপি। দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে পবন নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে যান কারাকাটে। বিজেপি এরপর তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে। নির্দল প্রার্থী হয়ে কাঁচি চিহ্নে লড়ে প্রচারে ঝড় তুলেছেন পবন। তাঁর মূল প্রতিপক্ষ এখানকার বিদায়ি সাংসদ আরএলএম পার্টির উপেন্দ্র কুশওয়াহা। কংগ্রেস-আরজেডি-র সমর্থনে এখান থেকে বাম প্রার্থী রাজা রাম সিং কুশওয়াহা। লড়াই জমজমাট।

৮) গুরুদাসপুর (পঞ্জাব):

গতবার এখান থেকে লড়ে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন বলিউড তারকা সানি দেওল। কিন্তু সানি-কে এবার দাঁড় করায়নি বিজেপি। ২০১৪ লোকসভায় বিজেপি এখান থেকে বলিউড তারকা বিনোদ খান্না-কে দাঁড় করিয়ে বড় সাফল্য পেয়েছিল। তবে এবার আর কোনও তারকা প্রার্থী নেই, গুরুদাসপুরে এবার বিজেপির বাজি রাজ্যে বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার দীনেশ সিং। এই প্রথম পঞ্জাবে নিজেদের শক্তিতে লড়ছে বিজেপি। পঞ্জাবে সাফল্য পেতে গুরুদাসপুর বিজেপিকে ধরে রাখতেই হবে। গতবার সানি দেওলের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো কংগ্রেস প্রার্থী সুনীল জাকর এখন পঞ্জাব বিজেপির সভাপতি। এবার গুরুদাসপুরে চতুমুর্খী লড়াইয়ে কংগ্রেস প্রার্থী রাজ্যের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং রানধাওয়া, আপের বাজি সেখানে বাটালার দাপুটে বিধায়ক আমসশের সিং। এই লোকসভার ১০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৬টি কংগ্রেস, তিনটি আপ, ও একমাত্র পাঠানকোট আসনটি বিজেপির দখলে আছে। প্রচারে ও সংগঠনে এগিয়ে কংগ্রেস।

৯) বসিরহাট (পশ্চিমবঙ্গ):

সন্দেশখালির কাণ্ডে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ, স্টিং অপারেশন কাণ্ড, নির্যাতিতকে প্রধানমন্ত্রী নিজের উদ্যোগে প্রার্থী করার পর বসিরহাট লোকসভা গোটা দেশের নজরে। মূল প্রতিপক্ষরা: হাজি নুরুল ইসলাম (তৃণমূল) বনাম রেখা পাত্র (বিজেপি) ও নিরাপদ সর্দার (বাম)

বিরোধীরা রেখাপাত করতে পারবেন?

টলিউড অভিনেত্রী নুসরত জাহান-কে সরিয়ে হাজি নুরুল ইসলাম-কে বসিরহাটে প্রার্থী করেছে দল। ২০০৯ থেকে এই লোকসভা তৃণমূলের দখলে। ২০০৯ লোকসভা ভোটে এখানে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন হাজি নুরুল ইসলাম। পাঁচ বছর বাদে তাঁর বদলে ইদ্রিশ আলি-কে টিকিট দিয়ে জেতে তৃণমূল। তারপর ২০১৯ লোকসভায় নুসরত জাহান-কে প্রার্থী করে অনায়াসে জেতে তৃণমূল। গড়ে ধরে রাখার লড়াই তৃণমূলের।

বসিরহাটে গত তিনটি লোকসভায় তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান-

২০১৯- তৃণমূলের নুসরত জাহান জয়ী সাড়ে ৩ লক্ষের বেশী ভোটে (প্রাপ্ত ভোট: ৫৪.৫৬%)। নিকটতম প্রার্থী সায়ন্তন বসু (বিজেপি)

২০১৪-তৃণমূলের ইদ্রিশ আলি জয়ী ১ লক্ষ ১০ হাজার ভোটে। (প্রাপ্ত ভোট: ৩৮.৬৫%)। নিকটতম প্রার্থী নুরুল শেখ (সিপিআই)

২০০৯-তৃণমূলের হাজি নুরুল ইসলাম জয়ী ৬০ হাজার ভোটে। (প্রাপ্ত ভোট: ৪৫.৯২%)। নিকটতম প্রার্থী অজয় চক্রবর্তী (সিপিআই)

১০) চণ্ডিগড় (কেন্দ্রশাসিত): কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলের দিকে গোটা দেশের নজর। গত দুটি লোকসভা নির্বাচনে এখান থেকে জিতে এসেছেন বিজেপি-র তারকা প্রার্থী কিরন খের। কিন্তু এবার বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করেননি। এই প্রথম এখানে জোট করে লড়ছে আপ ও কংগ্রেস। বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হওয়ার সুবিধা গত দুটি লোকসভায় বিজেপি এখানে পেয়েছিল। এবার এখানে বিজেপির প্রার্থী পঞ্জাবের জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ বালরামজি দাস ট্যান্ডনের ছেলে সঞ্জয় ট্যান্ডন। সেখানে আপের সমর্থনে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে লড়ছেন মণীশ তিওয়ারি। আপের ভোট কংগ্রেসে ঠিকমত স্থানান্তরিত হলে দশ বছর পর চণ্ডিগড় বিজেপির হাতছাড়া হতে পারে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত।