Ivanka Trump Praises Jyoti Kumari: আহত বাবাকে নিয়ে সাইকেলে ১২০০ কিলোমিটার, ১৫ বছরের জ্যোতি কুমারীর কথা টুইট করলেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প

লকডাউনের মধ্যে আহত বাবাকে সাইকেলে চাপিয়ে ১২০০ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়েছিল কিশোরী জ্যোতি কুমারী (Jyoti Kumari)। একেবারে গুরুগ্রাম থেকে বিহারের দ্বারভাঙা। এদিকে ভারতীয় সাইক্লিং ফেডারেশন (Cycling Federation of India) জানিয়েছে, তারা জ্যোতিকে ট্রায়াল দেওয়ার সুযোগ দেবে। যদি জ্যোতি পাশ করে যায় তবে বিশেষ প্রশিক্ষণ ও কোচিং দেওয়া হবে তাকে। এবার ওই ১৫ বছরের কিশোরী জ্যোতি কুমারীর কথা উঠে এল অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের (Ivanka Trump) মুখে। ইভাঙ্কা টুইট করেছেন জ্যোতি কুমারীর বিষয়ে। ইভাঙ্কা টুইটে লেখেন, "ধৈর্য ও ভালোবাসার সুন্দর কীর্তি ভারতীয় জনগণ এবং সাইক্লিং ফেডারেশনের কল্পনা ধারণ করেছে।"

জ্যোতি কুমারীর কথা টুইট করলেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প (Photo Credit: Getty0

পটনা, ২৩ মে: লকডাউনের মধ্যে আহত বাবাকে সাইকেলে চাপিয়ে ১২০০ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়েছিল কিশোরী জ্যোতি কুমারী (Jyoti Kumari)। একেবারে গুরুগ্রাম থেকে বিহারের দ্বারভাঙা। এদিকে ভারতীয় সাইক্লিং ফেডারেশন (Cycling Federation of India) জানিয়েছে, তারা জ্যোতিকে ট্রায়াল দেওয়ার সুযোগ দেবে। যদি জ্যোতি পাশ করে যায় তবে বিশেষ প্রশিক্ষণ ও কোচিং দেওয়া হবে তাকে। এবার ওই ১৫ বছরের কিশোরী জ্যোতি কুমারীর কথা উঠে এল অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের (Ivanka Trump) মুখে। ইভাঙ্কা টুইট করেছেন জ্যোতি কুমারীর বিষয়ে। ইভাঙ্কা টুইটে লেখেন, "ধৈর্য ও ভালোবাসার সুন্দর কীর্তি ভারতীয় জনগণ এবং সাইক্লিং ফেডারেশনের কল্পনা ধারণ করেছে।"

এদিকে সাইক্লিং ফেডারেশনের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে জ্যোতি। পরের মাসে ট্রায়ালের জন্য সে দিল্লি যাবে। জ্যোতি বলে, "আমি ফোন পেয়েছি এবং আমাকে বলেছে যে সাইকেল দৌড়ে অংশ নিতে হবে। ওরা বলেছে আমার থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে। আমি তাদের বলেছি যে গুরুগ্রাম থেকে বিহার সাইকেলে যাওয়াতে আমার শরীরে ব্যথা রয়েছে। আমার বিশ্রাম দরকার। তবে আমি পরের মাসে যাব।" আরও পড়ুন: Lockdown Diary: লকডাউনের গেরো, আহত বাবাকে সাইকেলে চড়িয়ে গুরুগ্রাম থেকে বিহারে ফিরল কিশোরী

জ্যোতির বাবার নাম মোহন পাসওয়ান গুরুগ্রামে রিকশা চালান। সেখানে দুর্ঘটনায় তিনি আহত হন। এরপর বিহার থেকে জ্যোতি গুরুগ্রাম এসে পৌঁছয়। বাবার দেখাশোনার জন্য সেখানেই থেকে যায় সে। এর মধ্যে লকডাউনের জেরে মোহনের রিকশা চালানো বন্ধ হয়ে যায়। জ্যোতি ঠিক করে বাবাকে নিয়ে সাইকেলে করে দ্বারভাঙার গ্রামে ফিরে আসবে। টাকা ধার করে একটা সাইকেল কিনে ফেলে সে। বাবাকে সাইকেলে বসিয়ে ৭ দিনে ১,২০০ কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিয়ে গুরুগ্রাম থেকে দ্বারভাঙা ফিরে আসে সে। প্রতিদিন ১০০-১৫০ কিলোমিটার সে সাইকেল চালাত।