Iran President Ebrahim Raisi: কপ্টার ভেঙে পড়ে ইরান প্রেসিডেন্টের মৃত্যু, সমবেদনা জানিয়ে পাশে থাকার বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর

দুর্ঘটনার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর ইরানের প্রেসিডেন্ট যে হেলিকপ্টারে ছিলেন তার ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। সুতরাং প্রেসিডেন্টের জীবিত থাকার কোন সম্ভাবনা নেই বলেই ধরে নিয়েছে ইরান সংবাদ সংস্থা গুলো।

Narendra Modi and Iran President Ebrahim Raisi

তেহরান, ২০ মেঃ কপ্টার দুর্ঘটনায় ইরান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি (Ebrahim Raisi)-র মৃত্যুতে তোলপাড় গোটা বিশ্ব। রবিবার ইরানের পূর্ব আজারাইজান প্রদেশে দুর্গম পাহাড়ের কোলে আছড়ে পড়ে প্রেসিডেন্ট রাইসি-র কপ্টার। প্রেসিডেন্ট সহ ওই বিমানে থাকা ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আকাশপথে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরান প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এক্স হ্যান্ডেলে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সু-সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে মোদী দেখেন, 'ইরানের প্রেসিডেন্ট ডঃ সাইয়েদ ইব্রাহিম রাইসির মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। ভারত-ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান সর্বদা স্মরণ করা হবে। তাঁর পরিবার ও ইরানের জনগণের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল'। এই কঠিন সময়ে ইরানের (Iran) পাশে রয়েছে ভারত, সেই বার্তাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুনঃ পাহাড়ের খাঁজে ঝুলছে ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ, ড্রোন ফুটেজ সামনে আসতেই রাইসির মৃত্যুর ছবি স্পষ্ট; দেখুন ভিডিয়ো

মোদীর সমবেদনা... 

এদিকে ইরান সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর ইরানের প্রেসিডেন্ট যে হেলিকপ্টারে ছিলেন তার ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। সুতরাং প্রেসিডেন্টের জীবিত থাকার কোন সম্ভাবনা নেই বলেই ধরে নিয়েছে ইরান সংবাদ সংস্থা গুলো। রাজধানী তেহরান থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে পূর্ব আজারাইজান প্রদেশে দুর্গম পাহাড়ের কোলে ভেঙে পড়েছে প্রেসিডেন্ট রাইসির কপ্টার। আজারাইজান থেকে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনায় সময় রাইসি ছাড়াও ওই বিমানে আরও ৯ যাত্রী ছিলেন। বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ান, আজারবাইজানের পশ্চিম প্রদেশের গভর্নর, একজন ইমাম। এছাড়া ছিলেন হেলিকপ্টারের চালক, সহকারী চালক, ক্রু প্রধান, নিরাপত্তা প্রধান এবং আরও একজন নিরাপত্তারক্ষী। চপার ভেঙে পড়ার তাঁদের প্রত্যেকের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছে ইরান সরকার।